Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মানুষের ঘরে ঈদের আনন্দ নেই

সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

ঈদের দিনে সারা দেশের মানুষের আনন্দ করার কথা থাকলেও দেশের লাখ লাখ মানুষের ঘরে এবার ঈদের আনন্দ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, লাখ লাখ মানুষের কোনো ঈদ আনন্দ নেই, তাদের কোনো উৎসব নেই। কারণ হাজার হাজার গণতান্ত্রিক কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, তারা ঘরে থাকতে পারে না। এই ঈদের দিনেও তারা ঘরে যেতে পারে না। কৃষকদের ঘরে কোনো আনন্দ নেই। তারা ধান বিক্রি করতে পারে নাই। ঘরমুখী মানুষ দুর্ভোগের কারণে বাড়ি পৌঁছতে পারেননি, তারাও ঈদের আনন্দ করতে পারেননি। গত বুধবার দুপুরে ঈদের নামাজ পড়ে দলীয় নেতাদের নিয়ে শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে গিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের জন্য এই ঈদ হৃদয়বিদারক এজন্য যে আমাদের নেত্রী কারা অন্তরীণ। তারা সঙ্গে আমরা দেখাটা পর্যন্ত করতে পারছি না। এই অবস্থার প্রেক্ষিতে ঈদুল ফিতরের দিনটি আমরা পালন করেছি। এবারের ঈদ স্বস্তির বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকারের কথাকে খুব বেশি গুরুত্ব দিই না। এজন্য দিই না যে, তারা সব সময়ই অসত্য কথা বলে এবং জনগণকে প্রতারণা করে। যেটা তারা বলে সেটা করে না বা তারা করতে পারে না, কিন্তু জনগণকে একটা বিভ্রান্তির মধ্যে রেখে দেয়।

তিনি বলেন, আমরা আবেদন করেছিলাম, অনুমতি দেয়নি। পরিবারের সাতজনকে মাত্র দিয়েছে। আইন যেটা আছে, জেল কোডে যেটা লেখা আছে, ঈদের উৎসবের দিনে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, স্বজন যারা আছেন, তাদেরকে দেখা করতে দিতে হবে। সেখানে তারা অবশ্যই তারা বিধি লঙ্ঘন করেছে। তারা একেবারে লিমিটেড করে দিয়েছে, পরিবারের সাতজন ছাড়া কেউ দেখা করতে পারবে না।

ঈদের চাঁদ দেখা নিয়ে বিভ্রান্তির জন্য সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা সুশাসনের অভাবের ফল। দেশে সুশাসন না থাকলে যা হয়, তাই হয়েছে। উনারা ৮টা-সাড়ে ৮টার মধ্যে বললেন, চাঁদ দেখা যায়নি, ঈদের তারিখও বলে দিলেন বৃহস্পতিবার। আবার রাত সাড়ে ১০টা-১১টার দিকে আবার সেটা সংশোধন করলেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী নিজেই সংশোধন করলেন। কোথা থেকে তারা খবর পেয়েছেন, সে জন্য বুধবার আবার ঈদ হবে। তিনি বলেন, ঈদের একটা প্রস্তুতি আছে, নামাজ পড়ার জন্য তো একটা প্রস্তুতি দরকার। জনগণের কষ্টের বিষয়গুলো কখনোই এই সরকার সঠিকভাবে উপলব্ধি করেনি, উপলব্ধি করার প্রয়োজনও মনে করে না। যে কারণে জনগণ কষ্ট পায়, ভোগান্তি হয়, সেই ধরনের কাজ তারা করে। আমি মনে করি, দেশে সুশাসন না থাকার কারণে এই ঘটনাটি ঘটেছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারপারসন এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা আশরাফউদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, কাজী আবুল বাশার, আহসানউল্লাহ হাসান, রফিক শিকদার, শাহ নেছারুল হক, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, আবুল কালাম আজাদ, মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ