Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিরলের ফরক্কাবাদ দেওয়ান জি দিঘী পুকুরে মাছ পরিকল্পিতভাবে লুটপাট

৫০ লাখ টাকার ক্ষতির সাধনের অভিযোগ

বিরল (দিনাজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০১৯, ৪:৩০ পিএম

দিনাজপুরের বিরলে ফরক্কাবাদ দেওয়ান জি দিঘী নামে একটি পুকুরের মাছ পরিকল্পিতভাবে লুটপাট করে ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধনের গুরুত্বর অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালে স্থানীয় লোকের সহায়তায় হঠাৎ করে চাষাবাদকৃত ঐ পুকুরে মাছ লুটপাটের এ ঘটনা ঘটে। তবে এ মাছ লুটপাটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২টি পক্ষ একে অপরের প্রতি পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ করেছে।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, আদালত থেকে জনসাধারণের ব্যবহার্য্যরে জন্য ঐ পুকুরটির রায় হয়েছে বলে কানকথায় ঐ এলাকার লোকজন মাছ ধরার জাল নিয়ে পুকুরে নেমে মাছ ধরতে শুরু করে। সময় গড়িয়ে দুপুর হতে হতে আশপাশের গ্রামের লোকজনও মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে পুকুরে আসে মাছ ধরার জন্য।
সদর উপজেলার রামনগর গ্রামের মৃত তমিজ উদ্দিনের পুত্র আখতার আলম ও তরিকুল ইসলাম জানান, ১৯৫৫ সালে দলিলমূলে ঐ সম্পত্তি ক্রয় করার পর আমাদের পিতা তমিজ উদ্দীনের নামে এসএ রেকর্ড হয়। পরবর্ত্তীতে আমরা নামজারী করে ঐ পুকুরের নিয়মিত খাজনা প্রদান করে ভোগ দোখল করে আসছি। ফরক্কাবাদ গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর পুত্র আফছার আলী’র সাথে পুকুরটি নিয়ে বিরল সহকারী জজ আদালতে ৪৮/২০১৮ নং মামলা চলমান রয়েছে। সে এবং আলী ফিলিং ষ্টেশনের সত্বাধিকারী মকাদ্দেস হোসেনের প্রকাশ্য ইন্দনে হঠাৎ এই মাছ লুটপাট করে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করা হয়েছে। মাছ ধরতে বাঁধা দিতে গেলে জীবননাশ ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি প্রদান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মূল মালিকের কাছ থেকে চুক্তি নিয়ে ঐ পুকুরে মাছ চাষাবাদকারী একই গ্রামের জর্জিস আলম, কায়সার আলী, আরমান আলী ও আলম রহমান জানান পুকুরটি চুক্তি নিয়ে আমরা প্রতিবছরে মাছ চাষ হয়ে আসছি। এবারেও ঐ পুকুরে আমাদের মাছ ছিল। একই এলাকার আফছার আলী ও মকাদ্দেস আলী সঙ্গীয় অনেক লোকজন নিয়ে পুকুরের মাছ লুটপাট করে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে।

এ ব্যাপারে আফছার আলী ও মকাদ্দেস আলী জানান, সিএস ৬৪৯ নং খতিয়ানে ২৮২৮ নং দাগে ৫.৪১ একর পুকুরটি জনসাধারণের ব্যবহার্য্য উল্লেখ রয়েছে এবং সে মোতাবেক বর্তমান জরিপের রেকর্ডে উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও ২৮২৭ ও ২৮২৭ এর বাটা ৩০৯৯ নং দাগে ৭.১৫ একরসহ মোট ১২.৫৬ একর জমি ঐ খতিয়ানে মোট সম্পত্তি রয়েছে। পুকুরটি ছাড়াও এ খতিয়ানের জমিতে সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী মরহুম ইউসুফ আলী’র কবরস্থান, ফরক্কাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ, ফরক্কাবাদ দাখিল মাদ্রাসা, ঈদগাহ মাঠ, জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা, বাড়ী, মিল, চাতাল, ফরক্কাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। জনসাধারণের ব্যবহার্য্যে পানির ব্যবহার করছে জনগণ বলে দাবী করেন তারা। এখানে কেউ কাউকে পানিতে নামায়নি বা মাছ ধরতে বলেনি। জনসাধারণ নিজেদের প্রয়োজনে পানির ব্যবহার করছেন বলে তারা দাবি করেন।
বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমূল আহমেদ জানান, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে অফিসার ও ফোর্স পাঠিয়েছি। হাজার হাজার মানুষ ঐ পুকুরে মাছ ধরেছে। ফলে উভয় পক্ষকে মালিকানার কাগজ পত্র নিয়ে থানায় আসতে বলা হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লুটপাট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ