Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মিয়ানমার মিথ্যাচার করছে

কূটনীতিকদের ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু না হলে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে বিশ্ব, বাড়তে পারে সন্ত্রাসী তৎপরতাও। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।

গতকাল বুধবার ঢাকায় অবস্থান করা সবগুলো দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও মিশন প্রধানদের রোহিঙ্গা ইস্যুতে ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ব্রিফিংটি ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত হয়।

ব্রিফিং শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সর্বশেষ তথ্য-উপাত্ত আজকে আমরা বিদেশি কূটনীতিকদের জানালাম। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বেশকিছু মিথ্যা ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কীভাবে জোরদার করা যায় এবং প্রক্রিয়াটা কিভাবে ত্বরান্বিত করা যায়- সে বিষয়ে মিয়ানমারকে চাপ দেওয়ার জন্য আমরা বলেছি। তারাও আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন যে, এই রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়া উচিত এবং এটা যত দ্রুত সম্ভব ফিরে যাবে ততই বাংলাদেশের জন্য মঙ্গল। বিশ্ববাসীর জন্যও মঙ্গল।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রিফিংয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমার ঢালাওভাবে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি মিয়ানমারের ইউনিয়ন মিনিস্টার অফিসের স্টেট কাউন্সিলর কে টিন্ট সো’র দেওয়া ব্রিফিংয়ে মিথ্যাচার করা হয়। টোকিও’তেও মিয়ানমার এ বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। এছাড়া গত ১০ জুন রাশিয়ার মন্ত্রী সঙ্গে বৈঠকেও মিয়ানমারের ইউনিয়ন মিনিস্টার অফিসের স্টেট কাউন্সিলর মিথ্যা তথ্য দেয়।

এ প্রসঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনজি তেরিঙ্ক বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সর্বশেষ তথ্য জানিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছি, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আছি। এই ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশকে সমর্থন করে যাব। নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা বাংলাদেশের পক্ষে আছি, সমর্থন করছি এবং একইসঙ্গে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য বসবাসযোগ্য পরিবেশ তৈরির জন্য কাজ করছি। মিয়ানমারের পক্ষ থেকেও এক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ আসা উচিত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ