রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বিরামপুরে রোরো মৌসুমে কৃষকেরা ধানের দর না পাওযায় আমন মৌসুমে মোটা ধান চাষাবাদে কৃষকের আগ্রহ তেমনটা নেই। সে কারণে আমন মৌসুমে কৃষক ঝুঁকছে সুগন্ধী ধানের চাষাবাদের দিকে। কৃষকেরা আমন মৌসুমে বিশেষত ব্রি-৩৪ ধানের বীজ ফেলা নিয়ে বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এলাকার কৃষকেরা সুগন্ধি ধানের বীজ বেশী ফেলয় বাজারে সুগন্ধি ধানের বীজ-এর সংকট দেখা দিয়েছে। অসাধু বীজ ব্যবসায়ীদের অজুহাতে সুগন্ধী ধানের বীজ সংকট আড়তেও দোকানে বীজ নেই। তা বেশী দামে কিনে বাজারে বেশী দামে বিক্রী করা হচ্ছে। বিরামপুরের ব্রি-৩৪ ধানের বীজ একশ’ থেকে দেড়শ’ টাক কেজি দরে বীজ বিক্রী করা হচ্ছে। বাহারি রকমের ধান বিজের পেকেট কোনটি আসল কোনটি পরিক্ষিত বীজ চেনার কোন উপায় নেই। কৃষকেরা বীজ কনতে ঠকছে। বাজারে রাসায়নিক সার বিশেষ করে টিএসপি এমওপি, ইউরিয়া সারের দাম বেশি। বিভিন্ন কোম্পানীর বালাই নাশক মার্কহীন ঔষধ কিনে একদিকে কৃষকেরা ঠকছে।
অন্য দিকে বাজারে মনিটরিং এর অভাব বালাই নাশকের দাম যে যার মত দাম চাচ্ছে সে ভাবেই দাম দিয়ে কৃষককে কিনতে হচ্ছে। ধান চাষাবাদ করে কৃষকেরা লাভের মুখ দেখা তো দূরের কথা আসল পুঁজি ঘরে উঠে আসছে না। নিরুপায় কৃষকের কি করার আছে। বোরে ধানের দামের ধকলের রেশ কাটতে না কাটতে আষাঢ়-এর ভরা মৌসুমে চলছে আমন ধান এর বীজ বপনের প্রস্ততি।
সে লক্ষে বিরামপুর উপজেলায় কৃষকেরা আমনের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাঝে মাঝে বৃষ্টি বীজ তলার উচুঁজমিতে পানি না পেলেও সেচ দিয়ে বীজ তলা তৈরিতে ব্যস্থ সময় পার করছেন তারা। বিরামপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে অনেক কৃষক জানান, তারা বোরের ধানের মোটা ও চিকন ধানের দাম না পাবার কারনে এবার এ উপজেলায় মোটা ধান চাষ করতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। আমনের মোটা ধান চাষের প্রতি তাদের আগ্রহ নেই। বিরামপুরের বিনাইল ইউপির খিয়ার তেঘরিয়া গ্রামের কৃষক আজিজার রহমান, জহুরুল ইসলাম, সমসের আলী জানান, মোটা ধান চাষাবাদ করে বাজারে ধানের দাম পাই নি। কেউ মোটা ধান কেনেনা। বাজারে মোটা ধান বিক্রী হয় না। দেশের মানুষ সকলেই চিকন চালের ভাত খায়, মোটা ধানের চাষ করে লাভ কি। তাই আমন মৌসুমে রিক্স নিয়ে সুগন্ধি ধানের বীজ ফেলাচ্ছি। সব জমিতে সুগন্ধি ধান চাষ করবো বলে তারা জানান।
অন্যদিকে সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শুধু সুগন্ধি ব্রি-৩৪, সম্পা কাটারি, স্বরনা-৫ ধানের দিকে এবার কৃষকেরা অগ্রহী বেশী। অন্যদিকে বিএডিসির উদ্ভাবিত ধানের বীজ এর প্রতি কৃষকের আগ্রহ তেমনটা নেই বলেও চলে।
এদিকে বিরামপুরের ৩৫ হাজার কৃষকের দাবি যেহেত কোন মৌসুমে ধানের ন্যয্যমূল্য তার পায় না, তাই জমির প্রধান খাদ্য রাসায়নিক সারের দাম কম করা হোক। আমন মৌসুমে সরাসরি সহজ স্বর্থে পর্যপ্ত কৃষিঋন দিয়ে আমন চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করার দাবি ও বিনামুলে ভালবীজ দেবার দাবি জানায়।
এ ব্যাপারে বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নিকচনচন্দ্র পাল জানান, এবার এ উপজেলায় ১৭৫০০হেক্টর জমিত আমন চাষাবাদ হবে, ধানের সম্ভব্য উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ৪৬ হাজার মেট্রিক টন। তবে বেশীর ভাগ জমিতে আমন মৌসুমে সুগন্ধী ধান চাষাবাদ প্রতি কৃষকের আগ্রহ বেশী বলে জানা যায়
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।