Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নেছারাবাদে প্রতারণামূলক মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০১৯, ১২:০৯ এএম

নেছারাবাদের বাড়রা গ্রামের এক ৯ম শ্রেনীর ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে একই গ্রামের ৪ যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন ছাত্রীটির পরিবার। ওই ঘটনাকে সাজানো এবং মিথ্যা মামলা দাবি করে প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী।

গতকাল শুক্রবার সকালে এলাকার নারী-পুরুষ সংঘবদ্ধ হয়ে মামলা দায়ের করা পরিবারকে মামলাবাজ পরিবার ও তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলে ওই এলাকার মানুষ এ বিক্ষোভ মিছির বের করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ মামলা দায়ের করা পরিবারের মেয়েটির চাচা জাকির হোসেন বিভিন্ন সময় এলাকার বেশ কয়েকজনকে ফাঁসানোর জন্য তার মেয়েকে লেলিয়ে দিয়ে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি এলাকার জাকির হোসেন তার পরিবারের মেয়েদের দ্ধারা এলাকার উঠতি বয়সি ছেলেদের প্রেমের ফাদে ফেলে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে শালিস ব্যবস্থার দ্বারা টাকা পয়সা উপার্জন করে করেছেন। সর্বশেষ ৯ জুন এক হত দরিদ্র পরিবারের ইমরান (১৬) নামে এক খেটে খাওয়া যুবকসহ মোট চার যুবকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছেন। তাই তাদের হাত থেকে মুক্তি পেতে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য গ্রামবাসী ওই বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

এলাকার মহিলা ইউপি সদস্য হোসনেয়ারা বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। মেয়ের চাচা জাকির দুই ছেলেকে ধরে নিয়ে তার বাড়িতে বিচারের জন্য এসেছিলেন। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের স্মরনাপন্ন হয়ে বিচারের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।

কিন্তু জাকির হোসেন পরে তাদেরকে উপেক্ষা করে থানায় মামলা দিয়েছেন। ইউপি সদস্য হোসনেয়ারা আরো বলেন, মামলার প্রধান আসামি ইমরান এলাকায় ভাল স্বভাবের ছেলে। এমনকি তার বাবাও একজন খেটে খাওয়া লোক। টাকার অভাবে ইমরান পড়াশুনা করতে পারেনি। তাই সংসারের অভাব-অনটনে তারা দুই বাপ ছেলে মিলে বালির ট্রলারে কাজ করে খায়। এখন মামলা খেয়ে ছেলেটি বাড়ি ছাড়া হয়েছে। তার বাবাও দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।

হাজির হয়ে এলাকার মানুষদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করেন। তাদের হাত থেকে এলাকার মানুষ বাঁচতে চায়।
এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করা পরিবারটি জানায়, স্থানীয়রা মিলে তাদের বিরুদ্ধে সব মিথ্যা ষড়যন্ত্র করেছে। ওই কিশোরী মেয়েটি বলেন, মামলার চারজন আসামি তাদের এলাকার লোক। ঘটনার দিন সে বাসা থেকে ফুচকা খেতে বের হয়েছিল। পথিমধ্যে ইমরান তার ওড়না টেনে নিয়ে শরীরে হাত দিয়েছে। সাথে থাকা বাকি তিনজন তাকে কিছু বলেনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ