Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সিলেটে রাষ্ট্রীয় ৩ বিভাগের অভিযোগ পরামর্শে গণশুনানি আজ

সিলেট ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০১৯, ১২:০৭ এএম

রাষ্ট্রীয় ৩টি বিভাগের উপর অভিযোগ বা পরামর্শের জন্য গণশুনানীর মাধ্যমে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন নতুন প্রজন্মের পেশাজীবী ঠিকাদাররা। আজ সকাল ১০টায় রায়নগর রাজবাড়িস্থ সওজ সিলেট জোন অফিস চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে এ গণশুনানী।

সওজ সিলেট জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তুষার কান্তি সাহা জানিয়েছেন, এ গণশুনানীতে সর্বসাধারণের অভিযোগ ও পরামর্শ সরাসরি গ্রহণ করবেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। সিলেট সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, সিলেট জোন বিআরটিএ ও বিআরটিসি সিলেট বিভাগের কার্যক্রম সম্পর্কে গণশুনানীতে খোলামেলা মতামত দিতে পারবেন উপস্থিত সর্বসাধারণ।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এখন চরম হতাশা বিরাজ করছে নতুন প্রজন্মের ঠিকাদারদের মধ্যে। তাদের অভিযোগ, সরকারের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) জারিকৃত পরিপত্রে বলা হয়, উম্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমে সর্বনি¤œ মূল্যায়িত দরে সমতার ক্ষেত্রে বিজয়ী দরদাতা নির্ধারণে ইতঃপূর্বে জারিকৃত দরদাতার অতীত কর্মক্ষমতার ৭টি নির্ণায়ক প্রতিস্থাপনপূর্বক ৩টি নতুন নির্ণায়ক করে ২০১৮ সালে ১০ জুন পিপিআর ২০০৮ এর বিধি-৯৮(২) ও (২ক) এর সংশোধনীটি প্রজ্ঞাপিত করা হয়। এই সংশোধনীতে আদর্শ দরপত্র দলিল(পি ডাবøু ট্্ুএ ও পি ডাবøু থ্রি) এবং ইজিপি দলিল (ইপি ডাবøু ট্্ুএ ও ইপি ডাবøু থ্রি) সূত্র ও প্রাসঙ্গিক নির্দেশনা সম্বলিত সংশোধিত অতীত কর্মক্ষমতা ও দর নির্ধারণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

কিন্তু বাস্তবে সর্বোচ্চ টার্ন ওভারের অধিকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হাতিয়ে নিচ্ছে সিংহভাগ টেন্ডার। শর্ত অনুযায়ী দরপত্র আহবানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ সনদপত্র প্রদানের ভিত্তিতে কাজের সুযোগ ঘটবে। সেই শর্তের ভিত্তিতে বেশিরভাগ অন্য প্রতিষ্ঠানের সনদের মূল্যায়নে পেয়ে যাচ্ছে বড় বড় প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানের কাজের অভিজ্ঞতা রুদ্ধ হচ্ছে তেমনি কাজ না পেয়ে গুটিয়ে বসায় টার্ন ওভারে ধাক্কায় এখন তারা। অনেকে বড় প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগসূত্র গড়ে কোন মতে চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদারি পেশা। বেশিরভাগ ঠিকাদারদের পরিস্থিতি নাজুক।

গত ২৫ মার্চ ঢাকা তেজগাঁওস্থ সড়ক ভবনে প্রধান প্রকৌশলীর সভাকক্ষে এক গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল সংক্রান্ত কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অনুষ্ঠিত এ গণশুনানীতে সভাপতি ও সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান। গণ শুনানীতে আনোয়ার পারভেজ টিংকু বলেছিলেন, এলটিএম সংসদে পাশ হয়েছে এবং ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত এলটিএম করার গেজেটও হয়েছে। কিন্তু সওজ অধিদপ্তরে কোন কাজই এলটিএম হচ্ছে না। এলটিএম কাজ না হওয়ার জন্য নতুন ঠিকাদার তৈরী হচ্ছে না। অধিদপ্তরের সকল কাজ মুষ্টিমেয় ঠিকাদাররের হাতে চলে যাচ্ছে। তিনি এলটিএম পুনরায় চালু করার মাধ্যমে নতুন ঠিকাদার তৈরীর কথা বলেন।
গণশুনানীতে সওজ ঠিকাদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম পিন্টু বলেন, জরুরী ভিত্তিতে যে সকল কাজ করা উচিত সেগুলো এলটিএম এর মাধ্যমে করা হয়না। তিনি এলটিএমের মাধ্যমে জরুরী কাজগুলো সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সংসদের ঘোষণাকে উদ্ধৃত করে ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত এলটিএম ও ওটিএম দরপত্রের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মকে ঠিকাদারি পেশায় আসার সুযোগের জন্য কোন শর্ত না রাখার প্রস্তাব উখাপন করেন তিনি।

গণশুনানীর সিদ্ধান্তগুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে প্রেরণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের তাগিদ দেয়া হয়। নতুন প্রজন্মের ঠিকাদাররা বলছেন, উক্ত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সুরক্ষিত হবে তাদের স্বাভাবিক স্বার্থ। এদিকে সওজ সংশ্লিষ্ট সিনিয়র এক কর্মকর্তা বলেন, ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজ দিয়ে ঝুঁকি থেকে যায়। কাজের মান বা ধারাবাহিক জবাবদিহিতায় তাদের পাওয়া যায় না। কিন্তু বড় প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের প্রাতিষ্ঠানিক সুনাম রক্ষায় কাজের মান ও জবাবদিহিতাকে গুরুত্ব দেয়। এদিকে বিআরটি ও বিআরটিসিতে অনিয়ম দুর্নীতি চরমে। গণশুণারীর মধ্যে দিয়ে হালচিত্রের কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে বলে আশাবাদী অনেকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গণশুনানি

২০ ডিসেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ