Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

স্বল্পমূল্যের তামাক পণ্যের কর বৃদ্ধি না করায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে দরিদ্র্য জনগোষ্ঠী

বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়া

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০১৯, ৮:০১ পিএম

২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টর। শনিবার (১৫ জুন) রাজধানীর শ্যামলীস্থ স্বাস্থ্য সেক্টরের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। প্রতিক্রিয়ায় স্বাস্থ্য সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে নি¤œ, মধ্যম, উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তরে সিগারেটের সম্পূরক শুল্ক অপরিবর্তিত রেখে শুধুমাত্র মূল্য পরিবর্তনের মাধ্যমে ১০ শলাকা সিগারেটের দাম যথাক্রমে ২, ১৫, ১৮ এবং ১৮ টাকা বৃদ্ধি করে বর্তমান মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৭, ৬৩ টাকা, ৯৩ টাকা এবং ১২৩ টাকা। ফলে, বিশেষত বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলো এবারের বাজেটে ব্যাপকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এবং সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি না হওয়া সরকারের রাজস্ব বাড়ার কোন সুযোগ থাকছে না। সরকারের এই পদক্ষেপে বিগত বছরের তুলনায় মূল্যস্তর ভেদে তামাক কোম্পানিগুলোর আয় ৩১ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। স্তর সংখ্যা অপরিবর্তিত রাখায় ভোক্তার সিগারেট স্তর পরিবর্তনের সুযোগ থেকে যাবে। নি¤œস্তরে দাম বৃদ্ধি মাত্র ২ টাকা করা হয় যা অত্যন্ত হতাশাজনক। এদিকে সিগারেট ধূমপায়ীর প্রায় চার ভাগের তিনভাগই এই নি¤œ স্তরের সিগারেটের ভোক্তা। জনগণের মাথাপিছু আয়বৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় না নেওয়ার ফলে নি¤œ আয়ের মানুষের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতার কোনো পরিবর্তন হবেনা এবং একই সাথে নতুন তরুন প্রজন্মকে ধূমপানে নিরুৎসাহিত করা যাবেনা। এছাড়াও বিড়ির ক্ষেত্রে বাজেটে ফিল্টারযুক্ত বিড়ির দাম ১৫ টাকা থেকে ১৭ টাকা করা হয়েছে। এদিকে ফিল্টারবিহীন বিড়িতে দাম বেড়েছে মাত্র ১ দশমিক ৫ টাকা। ফিল্টারাবিহীন বিড়ির প্রধান ভোক্তা নিম্ন আয়ের দরিদ্র মানুষ। দরিদ্র মানুষের ওপর এই সামান্য মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়বেনা। ফিল্টারবিহীন ও ফিল্টারযুক্ত বিড়িতে সম্পূরকশুল্ক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয় যার মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব বাড়বে এবং বিড়ি কোম্পানির মুনাফা কিছুটা হলেও কমে আসবে। কিন্তু আমাদের প্রস্তাবনায় বিড়ির ফিল্টার এবং নন-ফিল্টার বিভাজন তুলে দেওয়ার প্রস্তাব বিবেচিত হয়নি। ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যে করারোপের ক্ষেত্রে প্রচলিত ট্যারিফ ভ্যালু প্রথা বাতিলের করে প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা মূল্য ৩০ টাকা করা হয়, যা ২০১৮-১৯-এ ছিল ১২ টাকা । প্রতি ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা ২০১৮-১৯-এ ছিল ৬ টাকা । এবং সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয় ৫০ শতাংশ। ওজনের উপর ভিত্তি করে জর্দা ও গুলের মূল্য নির্ধারণ করার ফলে ধোঁয়াবিহীন (জর্দা ও গুলের) পণ্য থেকে কর আদায়ের জটিলতা কিছুটা হলেও সহজ হবে এবং আদায়কৃত করের পরিমাণও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে এবং সরকারের রাজস্ব বাড়বে আশা করা যায়।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দ্যা ইউনিয়নের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট মাহবুবুল আলম তাহিন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের রোগতত্ত্ব এন্ড গবেষণা-এর প্রধান প্রফেসর ড. সোহেল রেজা চৌধুরী, তামাক বিরোধী নারী জোটের কো-অডিনেটর সৈয়দা সাঈদা আক্তার, যমুনা নিউজের স্পেশাল করেসপন্ডেট সুশান্ত সিনহা, এইড ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বকুল, সাভার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শরাফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিড্স-এর কান্ট্রি লিড কন্সালটেন্ট মো. শরীফুল ইসলাম, কান্ট্রি ম্যানেজার আব্দুস সালাম মিঞাঁ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাজেট ২০১৯


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ