Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

গবেষণা প্রতিবেদন এসএমই উন্নয়নে বাধা ঋণ না পাওয়া

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০১৯, ৭:০২ পিএম

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও নানা বাধার কারণে এ খাত বিকশিত হচ্ছে না। এ শিল্পের অন্যতম বাধা ঋণপ্রাপ্তির সমস্যা। ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া যায় না বলে চড়া সুদে এনজিওদের দ্বারস্থ হতে হয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই)। ফলে এ বেশি সুদ দিয়ে লাভ করে ঋণ পরিশোধ কষ্টকর হয়ে পড়ে। কিন্ত এত কিছুর পরও এসএমইতে ঋণ খেলাপির সংখ্যা খুবই কম।

‘স্টাডি অন ফিউচার ডিরেকশন অব এসএমই’স ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসছে। পরিকল্পনা বিভাগের তত্ত্বাবধানে গবেষণাটি পরিচালনা করে পাথমার্ক অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড। রোববার (১৬ জুন) গবেষণা প্রতিবেদনটির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম। পরিকল্পনা সচিব মো. নূরুল আমিন এতে সভাপতিত্ব করেন।

কর্মশালায় পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এ দেশের অর্থনীতির প্রাণ। কিন্ত তারপরও এ শিল্প নিয়ে খুব বেশি গবেষণা হয়নি। পরিকল্পনা বিভাগ এরকম একটি উদ্যোগ নেওয়ায় তাদের ধন্যবাদ জানাই। এই গবেষণার মধ্য দিয়ে যে ফল বেরিয়ে এসেছে, সেগুলো আগামীতে নীতি পকিল্পনা গ্রহণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

ড. শামসুল আলম বলেন, প্রকল্প প্রক্রিয়াকরণ ও বাস্তবায়ন তদারকির পাশাপাশি গবেষণার উদ্যোগ নেওয়াটা একটি নতুন উদ্যোগ। এ ধরনের উদ্যোগ অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এসএমই কর্মসংস্থান তৈরি এবং দারিদ্র্য নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ। এই খাত উন্নয়নে সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

নূরুল আমিন বলেন, যেকোনো খাতে অগ্রগতি অর্জন করতে হলে গবেষণার বিকল্প নেই। তাই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসএমই খাতে বিভিন্ন বাধা রয়েছে। এসব বাধা দূর করা গেলে এসএমই বিকাশ ত্বরান্বিত হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) এসএমই’র অবদান রয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি এসএমই পণ্য রফতানিও শুরু হয়েছে। কর্মসংস্থান তৈরিতে এ খাতের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।

এই শিল্প বিকাশের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের বাধার কথা তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, অর্থপ্রাপ্তির অসুবিধা, ব্যবসা সহায়ক সহায়তার অভাব, আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণ, প্রযুক্তির প্রয়োগ ও হস্তান্তর না হওয়া এবং উদ্যোক্তাদের শিক্ষা-প্রশিক্ষণ ও এসএমই’র সঠিক পরিসংখ্যানের অভাব এই খাতের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শিল্প খাতের মোট কর্মসংস্থানের ২৫ দশমিক পাঁচ শতাংশ শ্রমশক্তি এসএমই খাতের। বলা হয়েছে, এসএমই খাতে গড় সুদের হার সর্বনিন্ম ১২ দশমিক ৭ শতাংশ, সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক দুই শতাংশ। এই সুদ হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনা উচিত। তাছাড়া কাঁচামালে ক্ষেত্রেও রয়েছে নানা সমস্যা। এর মধ্যে দাম অনেক বেশি, সংগ্রহ করতে অনেক সময় বেশি সময় লাগে এবং মানসম্মত কাঁচামালের অভাব রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এসএমই


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ