Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার ইঙ্গিত ওবায়দুল কাদেরের

সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের বিরোধিতা করা এবং নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা আমাদের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

গতকাল রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকার কাওলায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, নেক্সট ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে। আমরা খুব দ্রæত ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক করবো। আমাদের কাছে রিপোর্ট আছে। রিপোর্টের ভিত্তিতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে ছোট ভাই ওবাইদুর রহমান কালু খানের পক্ষে আনারস প্রতিকের ক্যাম্পেইন অংশ নিচ্ছেন। উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং সরকারের সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানের সাথে মতভেদ দেখা দিয়েছে। এ উপজেলায় নৌকায় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে।

এসময় দুই মামলায় খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়েও কথা বলেন আওয়ামর লীগ সাধারণ সম্পাদক। গত সোমবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আদালত খালেদা জিয়ার জামিন দিতে চাইলে সরকার তাতে হস্তক্ষেপ করবে না। এটি সম্পূর্ণ আদালতের ব্যাপার। আদালত যে কাউকে জামিন দিতে পারেন।

মানহানির দুই মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ছয়মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। ২০১৪ সালে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও ২০১৬ সালে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত মামলা দুটি বিচারাধীন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের আদালত সব সময়ই স্বাধীন। শেখ হাসিনার সরকার কখনোই বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করে না। খালেদা জিয়ার ব্যাপারেও আদালত স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এ জামিনের মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণ হলো, আদালত স্বাধীন।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা শুধু বিরোধিতার জন্য বলেন, আদালত স্বাধীন নয়। খালেদা জিয়ার জন্য দলীয়ভাবে কিছু করতে ব্যর্থ হয়ে সরকারের ওপর দোষ চাপান। খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন কি-না? এ প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটাও আদালতের ব্যাপার। মামলা তো অনেকগুলো। সব মামলায় জামিন পেলে আদালত মুক্তি দেবেন। আদালত নির্দেশ দিলে সরকার কাউকে কারাগারে রাখতে পারে না।

বগুড়া-৬ সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি। তাদের অভিযোগ কারচুপি করতেই ইভিএম। এমন অভিযোগর জবাবে কাদের বলেন, অতীতে দেখা গেছে ইভিএম যেখানেই ব্যবহার করা হয়েছে বিরোধী দল সেখানেই ভালো করেছে। ইভিএম নিয়ে সন্দেহ করার কোন কারণ নেই। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। বিএনপি প্রার্থীর যে তার অবস্থান ভালো থাকলে কেউ তাকে জয় থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না। জনগণ যে রায় দেবে সে রায় অনুযায়ী যে নির্বাচিত হবে।তাকে কেউ আটকে রাখতে পারবে না।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে কাদের বলেন, শপথ না নিয়ে ফখরুলে এখন মনে মনে আফসোস করছেন। তাদের দুজন এমপিই সংসদ গরম করে দিয়েছেন। ফখরুল ইসলাম থাকলে সংসদ আরও গরম হতো। তিনি শপথ না নিয়ে নিজেকে ও দলকে বঞ্চিত করেছেন। তিনি যোগ দিলেন না, সতীর্থরা যোগ দিলেন। যারা সংসদে যোগ দিয়েছেন, তারা তো কথা বলছেন। ফখরুল কেন দ্বৈতনীতি গ্রহণ করলেন? সরকারবিরোধী কৌশলের জন্য তিনি শপথ নেননি, এ বক্তব্য হাস্যকর।#



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ