Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নিত্যপণ্যে ভ্যাট, চাপে পড়বে ভোক্তা- ক্যাব

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০১৯, ৭:২৪ পিএম

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ২০১২ সালের ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে অনেক নতুন পণ্য ভ্যাটের আওতায় আসবে। ফলে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে; চাপে পড়বে সাধারণ ভোক্তারা। নিত্যপণ্যে ভ্যাট অরোপ না করার আহ্বান জানিয়েছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

শনিবার (২২ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত প্রস্তাবিত বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ক্যাব এ কথা জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ক্যাবের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান। এ সময় ক্যাবের সেক্রেটারি হুমায়ুন কবির ও জ্বালানি উপদেষ্টা প্রফেসর শামসুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ক্যাব জানায়, প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ২০১২ সালের ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে নিত্যব্যবহার্য পণ্যের মূল্য বাড়বে। প্রস্তাবিত বাজেট পেশ হলেও ইতোমধ্যে বাজারে দুধ, চিনিসহ কয়েকটি পণ্য বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া একক করহার ১৫ শতাংশ ছাড়াও ৫ শতাংশ, সাড়ে ৭ শতাংশ এবং ১০ শতাংশ করারোপের বিধান করায় ক্রেতা-ভোক্তারা বাড়তি কর পরিশোধে বাধ্য হবেন। ভোক্তার স্বার্থে পণ্যের দাম বাড়ে এমন ভ্যাট আরোপ করবে না সরকার বলে প্রত্যাশা করেন ক্যাব সভাপতি।

গোলাম রহমান বলেন, দেশের আমদানির ওপর আরোপিত (২০১৭) শুল্কহার গড়ে ২৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। ২০১৬ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর গড় আমদানি শুল্কহার ছিল ৪ দশমিক ৭৩ এবং দক্ষণ এশিয়ার দেশগুলোয় এ হার ছিল ১২ দশমিক ১৯ শতাংশ।

তিনি বলেন, প্রত্যাশা ছিল বাজেটে শুল্কনীতি পর্যালোচনা করে ক্রমান্বয়ে আমদানি শুল্ক কমানোর উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। কিন্তু তা হয়নি। বরং গুঁড়া দুধ ও চিনিসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। গুঁড়া দুধের আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব যথাযথ নয়। আশা করবো সংসদে আলোচনার পর এ প্রস্তাব প্রত্যাহার করা হবে।

তিনি বলেন, সঞ্চয়পত্রের সুদ থেকে অর্জিত আয়ের ওপর আয়কর দ্বিগুণ করে সরকারের অবসরপ্রাপ্ত, বয়স্ক, মধ্যবিত্ত, গৃহহীনসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই বর্ধিত উৎসে কর কমানোর দাবি জানানো হয়।

আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে প্রতি বছরই সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহে বিলম্ব হয়। এতে কৃষক সরকারের সুফল থেকে বঞ্চিত হন, লাভবান হন মিল মালিক ও মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়িক শ্রেণি। অনেক সময় রাজনীতিকরা এ সুবিধা লুটে নেন। এ অবস্থার উত্তরণে প্রস্তাবিত বাজেটে মিলারদের সম্পৃক্ত করে ‘কন্ট্রাক্ট গোয়িং’ পদ্ধতিতে ধান-চালের ক্রয়ের দাবি জানায় ক্যাব।

ভোক্তা স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কার্যক্রমে সমন্বয় এবং জীবনযাত্রার ব্যয় সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ১২-১৫টি খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য এবং সেবা চিহ্নিত করে সেসব পণ্য ও সেবার মূল্য সহনীয় এবং স্থিতিশীল রাখার জন্য ‘ভোক্তা বিষয়ক বিভাগ’ নামে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি পৃথক বিভাগ অথবা স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে ক্যাব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিত্যপণ্যে ভ্যাট
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ