Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মসজিদ নির্মাণে প্রচারণা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

ইথিওপিয়ার একটি শহর আকসুম। প্রায় ৭৩ হাজার অধিবাসীর এই শহরে ১০ শতাংশ মুসলিম। কিন্তু এই শহরে নেই কোনো স্থায়ী মসজিদ। এমনকি মসজিদ স্থাপন করতেও দেওয়া হয় না সেখানে। তবুও জাস্টিস ফর আকসুম মুসলিম এর ব্যানারে একদল মুসলিম সেখানে মসজিদ নির্মাণের জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন। তাদের দাবি, মসজিদ নির্মাণ ও প্রার্থনার সুযোগ পাওয়া তাদের অধিকার। আর তাদের এ তৎপরতায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন সেখানকার অর্থোডক্স খ্রিস্টানরা। খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতারা অবশ্য এই বিষয়টিকে মানতে পারছেন না। খ্রিস্টানদের সিনিয়র ধর্মীয় নেতা গডেফা মেরহা বলেন, আকসুম তাদের কাছে মক্কা। তাদের বিশ্বাস ইসলামের পবিত্র স্থানগুলোতে যেমন গির্জা নিষিদ্ধ, তেমনি আকসুমেও কোনো মসজিদ থাকতে পারে না। গডেফা বলেন, ‘আকসুম একটি পবিত্র স্থান। সিটি অব মনেস্ট্রি। এখানে কেউ যদি মসজিদ নির্মাণ করতে আসেন তাহলে আমরা মরব। কখনোই এটা মেনে নেয়া হবে না। আমাদের জীবদ্দশায় এটা আমরা অনুমোদন করব না।’ যদিও সেখানকার অনেকে বিশ্বাস করেন যে এ বিতর্ক অর্থহীন। কারণ প্রাচীন এ শহরটি অনাদিকাল থেকেই ধর্মীয় সহনশীলতার জন্য সুপরিচিত। ধর্মদুটির অনুসারীদের মতে ইসলামের সূচনালগ্নে মক্কায় অমুসলিম শাসকদের অত্যাচারে পালিয়ে প্রথম মুসলিমরা এসেছিল এই শহরে। তৎকালীন খ্রিস্টান রাজা সে সময় তাদের স্বাগত জানিয়েছিলেন। মূলত আরব উপত্যকার বাইরে এটাই ছিল মুসলিমদের প্রথম কোনো উপস্থিতি। এখন আকসুমের ৭৩ হাজার অধিবাসীর শতকরা ৮৫ ভাগ অর্থোডক্স খ্রিস্টান, ১০ ভাগ মুসলিম, আর ৫ ভাগ খ্রিস্টান ধর্মের অন্য ধারার অনুসারী। শহরের ৪০ বছর বয়সী আব্দু মোহাম্মদ আলী নামে এক মুসলিম বলেন, তারা কয়েক প্রজন্ম ধরে খ্রিস্টানদের একটি বাড়ি প্রার্থনার জন্য ব্যবহার করছেন। তিনি বলেন, শহরে আমাদের তেরটি অস্থায়ী মসজিদ আছে। শুক্রবার আমরা মাইক ব্যবহার করলে তারা বলে আমরা সেন্ট ম্যারিকে অসম্মান করছি। চিকিৎসক আজিজ মোহাম্মদ প্রায় ২০ বছর ধরে আকসুমে বাস করছেন। মসজিদ না থাকায় অনেক মুসলিম খোলা জায়গায় প্রার্থনা করতে বাধ্য হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখানে আমরা মুসলিম ও খ্রিস্টান সবাই একই সঙ্গে বাস করি। খ্রিস্টানরা বাধা দেয় না। কিন্তু বহু বছর ধরেই আমরা রাস্তায় নামাজ পড়ছি, আমাদের একটি মসজিদ দরকার।’ বিবিসি বাংলা।



 

Show all comments
  • Kamal Pasha ২৭ জুন, ২০১৯, ১০:৩৬ এএম says : 0
    আল্লাহ আপনাদের প্রচেষ্টাকে সফল করুক
    Total Reply(0) Reply
  • HM Sirajul Islam Siraji ২৭ জুন, ২০১৯, ১০:৩৯ এএম says : 0
    মসজিদ অাল্লাহর ঘর এখানে ধর্মপ্রান মোসলমানগন প্রার্থনা করবেন এটা তাদের অধিকারের মধ্যে পরে এটি বাধা দেওয়া নীতি ও নৈতিকতা বিরোধী,অবিলম্বে তাদের মনে সমঝোতার উদয়হোক সেই প্রত্যাশা করি।
    Total Reply(0) Reply
  • Jalal Ahmed Bhuiyan ২৭ জুন, ২০১৯, ১০:৪১ এএম says : 0
    ইনশআল্লাহ মসজিদ হবেই হবে
    Total Reply(0) Reply
  • আবু মুসান্না ২৭ জুন, ২০১৯, ১:৪০ পিএম says : 0
    এই সেই আকসুম যার শাসকের উপাধি ছিল নাজ্জাশী। যিনি প্রথম হিজরতকারী মুসলমানদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। নবিজি স: তার সম্পর্কে বলেছেন "তোমরা হাবশায় হিজরত করতে পারো,কেননা সেখানে এমন একজন বাদশা আছেন যার কাছে কেউ নির্যাতিত হয় না আর তা সত্যবাদিতার দেশ।" নাজ্জাশীর নাম ছিল আসহামা ইবনে আবযার। কুরাইশদের প্রতিনীধি আমর ইবনুল আস মুহাজির মুসলমানদের ফিরিয়ে নিতে তার দরবারে অনেক উপঢৌকন নিয়ে হাজির হন। কিন্তু মুসলমানদের ফিরিয়ে দেওয়া তো দূরের কথা বরং উল্টো কুরাইশদের উপঢৌকন প্রত্যাখান করেন এবং মুসলমানদের নিরাপদে এবাদত বন্দেগি করার পূর্ণ নিরাপত্তা প্রদান করেন। অতপর তিনি নিজেও মুসলমান হন এবং মদিনায় হিজরতের আগ্রহ জানিয়ে নবিজির কাছে পত্র লেখেন ও আদেশের অপেক্ষা করতে থাকেন। নবিজি তাকে আপন দেশেই অবস্থান করার আদেশ করেন। তার ইন্তেকালে নবিজি সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রম করে গায়েবানা জানাযা পড়েন। আফসোস!!! আজ এখানে ১০শতাংশ অধিবাসী মুসলমানদের আল্লাহকে সেজদা করার জন্য মসজিদ নির্মাণের অধিকার নেই!
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ