Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

হংকংয়ের নৌঘাঁটির কর্তৃত্ব চীনের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

চরম উত্তেজনা ও বেইজিংবিরোধী বিক্ষোভের মধ্যেই চীনা সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে যাচ্ছে হংকংয়ের গুরুত্বপূর্ণ একটি নৌবন্দর বা ঘাঁটি। শনিবারই পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) হাতে চলে যাবে ভিক্টোরিয়া হার্বার। ১৯৯৪ সালে ব্রিটেন ও চীনের মধ্যকার চুক্তির অধীন নৌঘাঁটি হাতবদল হবে। ফলে এদিন থেকেই ৩ হাজার বর্গমিটার আয়তনের ঘাঁটিতে নোঙর করতে পারবে চীনা নৌবাহিনীর জাহাজগুলো। হংকংয়ের ইতিমধ্যে পিএলএর একটি ঘাঁটি রয়েছে। খবর এএফপির। অপরাধী প্রত্যর্পণ বিল নামে বিতর্কিত একটি আইন বাতিলের দাবিতে চলতি মাসে বিক্ষোভে নামেন হংকংবাসী। কয়েক লাখ বিক্ষোভকারীর অংশগ্রহণে মূলত অচল হয়ে পড়ে হংকং। পুলিশের সঙ্গে একাধিকবার সংঘর্ষে জড়িয়েছেন তারা। আহত হয়েছেন অনেকে। জনতার অব্যাহত চাপের মুখে বিলটি নিয়ে সব কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে হংকং কর্তৃপক্ষ। জানিয়েছে, এ বিল নিয়ে তাদের আরও চিন্তা করা দরকার। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট হননি বিক্ষোভকারীরা। তারা জানিয়েছেন, বিতর্কিত ওই প্রত্যাবর্তন বিল বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তারা বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন। গত শুক্রবার সর্বশেষ বিক্ষোভ করেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। এদিন বিতর্কিত প্রত্যাবর্তন আইন বিষয়ক বিল বাতিলের দাবিতে পুলিশ সদর দফতর ঘেরাও করে। এরপর গত কয়েকদিন ধরে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটিতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। ১৮৪১ সাল থেকে ব্রিটিশ কলোনির অধীন ছিল হংকং। প্রথম আফিম যুদ্ধের পর ব্রিটিশদের কাছে দ্বীপটি সমর্পণ করে চীন। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৭ সালে সার্বভৌমত্ব অর্জনের পর ‘এক দেশ, দুই নীতি’ শর্তের আওতায় ফের চীনের কাছে হস্তান্তরিত হয় হংকং। এতে চীনের অধীন থাকলেও নিজস্ব শাসন ব্যবস্থা থাকবে হংকংয়ের। তখন থেকে বর্তমান পর্যন্ত এটিই ছিল এ শহরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের একটি। বিক্ষোভে হংকংয়ের নৌবন্দরটি চীনের হাতে তুলে না দেয়ার জোর দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। এর মধ্যেই হংকংয়ের ভিক্টোরিয়া নৌবন্দরটি চীনের হাতে তুলে দেয়া নিয়ে হংকং পার্লামেন্টে একটি বিতর্কের আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু বুধবারই বিতর্কটি স্থগিত ঘোষণা করেন বেইজিংপন্থী আইনপ্রণেতারা। কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শুক্রবার থেকে ফের বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন গণতন্ত্রপন্থীরা। গণতন্ত্রী নেতা ও আইনপ্রণেতা ক্লদিয়া মো এএফপিকে বলেন, হংকং সরকার যে জনগণের স্বার্থ দেখছে এটা নিশ্চিতভাবেই তার একটি বড় দৃষ্টান্ত। শুক্রবার জি-২০ সম্মেলনে অংশ নেয়া বিশ্বনেতাদের প্রতি হংকংয়ের ক্ষয়িষ্ণু মতপ্রকাশ ও বাকস্বাধীনতার ব্যাপারে কথা বলার আহ্বান জানিয়েছেন বিক্ষোভের অন্যতম প্রধান নেতা যশুয়া অং। সিএনবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বিশ্বনেতাদের অবশ্যই এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে হবে। এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ