Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বুড়িগঙ্গা নদীর দুই তীরে তৃতীয় দিনে ৮৮টি স্থাপনা উচ্ছেদ

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০১৯, ৭:২৪ পিএম

বুড়িগঙ্গা নদীর দুই তীরে বিআইডব্লিউটিএ এর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের চতুর্থ দফার তৃতীয় দিনে ৮৮টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। আজ বৃস্পতিবার (০৪জুলাই) সকাল ৯টায় বুড়িগঙ্গা নদীর উত্তর পাশ কামরাঙ্গীরচরের হুজুরপারা হতে বাবুবাজারব্রীজ পর্যন্ত এবং নদীর দক্ষিন পাশে বাবুবাজার ব্রিজ থেকে কেরানীগঞ্জের তেলঘাট পর্যন্ত এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ছোট বড় ৮৮টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও ১.৫ একর সরকারি জায়গা দখলদারদের হাত থেকে অবমুক্ত করা হয়। বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত এই উচ্ছেদ অভিযানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিআইডব্লিউটিএ এর ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন , উপ-পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান, সহকারি পরিচালক মোঃ নূর হোসেন, সহকারি পরিচালক মোঃ রেজাউল করিম।
অভিযান চলাকালিন সময় কামরাঙ্গীরচর হুজুরপারা এলাকায় একটি পাকা ভবন ভাঙ্গার সময় অভিযানে বাঁধা দেয়ায় অবৈধ দখলদার জামান হোসেন নামে একজনকে আটক করে কামরাঙ্গীরচর থানায় সোপার্দ করা হয়েছে।একই অপরাধে আবুল হোসেন ও আব্দুর রহমান নামে আরো দু‘জনসহ মোট তিন জনের নামে বিআইডব্লিউটিএ উপ পরিচালক একেএম কায়সারুল ইসলাম বাদী হয়ে কামরাঙ্গীরচর থানায় একটি মামলা করেছেন । মামলা নং-১০ ।
বিআইডব্লিউটিএ এর যুগ্ন পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন জানান,দখলকারীরা যতই শক্তিশালী হোক আমরা নদীর দু‘পাশ উদ্ধার করবই। আমরা ৫দিনের বিরতি দিয়ে আবার আগামী ৯ জুলাই মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় বাদামতলী থেকে এই অভিযান শুরু করা হবে। উচ্ছেদ অভিযানটি শুরু হয়ে পর পর তিন দিন প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত একটানা ফতুল্লার অভিমুখে বুড়িগঙ্গা নদীর উভয় তীরে উচ্ছেদ অভিযান চলবে। তিনি আরো বলেন,চতুর্থ দফার উচ্ছেদ অভিযানের তৃতীয় দিনে ৮৮ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।যার মধ্যে রয়েছে তিন তলা ভবন ১টি, দোতলা ভবন ৩ টি,এক তলা ভবন ১৩টি,আধা পাকা ২৪ টি,বাউন্ডারি ওয়াল ১৬ টি,টিনের ঘর ৩১ টি। এসব স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে ১.৫ একর জায়গা অবমুক্ত করা হয়েছে। ১২ কার্যদিবস-এর এই উচ্ছেদ অভিযানে আজ তৃতীয় দিন । আমাদের এ অভিযান ২৫ জুলাই পর্যন্ত ফতুল্লার আলীগঞ্জ পর্যন্ত চলবে।তিনি আরও বলেন, উচ্ছেদকৃত জায়গায় ওয়াকওয়ে, ইকোপার্ক, গাইডওয়াল ও তীর প্রটেকশন নির্মান করা হবে। সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য বৃক্ষরোপনসহ সেখানে বসার জায়গা থাকবে।
বিআইডব্লিউটিএ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখানে কয়েক বছর আগেই নদী রক্ষা সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়। সীমানা পিলার অতিক্রম করে নির্মিত স্থাপনাগুলোই শুধু উচ্ছেদ করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, নদী রক্ষায় মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে। দখলদার যত ক্ষমতাশালী হোক, সেটা দেখা হবে না। নদীর জায়গা নদীতে ফিরিয়ে দিতে আমরা বদ্ধ পরিকর।

 

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উচ্ছেদ অভিযান

১৮ অক্টোবর, ২০২২
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ