Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বুড়িগঙ্গার দুই তীরে ৮৮ স্থাপনা উচ্ছেদ

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৭ এএম

বুড়িগঙ্গা নদীর দুই তীরে বিআইডবিøউটিএ এর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের চতুর্থ দফার তৃতীয় দিনে ৮৮ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। গতকাল বৃস্পতিবার বুড়িগঙ্গা নদীর উত্তর পাশ কামরাঙ্গীরচরের হুজুরপারা হতে বাবুবাজার ব্রীজ পর্যন্ত এবং নদীর দক্ষিন পাশে বাবুবাজার ব্রিজ থেকে কেরানীগঞ্জের তেলঘাট পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ছোট বড় ৮৮ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও ১.৫ একর সরকারি জায়গা দখলদারদের হাত থেকে মুক্ত করা হয়।

বিআইডবিøউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত উচ্ছেদ অভিযানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিআইডবিøউটিএ ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন, উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, সহকারি পরিচালক মো. নূর হোসেন, সহকারি পরিচালক মো. রেজাউল করিম। অভিযান চলাকালিন কামরাঙ্গীরচর হুজুরপারা এলাকায় একটি পাকা ভবন ভাঙ্গার সময় অভিযানে বাঁধা দেয়ায় অবৈধ দখলদার জামান হোসেন নামে একজনকে আটক করে কামরাঙ্গীরচর থানায় সোপর্দ করা হয়। একই অপরাধে আবুল হোসেন ও আব্দুর রহমান নামে আরো দু’জনসহ মোট তিন জনের নামে বিআইডবিøউটিএ উপ পরিচালক একেএম কায়সারুল ইসলাম বাদি হয়ে কামরাঙ্গীরচর থানায় একটি মামলা করেছেন । মামলা নং-১০ ।
বিআইডবিøউটিএ যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন জানান, দখলকারিরা যতই শক্তিশালী হোক আমরা নদীর দু’পাশ উদ্ধার করবই। আমরা ৫ দিনের বিরতি দিয়ে আবার ৯ জুলাই বাদামতলী থেকে অভিযান শুরু করা হবে। উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়ে পর পর তিন দিন প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত একটানা ফতুল্লা অভিমুখে বুড়িগঙ্গা নদীর উভয় তীরে উচ্ছেদ অভিযান চলবে। তিনি আরো বলেন, চতুর্থ দফার উচ্ছেদ অভিযানের তৃতীয় দিনে ৮৮ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে তিন তলা ভবন ১টি, দোতলা ভবন ৩ টি, এক তলা ভবন ১৩টি, আধা পাকা ২৪ টি, বাউন্ডারি ওয়াল ১৬ টি, টিনের ঘর ৩১ টি। এসব স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে ১.৫ একর জায়গা মুক্ত করা হয়েছে। ১২ কার্যদিবসে এ উচ্ছেদ অভিযানের গতকাল তৃতীয় দিন । এ অভিযান ২৫ জুলাই ফতুল্লার আলীগঞ্জ পর্যন্ত চলবে। তিনি আরও বলেন, উচ্ছেদ হওয়া জায়গায় ওয়াকওয়ে, ইকোপার্ক, গাইডওয়াল ও তীর প্রটেকশন নির্মাণ করা হবে। সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য বৃক্ষরোপনসহ সেখানে বসার জায়গা থাকবে।

বিআইডবিøউটিএ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখানে কয়েক বছর আগেই নদী রক্ষা সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়। সীমানা পিলার অতিক্রম করে নির্মিত স্থাপনাগুলোই শুধু উচ্ছেদ করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, নদী রক্ষায় মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে। নদীর জায়গা নদীতে ফিরিয়ে দিতে আমরা বদ্ধ পরিকর।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বুড়িগঙ্গা

২২ নভেম্বর, ২০২২
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ