Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ইমারজেন্সি এক্সিট না থাকায় বের হতে জটলা

ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে আগুন

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে দশটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় তাৎক্ষণিকভাবে গ্রন্থাগার থেকে বেরিয়ে আসেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় ২ থেকে আড়াই হাজার শিক্ষার্থী ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ৩ তলা লাইব্রেরিতে ইমার্জেন্সি এক্সিট সিঁড়ি না থাকায় একই সিঁড়ি দিয়ে নামতে জটলা বেঁধে যায়। এসময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

তবে আগুন লাগার ১৫ মিনিটের মধ্যে আগুন নেভাতে সক্ষম হয় গ্রন্থাগারের কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় ক্ষয়-ক্ষতির কোন খবর পাওয়া যায়নি। এর ১০ মিনিট পর গুলিস্তান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। এসময় তারা পরিস্থিতির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেন এবং গ্রন্থাগারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে দশটার সময় গ্রন্থাগারের নিচতলার সার্কিট বোর্ডে আগুন লাগে। বোর্ডের তারে আগুন লেগে মুহূর্তের মধ্যেই সর্বত্র ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। এসময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ভেতরে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, আমরা ভেতরে প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী ছিলাম। কিন্তু আগুন লাগার পর একই সিড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে জটলা তৈরী হয়। বড় ঘটনা ঘটলে আমরা হয়তো জটলার মধ্যে বের হতে পারতামনা।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী সরজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গিয়েছে ৩ তলা লাইব্রেরিতে উপরে উঠার মাত্র একটা সিঁড়ি খোলা থাকে। যাতে একসাথে সর্বোচ্চ দুজন শিক্ষার্থী হাঁটতে পারবেন। এছাড়া বের হওয়ার জন্য পিছনে ও কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন অংশে দুটি পকেট গেট থাকলেও তা শুধু সকালে ডুকার সময় খুলে দেয়া হয়। বাকি অধিকাংশ সময়ই এগুলো বন্ধ রাখা হয়।

আগুন নেভানোর পর ঘটনাস্থলে আসেন বিশ্ববিদ্যলয়ের উপ-ভিসি (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সামাদ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শর্ট সার্কিট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রন্থাগারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, গ্রন্থাগারের পেছনে ধোঁয়া দেখার পরপরই গ্রন্থাগারের কর্মচারিরা অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। ফলে কোন শিক্ষার্থী এবং গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত মূল্যবান গ্রন্থ ক্ষতির শিকার হয় নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক প্রফেসর ড. এস এম জাবেদ আহমদ বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে সুইচ বোর্ডগুলোতে আগুন লেগে যায়। আমরা তৈরি ছিলাম, আমাদের লোকজন অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেছে। এ ঘটনার পর আমরা গ্রন্থাগার বন্ধ করে দিয়েছি। সবগুলো বৈদ্যুতিক তার চেক করার পর আমরা গ্রন্থাগার খুলব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢাবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ