Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

‘হরতাল নামক অস্ত্রে’ মরিচা ধরে গেছে

প্রেস ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম | আপডেট : ১২:১৯ এএম, ৮ জুলাই, ২০১৯

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাম গণতান্ত্রিক জোট আহূত হরতালের সমালোচনা করে বলেছেন, ঢাকা শহরে হরতালের কোনো চিহ্ন নেই। রাজধানী ঢাকায় সকাল থেকে প্রতিদিনের পরিচিত যানজটের দৃশ্যই বিরাজমান ছিল। বাস্তবতা বুঝে এ হরতালে জনগণের সাড়া নেই। হরতাল এখন গণ-আন্দোলনের অস্ত্র নয়, এটা মরিচা ধরে গেছে। তিনি বলেন, গ্যাসের দাম সমন্বয় করার জন্য মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে। এ কারণে গ্যাসের দাম বাড়ানো অযৌক্তিক হয়নি।

গতকাল দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সম্পাদকমন্ডলীর বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আহমদ হোসেন, এনামুল হক শামীম, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আইনবিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘এলএনজি ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে’ এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা বিরোধীদের গতানুগতিক বক্তব্য।
গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে জনগণের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভোটের রাজনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, এ কথা ভেবে আমরা রাজনীতি করি না। আমরা রাজনীতি করি, সঠিকভাবে, বাস্তবসম্মত, যুক্তিসঙ্গত বিষয় বিবেচনা করে, জনগণের স্বার্থে। জনগণের স্বার্থ দেখতে কতগুলো বিষয়ে ভারসাম্য রক্ষা করতে হয়। সব কিছু মিলে দেশ একটা সুষম অবস্থায় আছে।

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের লাগাম টেনে ধরার কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের ক্ষেত্রে আশকারা পেলে এর প্রবণতা বাড়ে। তাদের বিষয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। দলের কার্যনির্বাহী সভার পরবর্তী বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলের প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করা নেতাদের শাস্তির বিষয়ে তিনি বলেন, কেউ এমপি ও মন্ত্রী হয়ে দলের বিরুদ্ধে কাজ করলে, তাকে ভবিষ্যতে মনোনয়ন দেয়া না-ও হতে পারে। মন্ত্রী করা না-ও হতে পারে। এভাবেও তাকে অগুরুত্বপূর্ণ করা যায়। শাস্তি মানেই দল থেকে বহিষ্কার নয়, নানা রকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে।
‘সরকার খালেদা জিয়ার মুক্তি আটকে রেখেছে’, বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন ও কৃতিত্বপ‚র্ণ ভ‚মিকা পালন করছে। খালেদা জিয়ার বিষয়ও বিচার বিভাগের বিষয়। রায় তাদের বিপক্ষে গেলেই তারা বিচার মানেন না।

ওবায়দুল কাদের জানান, বৈঠকে ১৫ আগস্ট সামনে রেখে মাসব্যাপী কর্মসূচি, জাতীয় সম্মেলনের সাংগঠনিক প্রস্তুতি, বিভিন্ন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কারো কারো অবস্থানের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি জানান, দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযান ২১ জুলাই শুরু হবে। তবে এর আগে এ বিষয়ে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করা হবে। দলে কিছু সাংগঠনিক সমস্যা রয়েছে, মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলো জাতীয় কাউন্সিলের আগে নতুন করে করা হবে। নির্ধারিত সময়ে কাউন্সিল আয়োজনের প্রস্তুতি ও লক্ষ্য নিয়েই তারা এগোচ্ছেন বলে জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওবায়দুল কাদের


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ