গ্রেফতার হয়নি কাজের মেয়ে কিছুটা সুস্থ গৃহকত্রী
গৃহকত্রীকে নির্মম নির্যাতন করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালানো গৃহকর্মী রেখা বারবার নিজের অবস্থান পাল্টাচ্ছে। ঘটনার পর মালিবাগেই অবস্থান করে সে। তারপর যায় ডেমরায়।
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকা থেকে তিন মাস বয়েসী শিশু অপহরণ চক্রে জড়িত এক দম্পতি গ্রেফতারসহ অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাররা হলো- সাথী ওরফে জোসনা বেগম ও তার স্বামী জসিম উদ্দিন। গত সোমবার রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) দক্ষিণ বিভাগের লালবাগ জোনাল টিম গাজীপুর থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে। পাচারের উদ্দেশ্যে তারা শিশুটিকে অপহরণ করেছে বলে জানা গেছে।
এর আগে গত ২ জুলাই কামরাঙ্গীরচরের বেইলিরোড এলাকার সোবহানের বাড়ি থেকে তিন মাস বয়েসী শিফাকে অপহরণ করে বাড়ির ভাড়াটিয়া সাথী। শিফা একই বাড়ির আরেক ভাড়াটিয়া গোলাপী আক্তারের মেয়ে। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে কামরাঙ্গীরচর থানায় মানব পাচার আইনে একটি মামলা করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অপহরণের মামলার পরে থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশও মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাত সোয়া ১০টার দিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা মোড় এলাকার বাস স্ট্যান্ডে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে তাদের দুই স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেফতার এবং অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে যে, গ্রেফতার সাথীর প্রকৃত নাম জোসনা বেগম। বাড়ি লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার হোসনাবাদ গ্রামে। তারা শিশুটিকে অপহরণের পর প্রথমে নরসিংদী এবং পরবর্তীতে নিজ এলাকায় যাওয়ার জন্য চন্দ্রা বাসস্ট্যান্ডে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল। কিন্তু পুলিশ তাদের গ্রেফতার করায় তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। তারা শিশুটিকে বিক্রির উদ্দেশ্যে অপহরণ করেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।