Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

লাকসামে ব্যথা নাশক ইনজেকশন দিয়ে ৪ মাস ধরে তরুণীকে ধর্ষণ

র‌্যাব আটক করলো ধর্ষককে

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ জুলাই, ২০১৯, ৬:২৮ পিএম

গতকাল বুধবার কুমিল্লার লাকসামে ডিজিটাল এ্যাডভাইস সেন্টারে সহকর্মী এক তরুণীকে দীর্ঘদিন ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মীর হোসেন সহ ২জনকে আটক করেছে কুমিল্লা র‌্যাব-১১। সে লাকসাম পৌরসভার বাইনছাটিয়া গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে। র‌্যাব ওই প্রতিষ্ঠান থেকে অভিযান চালিয়ে যৌন উত্তেজক বড়ি, অর্ধশতাধিক কনডম, একটি কম্পিউটার ও ভুয়া সনদপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, লাকসাম জংশন হাজী শাহজাহান মার্কেটে ডিজিটাল এ্যাডভাইস সেন্টার নামের একটি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসক সেজে মীর হোসেন দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। ওই প্রতিষ্ঠানের এক সহকর্মী তরুণীকে বিগত ৪ মাস যাবত ব্যথা নাশক ইনজেকশন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে বহুবার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় গত সোমবার ওই তরুণী বাদী হয়ে কুমিল্লা র‌্যাব-১১ কোম্পানি কমান্ডার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

গতকাল বুধবার সকালে র‌্যাবের একটি টিম ডিজিটাল এ্যাডভাইস সেন্টারে অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মীর হোসেনকে আটক করে। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শশুমই (১৮) নামের আরেক সহকর্মীকে আটক করে র‌্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যায়। অভিযান চালিয়ে র‌্যাব-১১ ওই প্রতিষ্ঠান থেকে কয়েক পাতা যৌন উত্তেজক বড়ি, অর্ধশতাধিক কনডম, একটি কম্পিউটার ও ভুয়া সনদপত্র উদ্ধার করে।

তরুণীর অভিযোগে জানা যায়, বিগত ৪ মাসে মীর হোসেন ব্যথা নাশক ইনজেকশন দিয়ে অর্ধশতাধিকবার তাকে ধর্ষণ করে। এছাড়াও তার সাথের আরো কয়েকজন তরুণীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, ওই প্রতিষ্ঠানের অবৈধ কার্যক্রমের অভিযোগে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে একাধিকবার জরিমানা আদায় ও সিলগালা করা হয়।

কুমিল্লা র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কোম্পানী কমান্ডার প্রনব কুমার বলেন, সহকর্মী তরুণীর অভিযোগের আলোকে আমরা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মীর হোসেন ও সহকর্মী সুমিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে নিয়ে যাচ্ছি। অভিযানে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে কয়েক পাতা যৌন উত্তেজক বড়ি, অর্ধশতাধিক কনডম, একটি কম্পিউটার ও ভূয়া সনদপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

 



 

Show all comments
  • [email protected] ১১ জুলাই, ২০১৯, ৭:১৯ পিএম says : 0
    ধর্ষনটা যেন মামুলি ব্যাপারর। মামলাটি যেন জামিন অযোগ্য হয়। জামিন পেলে আসামীরা মনে করে যে পার পেয়ে গেছি। ভিকটিমের মামলা যদি সত্য গঠনা প্রমানিত হয় তবে যেন আসামীকে কোন অবস্থাতে জামিন দেয়া না হয়।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ