Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মির্জাপুরের শিশু আব্দুল্লাহকে বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ জুলাই, ২০১৯, ৮:৪৩ পিএম

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আড়াই বছরের শিশু আব্দুল্লাহকে বাঁচাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। তার হার্টের তিনটি ছিদ্র নিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। জন্মের ৬ মাসের মাথায় কুমুদিনী হাসপাতালে রোগ শনাক্ত হলে একমাত্র শিশু পুত্রকে বাচাঁতে ঢাকা শিশু হাসপাতাল, ফজিলাতুননেছা, খাজা ইউনূস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা করান। কিন্তু ওইসব হাসপাতালের চিকিৎসকগণ পরামর্শ দেন ভারতে নেয়ার। তারা জানান ভারতে চিকিৎসা করাতে প্রাথমিকভাবে সাড়ে ৫ লাখ টাকা খরচ হবে।

আব্দুল্লাহর বাবা ক্ষুদ্র মুদি দোকানী কাবেল সিকদার শিশুপুত্রের চিকিৎসার জন্য দোকানের মালামাল ও বাড়ির ৪ শতাংশ জমির ২ শতাংশ বিক্রি করেন।
গত জুন মাসে ভারতের চেন্নাইয়ে নারান হাসপাতালে নিয়ে ছেলের হার্টের অপারেশন করান। চিকিৎসকরা কয়েক সপ্তাহ পর আবারও আব্দুল্লাহকে ভারত নিয়ে যেতে বলেছেন। কিন্তু শিশু আব্দুল্লাহর দরিদ্র পিতা-মাতার পক্ষে এখন আর ছেলের চিকিৎসা ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। হার্টে ছিদ্র আক্রান্ত শিশু আব্দুল্লাহ টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের ছাওয়ালী গ্রামের দরিদ্র মুদি দোকানদার কাবেল সিকদার ও হেলেনা বেগমের ছেলে।

আব্দুল্লাহর বাবা কাবেল সিকদার জানান, স্ত্রী ১০ বছরের মেয়ে এবং শিশুপুত্র আব্দুল্লাহকে নিয়ে সুখেই কাটছিলে তাদের সংসার। কিন্তু গত দুই বছর ধরে তার শিশু পুত্রের হার্টের চিকিৎসা করাতে গিয়ে দোকান ও বাড়ির জমি বিক্রি করতে হয়েছে। এছাড়া আত্মীয় স্বজনের কাজ থেকে ধার-দেনা করে সর্বস্ব হারা হয়েছি। তিনি আবেগ জড়িত কণ্ঠে বলেন এখন হয়তো টাকার অভাবে আর চিকিৎসা করা সম্ভব হবে না। এমতাবস্থায়, শিশুপুত্র আব্দুল্লাহর উন্নত চিকিৎসার জন্য সমাজের সকল হৃদয়বান ও দানশীল ব্যক্তির আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন তার অসহায় মা-বাবা।

চিকিৎসায় সহযোগিতা দিতে সরাসরি যোগাযোগ করুন শিশু আব্দুল্লাহর মা হেলেনা বেগমের এই মোবাইল নম্বরে- ০১৭৫৯৬৩৯৯৮১।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাহায্যে


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ