Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্রহ্মপুত্র নদীর পানির তোড়ে ধসে গেছে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ, ঘরবাড়ি ও আমন বীজ তলা পানিতে তলিয়ে গেছে

গাইবান্ধা থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০১৯, ৫:২২ পিএম

আজ গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি তোড়ে বাগুড়িয়া নামক স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের ১ শ ফিট অংশ ধ্বসে গেছে। ফলে পাশর্^বতী এলাকায় কয়েক ‘শ বাড়িঘর, আমন বীজ তলা পানিতে তলিয়ে গেছে।
বুক পানিতে তলিযে গেছে ঘরবাড়ি ও ফসলাদি। লোকজন কোন মতো তাদের গবাদী পশু ও কাথা বালিশ নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে আশ্রয়ের জন্য মালামাল স্তুপ করে রেখেছে। কোথায় যাবে তার কোন ঠিকানা নেই । এই হতাশায় এলাকার লোকজন ডুবে ডুবে তাদের ডুবন্তু ঘর থেকে যতোটুকু পারেন মালামালা সরিয়ে নিয়ে আসছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুয়ায়ী ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বিপদ সীমার ৮৩ সেন্টিমিটার ঘাঘট নদীর পানি বিপদ সীমার ৬২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, ৪টি উপজেলার প্রায় ৪৪ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এবং পানিবন্দী নিরাশ্রয় মানুষের জন্য ৬৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলায় বন্যা কবলিত ৪ উপজেলায় ২৪০ মে. টন চাল, নগদ ২ লাখ টাকা, ২ হাজার শুকনা খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এদিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কাপাসিয়া ইউনিয়নে বন্যা দুর্গত ১শ’ পরিবারের মধ্যে শুকনা খাবার ও বেলকা ইউনিয়নে ১শ’ পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। অপরদিকে সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩শ’ ৩০টি পরিবারের মধ্যে ২০ কেজি চাল এবং ৩০ পরিবারকে শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে। শুকনো খাবারের মধ্যে ছিল মিনিকেট চাল, সোয়াবিন তেল, মসুর ডাল, লুডুস, চিনি ও লবণ ইত্যাদি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা পরিস্থিতি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ