Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ভাড়ায় ফ্ল্যাট পাবেন বস্তিবাসী

ইস্কাটন গার্ডেনে আবাসিক ভবন উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পর্যায়ক্রমে প্রত্যেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। আগে আট ভাগ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আবাসন সুবিধা পেত। এখন ৪০ ভাগ পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি, তাতে সরকারি, বেসরকারি চাকরিজীবীসহ বস্তিবাসীরাও ফ্ল্যাটে বসবাস করার সুযোগ পাবে। বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহ ছাড়া থাকবে না। প্রতিটি মানুষ ঘর পাবে, জমি পাবে। রাজধানীর পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

গতকাল রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনে সরকারি কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবনসহ মোট সাতটি প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ পরিকল্পনার কথা জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন বা সরকারের নির্দেশিত কাজগুলো বাস্তবায়ন করেন, তাদের সুযোগ-সুবিধাা দেখাও একটা কর্তব্য বলে আমি মনে করি। শুধু রাজধানীই না আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে প্রতিটি জেলা, উপজেলা পর্যায়ে আমাদের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা। আমি আশা করি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা এসব সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে আবাসন সুবিধা পেয়ে তারা তাদের দায়িত্বের প্রতি আরো মনোযোগী হবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের জন্যই নয়, সব শ্রেণির মানুষের বাসস্থানের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে তার সরকার। তিনি জানান, স্বল্প ও মধ্যম আয়ের লোকদের কাছে বিক্রির জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শহরে ৩৩ হাজার ৫২৬টি প্লট উন্নয়ন এবং ৮ হাজার ৯২২টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে। ১৮ হাজার ১০৫টি প্লট উন্নয়ন এবং ৮ হাজার ৩৯টি ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ চলছে। এছাড়া সারাদেশে আরও ১৮ হাজার ১৪৮টি প্লট উন্নয়ন ও ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৮৭টি ফ্ল্যাট নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বস্তিবাসীদের জন্য ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পের প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বস্তিতে মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করে। এত খারাপ অবস্থায় থাকতে হয়, তবু এত উচ্চ ভাড়া দিতে হয়! কাজেই ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যা নির্মাণ করে বস্তিবাসীদের সেখানে থাকার ব্যবস্থা.. এই ভাড়া প্রতিদিন হিসেবেও দিতে পারবে, সপ্তাহিক হিসেবেও দিতে পারবে, মাস হিসেবেও দিতে পারবে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্থাপনার পরিকল্পনা ও নকশা প্রণয়ন করতে প্রকৌশলীদের প্রতি অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, টাকা হলেই যে যেখানে যত্রতত্র ভবন বানাবে বা শিল্প কারখানা বানাবে সেটা করতে দিতে চাই না। ইতিমধ্যে যত্রতত্র অনেক ইমারত গড়ে উঠেছে- এটা ঠিক। তারপরও আমি বলব, রাস্তাঘাট বিল্ডিং যাই হোক- পরিকল্পিভাবে করতে পারলে আমাদের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার মানুষগুলোর জীবনমানটা উন্নত করতে পারব।

রাস্তার জন্য জায়গা না ছেড়ে এবং অগ্নিনির্বাপনের যথাযথ ব্যবস্থা না রেখে স্থাপনা নির্মাণের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যে যেখানে কর্মস্থলে যাবেন আপনার ফায়ার এক্সিটটা কোথায় সেটা জানবেন। ফায়ার এক্সটিংগুইশার কোথায় কীভাবে ব্যবহার করবেন সেটাও জানা দরকার। আমরা যাই করে দেই না কেন, সেটা একটু যতœ সহকারে ব্যবহার করা, সেদিকে একটু বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখবেন।

জলাধার সংরক্ষণ, পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ব্যবহারে সচেতন ও সতর্ক থাকতে সবাইকে নির্দেশনা দেন তিনি। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো.শহীদ উল্লা খন্দকার অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

ভারতীয় হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশ গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। প্রেস সচিব বলেন, বৈঠকে দু’দেশের অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোচনা হয়। তিনি বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দু’দেশের মধ্যে নৌপথের কানেকটিভি বাড়িয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো.নজিবুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।



 

Show all comments

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ