পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিচারপতিদের সম্বোধনের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ প্রথা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল রাজস্থান হাইকোর্ট। এখন থেকে বিচারপতিদের ‘মাই লর্ড’ বা ‘ইয়োর অনার’ বলে সম্বোধন করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত। সোমবার এই মর্মে একটি নোটিস জারি করেন রাজস্থান হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সতীশ কুমার শর্মা। রাজস্থান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রবীন্দ্র ভট্টের নেতৃত্বে রোববার একটি বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ভারতীয় সংবিধানে উল্লিখিত সাম্যের নীতিকে মর্যাদা দিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে ওই নোটিসে। আদালতের সমস্ত আইনজীবী ও শুনানিতে উপস্থিত সমস্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রেই এই নির্দেশ কার্যকর হবে। ‘মাই লর্ড’ বা ‘ইয়োর অনার’ সম্বোধনে নিষিদ্ধ হলে বিচারপতিদের যাতে অসম্মান না করা হয়, সেদিকেও খেয়াল রেখেছে আদালত। নোটিশে জানানো হয়েছে, ‘মাই লর্ড’ বা ‘ইয়োর অনার’-এর পরিবর্তে তাদের ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করা যেতে পারে।
২০১৪ সালে এক জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে বিচারপতি এইচ এল দাত্তু ও বিচারপতি এস এ বোবদের বেঞ্চ জানিয়েছিল, বিচারপতিদের সম্মান জানানোটা জরুরি হলেও সে জন্য তাদের ‘মাই লর্ড’ বা ‘ইয়োর অনার’ বলে সম্বোধন করাটা বাধ্যতামূলক নয়।
আদালতের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন আইনজীবীরা। ভারতীয় বিচারব্যবস্থায় ব্রিটিশ যুগের এই প্রথা অনুসরণ করা হলেও তা যে আধুনিক যুগে অচল, তা মনে করিয়ে দিয়েছেন তারা। তাদের মতে, এ ধরনের রীতি কেবল দাস প্রথাকেই মনে করিয়ে দেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।