Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ডিএসসিসির সঙ্গে কাজ করবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২১ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিøউএইচও)। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল। রাজধানীর বনানীতে গতকাল শনিবার ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের বাসভবনে বৈঠক শেষে এমন তথ্য জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভারপ্রাপ্ত রিপ্রজেনটেটিভ ড. এ এ এডউইন স্যালভেডর।

এডিস মশা বা ডেঙ্গু রোগ বাংলাদেশে নতুন আসেনি, অনেক আগে থেকেই ছিল। এ সমস্যা মোকাবিলায় সঠিক পরিকল্পনা দরকার উল্লেখ করে এডউইন স্যালভেডর বলেন, মশক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা সিটি কর্পোরেশন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করতে চাই। এরই অংশ হিসেবে মেয়রের সঙ্গে বৈঠক করেছি। দুই পক্ষের তথ্য এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছি। কীভাবে আমরা একসঙ্গে কাজ করে সমস্যার সমাধান করতে পারি তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যে জায়গাগুলোতে সমস্যা আছে, সেগুলোর সমাধান বের করতেই কাজ করব আমরা। আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে এবং বাংলাদেশে ডেঙ্গুর আগের বছরের চিত্র দেখলে দেখা যায়, আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার দিক থেকে সার্বিক পরিস্থিতি বেশ জটিল। তবে মহামারি বা আতঙ্কিত হওয়ার মত কিছু এখনও হয়নি।

এরপর মেয়র সাঈদ খোকন সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে আমরা সুনির্দিষ্ট কিছু পয়েন্ট দিয়েছি। যেমন আমাদের ওষুধগুলো কার্যকর কি না- তারা পরীক্ষা, ওষুধে কোনো পরিবর্তন দরকার কি না, নতুন ওষুধ প্রয়োজন হবে কি না, এসব বিষয়ে আমাদের অতি দ্রুততম সময়ে জানাবেন। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেক বেশি। তবুও আমাদের আশপাশের অনেক দেশের তুলনায় আমরা ভালো অবস্থানে আছি। পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আছে। আর এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। আমরা সচেতন না হলে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।

মেয়র বলেন, ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশা বাইরের ময়লায় বা ড্রেনে হয় না। এটা হয় পরিষ্কার সাদা পানিতে। এ রোগ প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই। আমরা গত ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকার ৩৩ হাজার বাড়িতে ডেঙ্গু মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করেছি। এটি ধ্বংস করার উপায় শিখিয়ে দেয়া সত্তে¡ও দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে পরে সেই বাড়িতে পরিদর্শনে গেলে পূবেৃর একই পরিস্থিতি দেখতে পাই।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মেয়াদোত্তীর্ণ বা অকার্যকর ওষুধ ব্যবহার সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, লিমিট অ্যাগ্রো প্রডাক্ট লিমিটেড নামের কোনো ব্ল্যাক লিস্টে থাকা প্রতিষ্ঠান থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ওষুধ কেনে না। নৌবাহিনীর একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সরকারি সেই প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা ওষুধ সংগ্রহ করি। এরপর পৃথক তিনটি ল্যাবে পরীক্ষার পর আমরা সেগুলো বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার কাছে পাঠাই। তারা অ্যাপ্রুভাল দিলে সেগুলো ব্যবহার করি।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাব্লিওএইচও এর হেলথ ইমার্জেন্সি দলের সদস্য হাম্মাম এল সাক্কা, আইভিডি ইম্যুনাইজেশন ভ্যাক্সিন ডেভেলপমেন্টর রাজেন্দ্র বোহরা, ঢাকার বিভাগীয় সমন্বয়ক ডা. জাহাঙ্গীর আলম, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডিএসসিসি

২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ