Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চলাচল অনুপযোগী ওয়ালিয়া-লালপুর সড়ক

মো. আশিকুর রহমান টুটুল, লালপুর (নাটোর) থেকে | প্রকাশের সময় : ২২ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া-লালপুর প্রধান সড়কের কার্পেটিং ওঠে গিয়ে রাস্তা জুড়ে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদীন সংস্কার না করায় ১৫ কিলোমিটার সড়কটি চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মাঝে মধ্যেই যানবাহন বিকল হয়ে পড়ছে সড়কটিতে। তবুও প্রয়োজনের তাগিদে খানাখন্দের এই সড়কে জীবনে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়োত দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে পথচারী ও যানবাহন চালকদের। লালপুরের একমাত্র শিল্পকারখানা নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস, লালপুর উপজেলা পরিষদ, লালপুর থানা, লালপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, লালপুর ফায়ার সার্ভিস, গোপালপুর পৌরসভা, লালপুর যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও লালপুর স্টেডিয়ামে যাওয়ার একমাত্র পথ এই সড়কটি। প্রতিদিন সরকারি-বেসরকারি, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ এই সড়কটি দিয়ে চলাচল করে থাকে। দীর্ঘদিন সড়কটি সংস্কার না করায় সড়কের গর্তগুলিতে বৃষ্টির পানি জমে কাদায় জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। তবে মাঝে-মাঝে সড়ক ও জনপথ বিভাগের গাড়ি এসে কিছু কিছু ভাঙা স্থানে ইট-বালি ও খোয়া দিয়ে যায়। তবে তাতে দুর্ভোগ আরো বড়ে যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, ওয়ালিয়া-লালপুর সড়কটির ওয়ালিয়া থেকে গোপালপুর পর্যন্ত ৭ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় শতাধিক বড়-বড় খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহনগুলি হেলে-দুলে চলাচল করছে। একই চিত্র গোপালপুর রেলগেট থেকে লালপুর ত্রিমহনী মোড় পর্যস্ত। এছাড়াও সড়কটির দিয়াড়ারপাড়া, চকনাজিরপুর, ভূঁইয়াপাড়াসহ মোট ৫টি স্থানে এক কিলোমিটার পাকা সড়কের ওপরে ইটের হ্যারিং বোম তৈরি করা আছে। এদিকে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটির ভুঁইয়াপাড়া ব্রিজের সামনে গর্তে একটি মালবাহি ট্রাক পুঁতে আছে। এতে সড়কের দুই পাশে প্রায় ২ ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিলো। এতে সড়কটির প্রায় ১ কিলোমিটার জুড়ে দীর্ঘ জানজটের সৃষ্টি হয়। কথা হয় অটোচালক রাজন আলী, পিন্টু আলী, দুলাল হোসেনের সঙ্গে তারা বলেন, ‘এই রাস্তটি দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার না করায় এখন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই গর্তগুলিতে পানি জমে থাকে বোঝা যায় না কোথায় গর্ত আছে, গাড়ির চাকা গেলেই উল্টে যায়। নতুন পুরাতন নেই এই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলালেই নষ্ট হয়ে যায়। তারা আরো বলেন, রাস্তাটি দ্রæত পূর্ণ সংস্কার না করলে আর চলাচল করাই যাবে না।’

পথচারী মিটু, সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘এটা রাস্তা তো নয় যেন মরণফাঁদ প্রয়োজনের তাগিদে এভাবেই চলাচল করতে হয়। তবে প্রসুতি ও রোগীদের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। রাস্তটি দ্রুত সংস্কার না করলে দুর্ভোগ আরো বাড়বে বলে তারা জানান।’
‘ওয়ালিয়া-লালপুর ১৫ কিলোমিটার সড়কটি সংস্কার করা লালপুর বাসির প্রানের দাবি। এই অঞ্চলের মানুষের জীবনমান ও অর্থসামাজিক অবস্থা উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের নিকট দ্রুত রাস্তাটি পূর্ণ সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।’
এ ব্যাপারে নাটোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এএইচএম জাবেদ হোসেন তালুকদার ইনকিলাবকে বলেন, ‘সকল রাস্তাই মেইনটেনেন্সের কাজ চলছে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ