Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ভাড়ায় আনা এয়ারক্রাফট বসিয়ে রেখে মাসে দিতে হচ্ছে সাড়ে ৫ কোটি টাকা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

ফ্লাইট চলাচলে গতি আনতে মিশরের ইজিপ্ট এরারক্রাফট থেকে বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর মডেলের এয়ারক্রাফট ভাড়ায় আনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ড্রাই লিজে আনা বিমান দুটি বিমানবহরে যুক্ত হয় ২০১৪ সালের মার্চ মাসে। বিমান দুটি কিছু দিন পর অকেজো হয়ে যায়। চুক্তি অনুযায়ী বিমান চলুক আর না চলুক মিশরে ওই প্রতিষ্ঠানকে প্রতি মাসে সাড়ে ৫ কোটি টাকা দিতে হচ্ছে বিমানকে।
গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উত্থাপিত প্রতিবেদনে এতথ্য পাওয়া গেছে। সংসদীয় কমিটি সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটি সদস্য বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, মো. আসলামুল হক, তানভীর ইমাম, আনোয়ার হোসেন খান ও সৈয়দা রুবিনা আক্তার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে কমিটি সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সাংবাদিকদের বলেন, আমরা একটি সাব কমিটি গঠন করে দিয়েছি সেই কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর বলতে পারবো এয়ারক্রাফট ভাড়ার বিষয়টি। তবে এক্ষেত্রে কি ক্ষতি হলো সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। আমরা দেখবো মন্ত্রণালয় কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারা চুক্তি করেছিলো। সেটা যথাযথ ছিলো কিনা।
বৈঠকে জানানো হয়, মিশর হতে ইজিপ্ট এয়রক্রাফট এর যে দুটি বিমান ভাড়া করা হয়েছিলো তার একটিকে ইতোমধ্যে ফেরত দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রতিমাসে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার সাশ্রয় হচ্ছে বিমানের। বাকী অন্য বিমানটিও ফেরত দেয়ার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মিশর থেকে ত্রæটিপূর্ণ বিমান ভাড়া করার ক্ষেত্রে যে অসম চুক্তি করা হয়েছিলো সেটি খতিয়ে দেখার জন্য মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দেয় কমিটি। পাশাপাশি যারা ওই চুক্তির সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে পরবর্তীতে বিমানের কোনও বড় ধরণের চুক্তি বা ক্রয় সংক্রাংন্ত বিষয় হলে কমিটিকে অবহিত করার বিষয়ে সিদ্ধন্ত গ্রহণ করা হয়।
কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে বিগত দশ বছরে বিমানের কী কী যন্ত্রাংশ ক্রয় করা হয়েছে তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপন করার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ২০২০ সালের মার্চ হতে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত প্রত্যেক মাসের ১৭ তারিখে অনলাইনে টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রথম ১৭ জনকে ১৭ শতাংশ মূল্য ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সূত্র আরো জানায়, বৈঠকে আলোচনা শেষে পর্যটন শিল্পকে আরো বেশি আকর্ষণীয় করার জন্য একটি সুনির্দ্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে আরো বেশি দৃষ্টি নন্দন করতে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতাসহ সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে বলা হয়।
###



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ