পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছে তারেক হাসান নামে এক যুবক। তারেক পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। পাবনায় ভাড়া বাড়ীতে এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে, লক্ষীপুরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত পালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নাজিরপুর (পিরোজপুর) : স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছেন পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তারেক হাসান। গত বুধবার রাতে উপজেলার মধ্য ঝনঝনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত তারেক হাসান উপজেলার মালিখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ তুতবাড়ি গ্রামের আবুল হাশেম খলিফার ছেলে এবং উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক।
স্থানীয় স‚ত্রে জানা যায়, হতদরিদ্র পরিবারের ওই নারী বাবার মৃত্যুর পর মায়ের সঙ্গে মামার বাড়িতে বসবাস করতেন। পরবর্তীতে চিতলমারী উপজেলায় তার বিয়ে হলে সেখানে চলে যান। এরই মধ্যে স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় পাঁচ বছরের একমাত্র মেয়েকে নিয়ে আবার মামার বাড়িতে চলে আসেন।
গত বুধবার ওই নারীর মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে রাত ১০টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা তারেক ওই নারীর ঘরে ঢুকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় ওই নারীর মামাতো ভাই সুজনসহ স্থানীয়রা তারেককে হাতেনাতে আটক করেন। পরে কৌশলে পালিয়ে যান তারেক। গত বৃহস্পতিবার সকালে ওই নারী বিয়ের দাবিতে তারেক হাসানের বাড়িতে অবস্থান নেন। ঘটনা জানাজানি হলে মাটিভাঙ্গা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ খান মো. মিজানুর রহমান ওই নারীকে তারেকের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
ধর্ষণের শিকার নারী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে মেলামেশা করতো তারেক। বুধবার রাতে ঘরে ঢুকে আমাকে ধর্ষণের সময় তারেককে হাতেনাতে আটক করেন স্থানীয়রা। ওই সময় তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়া হয়। কিন্তু রাতে কৌশলে পালিয়ে যায় তারেক। পরে বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে অবস্থান নিলে আমাকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম চৌধুরী তাপস বলেন, ঘটনা সত্য হলে তারেক হাসানের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা কমিটির কাছে সুপারিশ করা হবে। নাজিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুনিরুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী নারী মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লক্ষীপুর : লক্ষীপুরে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত পালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এরআগে দুপুরে ছাত্রীর বাবা (হিন্দু স¤প্রদায়ের পুরোহিত) বাদী হয়ে সুদীপ্তর বিরুদ্ধে মামলা করেন। সুদীপ্ত পাল হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ছাত্র ঐক্য পরিষদের লক্ষীপুর সদর উপজেলা সভাপতি ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক।
থানা পুলিশ জানায়, সদরের ভবানীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ও তার পরিবার শহরের টাউন হল এলাকায় ২০১৬ সাল থেকে ভাড়া থাকেন। ওই ঘরের মালিক কমল ও তার ছেলে সুদীপ্ত তাদের পাশেই অন্য একটি বাসায় থাকেন। এ সুবাদে সুদীপ্তের সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যায় তারা। ২০১৭ সালে জানুয়ারির প্রথম দিকে মদিন উল্যা হাউজিংয়ের একটি বাসায় বন্ধুর জম্মদিনে ওই ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে সুদীপ্ত। সবশেষ ৫ জুলাই ভয়ভীতি দেখিয়ে শহরের একটি বাসায় নিয়ে তাকে ফের ধর্ষণ করা হয়। এক পর্যায়ে মেয়েটি পরিবারকে ঘটনাটি জানায়।
স¤প্রতি কুমিল্লায় ওই মেয়ের বিয়ের কথাবার্তা চ‚ড়ান্ত করা হয়। এ খবর পেয়ে সুদীপ্ত মুঠোফোনে ওই পাত্রকে হুমকিও দেয়। একইসঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও পাঠালে বিয়ে ভেঙে যায়। এ ব্যাপারে ল²ীপুর সদর মডেল থানার ওসি একেএম আজিজুর রহমান মিয়া জানান, ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে। বাঞ্চানগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পাবনা : পাবনায় এক স্বামী পরিত্যক্তা নারী গণ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। শহরে শিবরামপুর এলাকায় ভাড়া বাড়িতে গত বুধবার রাতে ৪/৫ জন যুবক অনুপ্রবেশ করে তাঁকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে বলে ভিকটিম অভিযোগ করেছেন। পাবনার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবাইদুল হক জানান, শুক্রবার বাড়ির মালিক হায়দারকে থানায় এনে জিজ্ঞাসবাদ করা হয়।
শিবরামপুর মহল্লার হায়দার আলী পুলিশকে জানান, ঐ মহিলা তাঁর বাড়ী ভাড়া নেওয়ার সময় নিজেকে বিবাহিতা বলেছিলেন এবং স্বামী ঢাকায় থাকে মাঝে মাঝে আসবেন। ঘটনার সময় বাড়ির মালিক বুঝতে পারেননি রাতে তার বাড়িতে কারা প্রবেশ করেছে। পরে ঘটনা জানতে পারেন বলে পুলিশকে জানান।
পুলিশের ভাষ্য মতে, ধর্ষিতা এর আগে পাবনা শহরের সাধুপাড়া মহল্লায় ভাড়া থাকতেন। মাস দুই আগে তিনি শিবরামপুর মহল্লার হায়দার আলীর বাড়ী ভাড়া নেন। ভিকটিমের বক্তব্য তিনি তার ভাইয়ের সাথে থাকতেন এবং বাড়ী ভাড়া নেওয়ার সময় নিজে ডিভোর্সী এ কথা জানিয়ে ছিলেন। ধর্ষণের শিকার নারীর পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবাইদুল হক জানান, গুরুতর অবস্থায় গৃহবধূকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে ভিকটিম ছাড়া পাওয়ার মামলাটি দায়ের হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ওসি জানান। তিনি আরও জানান , পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষকদের চিহ্নিত করে তাদেরকে আটক করার চেষ্টা করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।