Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পাবনায় যমুনা ও পদ্মা নদী ভাঙ্গনরোধে টেকসই কাজ করতে বিশেষজ্ঞদের মত

পাবনা থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০১৯, ৩:৪২ পিএম

পাবনায় পদ্মা ও যমুনা নদী কমছে সেই সাথে ভাঙ্গন ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। বন্যার পানি বৃদ্ধি পেলেও নদী ভাঙ্গন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়, আবার কমতে থাকলেও একই অবস্থা বিরাজ করে।

পাবনার বেড়া ও সুজানগর উপজেলার বসত বাড়ি, ফসলের জমি, রাস্তা ঘাট বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদী বক্ষে।

জেলার দুইটি বৃহৎ নদী যমুনা ও পদ্মা ও যমুনা কয়েক হাজার মানুষকে গৃহহীন করেছে। ভেসে গেছে তাদের শত শত গবাদি পশু। এই এলাকায় যমুনা ও পদ্মা নদী ভাঙ্গন দীর্ঘকাল এবং বছরব্যাপী চলে আসছে। কত হাজার পরিবার গৃহহীন হত দরিদ্র হয়ে পড়েছেন তা এখন গবেষণার বিষয় । যাঁরা নদী কূলে ও নিকটবর্তী এলাকায় এক সময় জোতদার ছিলেন , তাঁরা এখন হত দরিদ্র।

এই চলতি মাসের চারদিন আগে বেড়া উপজেলার নোটাখোলা ও খানপুরাণ অঞ্চল খানপুরাণ গ্রামের ২ শ মিটার কংক্রিটের সড়ক যমুনা পানির চাপের কারণে ভেসে গেছে।

গত তিন সপ্তাহে নদীর পানিতে বিস্তৃত ফসলের জমি, সরকারী ড়ক খানপুরাণ, চর পঞ্চকোলা, মহনগঞ্জ ও ঘোপ সিলন্দা গ্রামে ঘরবাড়ি বসতি ছিল বিলীন হয়ে গেছে যমুনায়। পদ্মা যমুনা নদীর পাড় বছরে প্রায় সময় ভাঙ্গে। নদী পাড়ের কয়েক কিলোমিটারে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়। তারপরও নদীর দীর্ঘ পাড় ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা করা যাচ্ছে না। নদী পাড় শাসনে দীর্ঘ সময়ের দরকার বলে জানিয়েছেন

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হামিদ। তাঁরা প্রবল ভাঙ্গন এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং শুরু করেছেন। তিনি জানান,
“পানির দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে , জুলাই মাসের প্রথমার্থে। এই সময় বেড়া উপজেলার খানপুরাণ গ্রামের প্রায় ২০০ মিটার নটাখোলা-দয়ারামপুর সড়ক বিলীন হয়ে গেছে। একদিনের মধ্যেই ৩ বিঘা আমন ধানের জমি বিনষ্ট হয়ে গেছে। "খানপুরান মধ্যপাড়ার গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আলম জানান।
জাতীয় গ্রিড পাওয়ার ট্রান্সমিশন লাইনের ‘আঙ্কারা টাওয়ার ’ ভাঙনের সম্মুখীন ।

গ্রামবাসী নোটখোলা-দয়ারামপুর রাস্তার পাশে বাঁশ ও বালির ব্যাগ সংরক্ষণের চেষ্টা করছেন।
পাবনার সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মৃদুভাষী মোঃ শাহিনুজ্জামান শাহিন,

জানান, বিস্তৃণ এলাকা গ্রাস করছে , পদ্মা ও যমুনা নদী।
"আব্দুল হামিদ আরও জানান, জল উন্নয়ন বোর্ড

ইতোমধ্যে পদ্মা ও যমুনার ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় ৩০ হাজারেরও বেশি বালির ব্যাগ (জিও ব্যাগ) ডাম্পিং করা হয়েছে । এলাকাবাসীর বিস্তর অভিযোগ এই বালি ব্যাগ ডাম্পিং করা নিয়ে। তাদের মতে, বালু ও সিমেন্ট ভর্তি ব্যাগ নদীতে ফেলার পর সেগুলোর আর সংখ্যা নিরূপণ করা যায় না। ৩০ হাজার না ১৫ হাজার কে আর তাঁর খবর রাখে। ‘আমার দেখি বছরব্যাপী নদীর পাড় ভাঙ্গছে।

পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক এক কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সালাম ইনকিলাবের এই স্টাফ রিপোর্টারকে জানান, জিওি ব্যাগ ডাম্পিং সাময়িক রক্ষা, স্থায়ীভাবে নদী ভাঙ্গন রোধ করতে হলে, নদীর পাড়ে পানির নিচ থেকে কংক্রিট ঢালাই করে উঠে আসতে হবে উপরে। এটি অনেক ব্যয় সাপেক্ষ ও সময়ের ব্যাপার, তবে অসম্ভব নয়। শুরু করলে ধীরে ধীরে এই কাজ শেষ হবে। তিনি আরো বলেন, শুধু পাবা জেলা নয়, যে সব জেলায় নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে সেখানেও নদী শাসন করতে হবে টেকসই ভাবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ