Inqilab Logo

শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ২

বরুড়ায় আ.লীগের অফিস ভাঙচুর

বরুড়া (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০২ এএম

 বরুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান এ এন এম মঈনুল ইসলামের সমর্থিত শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন বরুড়া পৌরসভা যুবলীগের আহŸায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর শাহিনুর হোসেন। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে যুবলীগের দুই নেতাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান (ওরুফে কালা মিজান), তপন ও অজ্ঞাত ৭০/৮০ জনসহ ৬২ জনের নামীয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি দেখিয়ে মামলা করা হয়।

জানা যায়, গত রোববার ‘অস্থায়ী গবাদী পশুর হাট বরুড়া উপজেলা’ শিরোনামে দরপত্রের আহŸান করা হয়। উক্ত দরপত্র থানা, উপজেলা, সোনালী ব্যাংক ও কুমিল্লা ডিসি অফিসে বিক্রি করা হয়। গত মঙ্গলবার বিক্রি শেষ হয়। বুধবার বেলা ১ টার দিকে টেন্ডার জমার দেওয়ার শেষ সময় নির্ধারিত করা হয়। এরই সূত্র ধরে, সকাল ৯ টার দিকে বরুড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মঈনুল ইসলামের সমর্থকরা উপজেলার ভেতর ও গেইটে অবস্থান নেয়।

এসময় এমপি নজরুল গ্রæপের নেতাকর্মীদের কাউকে উপজেলা পরিষদে প্রবেশ করতে দেয়নি। সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত চেয়ারম্যান মইনুল গ্রæপের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি সোটা নিয়ে উপজেলা গেইটে অবস্থান নেয়। এসময় তারা প্রায় ৩০ টিরও অধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। মইনুল গ্রæপের প্যানেল থেকে জেলা পরিষদ সদস্য পদে নিবার্চিত সদস্য জসিম উদ্দিনের পক্ষে বিজয় মিছিল বের করে বরুড়া বাজারে প্রবেস করেও একাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে হঠাৎ এমপি নজুরুল গ্রæপের অফিসে হামলা চালিয়ে অফিসের জানালার কাছ ভেঙে ফেলে। অফিসের সামনে থাকা প্রায় ১৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এসময় তারা ৬/৭ রাউন্ড গুলি ছুড়ে বলে জানা যায়। এসময় ইয়াছিন নামের এক যুবলীগ নেতা আহত হয়।

এ বিষয়ে এমপি নজরুল গ্রæপ এর পৌরসভা যুবলীগের আহŸায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর শাহিনুর হোসেন বলেন, চিতড্ডা ইউনিয়নে ছাত্রলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সভা পূর্বে বরুড়া দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে দলীয় নেতাকর্মীরা সমবেত হয়। এসময় জেলা পরিষদ সদস্য জসিম উদ্দীনের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়ে বরুড়া বাজারে প্রবেশ করে। মিছিল থেকে অফিসের দিকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে ও ৬/৭ রাউন্ড গুলি ছুড়ে এবং অফিসের নিচে থাকা ১৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় বরুড়া থানায় একটি মামলা করি। এব্যাপারে জেলা পরিষদ সদস্য জসিম উদ্দীনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বরুড়া থানা অফিসার ইনচার্জ আজম উদ্দিন মাহমুদ বলেন, হামলার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভাঙচুর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ