Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আদমদীঘিতে একবারে দুইটি কাঁঠাল খেয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করলেন মাদ্রাসা শিক্ষক

আদমদীঘি (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০১৯, ২:৫৯ পিএম

আম জাম, লিচু কলা সকলেই খেতে ভালোবাসলেও বেশিরভাগ মানুষ কাঁঠাল খেতে তেমন স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। কাঁঠাল বেশি খেলে হজমে সমস্যা,পেটব্যথা হয় এমন ভয় ও অজুহাত দেখিয়ে অনেকেই কাঁঠাল বেশি খেতে চান না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার আমইল গ্রামের বাসিন্দা ক্বারী মোজাফফর হোসেন। তিনি এক বৈঠকে বসে একবারে মাঝারি আকারের দুই থেকে তিনটি কাঠাল খেয়ে ফেলেন। এতে তাঁর কোন সমস্যা হয় না। সোমবার তিনি এক বৈঠকে দুটি কাঠাল খেয়ে ফেলেন। কাঠাল দুটিতে প্রচুর পরিমান রোয়া ছিল। এতে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
ক্বারী মোজাফফর হোসেন জানান, কাঠাল মৌসুমে তিনি প্রতিদিন কাঠাল খেয়ে থাকেন। বিভিন্ন ফলের মধ্যে কাঠাল তাঁর কাছে সবচেয়ে প্রিয়। কাঠালের রোয়া’র পাশাপশি বিচি’ও তাঁর পছন্দের খাবারের একটি। তিনি জানান, অনেকে বলেন, কাঠাল খেলে নানা সমস্যা হয় কিন্তু আমার কোন সমস্যা হয় না। কাঠাল খাওয়ার পর তিনি ভাত’সহ অন্যান্য খাবার স্বাভাবিক ভাবে খেতে পারেন। মোজাফফর হোসেন আদমদীঘি উপজেলার অন্তাহার ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ক্বারী শিক্ষক। ওই মাদ্রাসার অন্য শিক্ষক ও এলাকার মানুষ ও মোজাফফর হোসেন কে কাঠাল পাগল বলে জানে। তিনি বলেন, তাঁর বাড়িতে অনেক কাঠাল গাছ তিনি লাগিয়েছেন। পাশাপাশি মাদ্রাসায় প্রায় ১০টি কাঠাল গাছ রয়েছে। এ কারনে কাঠাল পেতে তাঁকে কোন প্রকার বেগ পেতে হয় না। এ ছাড়া বাজারে কাঠালের দাম কম হওয়ায় মোজাফফর হোসেন সহজেই কাঠাল সংগ্রহ করতে পারেন। মোজাফফর হোসেন বলেন, কাঠালের অনেক গুন রয়েছে বলে এটিকে জাতীয় ফলের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, কাঠাল এমন একটা ফল যার কোন অংশ ফেলে দিতে হয় না,কিছু অংশ মানুষ খায় আর কিছ খায় পশু । তিনি আরোও বলেন আগে এতবেশী কাঠাল খায়নি। অন্তাহার মাদ্রাসায় চাকুরীতে যোগদানের পর এই এলাকার কাঠাল রোসালোও ও মচমচে স্বাদে ভালো বলে বেশী খেতে পারি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ