Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

ঈদুল আজহার ছুটি কাটাতে রাজধানী ছাড়ছেন নগরবাসী। গতকাল শুক্রবার ভোর থেকেই সড়ক, রেল ও নৌপথে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ভিড়ের মধ্যে গাদাগাদি করে ট্রেনে ভ্রমণ করছে মানুষ। একই অবস্থা বাসেও। তবে তাতে নেই কোনো আক্ষেপ ও হতাশা।

প্রিয়জনদের সঙ্গে যখন ঈদ পালন করাটাই মূখ্য, সেখানেও এতটুকু কষ্ট অনায়াশে মেনে নিচ্ছেন নাড়ীর টানে ঘরে ফেরা এসব মানুষ। আর এতে করেই অনেকটাই ফাঁকা হয়েছে রাজধানী। ঢাকা সাময়িকভাবে হারাচ্ছে তার চিরচেনা রুপ।

রাজধানীর মহাখালী, গাবতলী, ফুলবাড়িয়া ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, কমলাপুর ও বিমান বন্দর রেলস্টেশনে ছিল ঘরে ফেরা মানুষদের উপচে পড়া ভিড়। এতে করে ব্যস্ত রাজধানী ক্রমেই ফাঁকা হচ্ছে।

গতকাল সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অন্যা সময়ের চেয়ে রাস্তাগুলো এখন অনেকটাই ফাঁকা। সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকার লোকজন পরিবার পরিজন নিয়ে কেউ বাস, কেউ ট্রেন আবার কেউবা লঞ্চ টার্মিনালের দিকে ছুটেছেন। অন্য সময় ছুটির দিনেও রাস্তাঘাটে হাজার হাজার মানুষের ভিড় থাকলেও শুক্রবার সেই ভিড় ছিল না। শুধু তাই নয়, দুপুরের পর রাজধানীতে চলাচলকারী বাস ও মিনিবাসেরও সঙ্কট দেখা গেছে। যাত্রীদের বাসের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। এই সুযোগে টাউন সার্ভিস বাসগুলো ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। হানিফ ফ্লাইওভার হয়ে শনিরআখড়া থেকে গুলিস্তানের ভাড়া ১৫ টাকার স্থলে ২০ টাকা আদায় করতে দেখা গেছে। জানতে চাইলে হিমালয় বাসের কন্ডাক্টর বলেন, দুদিন পরে ঈদ। তাই ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এদিকে, রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকায় ভিআইপি সড়কে রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। প্রায় প্রতিটি রাস্তা ফাঁকা থাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকারও ছোট বড় বাস দ্রæত গতিতে গন্তব্যে ছুটছিল।

দুপুরে শনিরআখড়া বাস স্ট্যান্ডে দেখা গেছে, চিরচেনা সেই দৃশ্যটি নেই। শত শত মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু বাসের দেখা নেই। একটি বাস আসতে দেখলেই যাত্রীদের হুড়োহুড়ি করে ছুটে বাসে উঠার চেষ্টা করছে। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে দেখা গেছে, যাত্রীপরিপূর্ণ করে দুরপাল্লার বাসগুলো টার্মিনাল থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। কোনো কোনো বাসের ছাদেও যাত্রী ওঠানো হয়েছে।

দুপুরে গুলিস্তানও ছিল ফাঁকা। গাড়ির সংখ্যা কম থাকায় হকাররা ফুটপাত ছাপিয়ে রাস্তা দখল করে পসরা সাজিয়ে বসেছিল। অবশ্য ফুটপাতেও অন্যান্য দিনের মতো ক্রেতা ছিল না। ফুটপাতের এক বিক্রেতার কাছে জানতে চাইলে বলেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বেচাবিক্রি ভাল ছিল। এখন আর সে রকম বিক্রি হচ্ছে না। সবাই এখন ঘরে ফেরার জন্য ব্যস্ত। কেনাকাটায় কারও আর মন নেই। কেমনে ঈদ করতে দেশে যাবে সে চেষ্টায় ব্যস্ত মানুষ। ##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঈদুল আজহা

৯ জুলাই, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ