Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বেড়েছে মসলার দাম

মুন্সী কামাল আতাতুর্ক মিসেল : | প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০০ এএম

গরম হতে শুরু করেছে গরম মসলার আড়ত। আর এর প্রভাব পড়েছে কুমিল্লাসহ আশপাশের শহরের মসলার বাজারেও। আমদানি, পাইকারি ও খুচরা এ তিন পর্যায়েই দাম বেড়েছে। পিয়াজ-রসুন থেকে শুরু করে এলাচ-লবঙ্গ প্রায় সব মশলার দরই চড়া।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজেটে আমদানির ওপর এআইটি (আগাম কর) যোগ হওয়া, উৎপাদক দেশে দাম বৃদ্ধি এবং কোরবানির চাহিদা, এ তিন কারণে দাম বাড়ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে মসলা পণ্যের বুকিং দর বাড়ায় পাইকারি বাজারে প্রভাব পড়েছে, যা খুচরায় গিয়ে ঠেকেছে।

জানা গেছে, টাকার অঙ্কে দাম বাড়ায় সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আমদানিকৃত মসলা পণ্য এলাচের, আর শতাংশ হিসেবে দাম বেড়েছে দারুচিনির। এছাড়া পিয়াজ, আদা, রসুন, শুকনা মরিচ, জিরা ও জয়ত্রীসহ প্রায় সব মশলার দাম ঊর্ধ্বমুখী। কুমিল্লার রাজগঞ্জ বাজারে পাইকারি মসলা বিক্রি হয়। শহরের বিভিন্ন বাজারের পাইকাররা এখান থেকেই মসলা সংগ্রহ করেন। এ বাজারে ১৫ দিনের ব্যবধানে পাইকারিতে প্রতি কেজি দারুচিনির দাম ২৮০ থেকে ২৮৫ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪১০ টাকা। এলাচি মান ভেদে ২,২০০ থেকে ২,৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১০০ টাকার বেশি। অথচ মে মাসের শেষের দিকেও দাম ছিল ১,৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে গড়ে ১০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি লবঙ্গ ৭৯০ থেকে ৮০০ টাকা, ইন্ডিয়ান জিরা ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা, তুরস্কের জিরা ৩৬৫ থেকে ৩৭০ টাকা, কালো গোলমরিচ ৩৭৫ থেকে ৩৮০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ৫৯০ থেকে ৬০০ টাকা, কালো জিরা ১৬৫ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জয়ত্রী ২ হাজার ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও দুই মাস আগে এর দাম ছিল ১,৬০০ থেকে ১,৭০০ টাকা। মাস তিনেক আগে দাম ছিল ১,২০০ থেকে ১,৩০০ টাকা।

ব্যবসায়ী আমিন হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, আমদানি মূল্য বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারে মসলার দাম বাড়ছে। তাছাড়া কোরবানিতে চাহিদা বাড়ায় দাম একটু বাড়ে। তবে এলাচের দাম তুলনামূলক বেশি, যা বর্তমানে ২,২০০ থেকে ২,৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এলাচ আসে গুয়াতেমালা ও ইন্ডিয়া থেকে। এর মধ্যে গুয়াতেমালায় ফসল জ্বলে গেছে, আর ভারতে বন্যায় এলাচ ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। তাই ওই সব দেশেই দাম বেড়েছে। মাস দুয়েক পরে এলাচ ও জয়েত্রীর মৌসুম আসছে, তখন দামও কমবে। বাজারে নিত্য ব্যবহার্য মসলার মধ্যে প্রতি কেজি গুঁড়া হলুদ ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা, আস্ত শুকনো হলুদ ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, গুঁড়া মরিচ ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা, শুকনো মরিচ ১৫০ টাকা, আস্ত ধনিয়া ১১০ টাকা, ধনিয়া গুঁড়া ১৩০ টাকা, জিরা গুঁড়া ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে খুচরা বাজারে প্রতি ১০০ গ্রাম এলাচ ২৮০ থেকে ৩৮০ টাকা, লবঙ্গ ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, কালো গোলমরিচ ১২০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ১৫০ টাকা, জিরা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, দারুচিনি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, তেজপাতা ৩০ টাকা, ধনিয়া ২০ টাকা, হলুদ ১৯০ থেকে ২০০ টাকা, মরিচ ২১০ থেকে ২২০ টাকা, স্টার মশলা ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, কাঠবাদাম ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কিছুটা কম থাকায় দাম বেড়েছে।
ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কুমিল্লার আড়তগুলোতে বেড়েছে গরম মসলা বেচাকেনা। এজন্য দোকানদারদের ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে। তবে চাহিদা অনুযায়ী জোগান কম থাকায় গরম মসলা জাতীয় পণ্য সাদা এলাচ, দারুচিনি ও জিরার দাম বেড়েছে। কুমিল্লার রাজগঞ্জ বাজারের বিসমিল্লাহ মসলা ঘরের ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম জানান, ঈদ উপলক্ষ্যে সাদা এলাচ, দারুচিনি ও জিরার আমদানি কম থাকায় সেগুলোর দাম বেড়েছে। প্রকারভেদে এসব মসলার দাম কেজিতে বেড়েছে ১০০-২০০ টাকা পর্যন্ত।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মসলা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ