Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন কেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০১৯, ৯:০৬ পিএম | আপডেট : ১:০৩ পিএম, ১৮ আগস্ট, ২০১৯

ঈদের ছুটিতে ঈদ উৎসবের ভিড় জমেছে রাজধানীসহ সারা দেশের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। ঈদের দিন থেকে শুরু করে আজ বুধবার পর্যন্ত স্থানগুলোতে আরও উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা গেছে। বিশেষ করে রাজধানীতে শিশুদের হৈ হুলোড়ে মুখর ছিল জাতীয় চিড়িয়াখানা, বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার, থিমপার্ক টগি ওয়ার্ল্ড, হাতিরঝিলসহ সব বিনোদন কেন্দ্রে। এসবের পাশাপাশি অসংখ্য মানুষ ভিড় জমান নিকটবর্তী গাজীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ, আশুলিয়া এলাকার ফ্যান্টাসি কিংডম, নন্দনপার্ক এবং নরসিংদী এলাকায় স্থাপিত ড্রিম হলিডে পার্কে। এ ছাড়া আহসান মঞ্জিল, লালবাগ কেল্লাসহ ঐতিহাসিক স্থানসহ অন্যসব বিনোদন কেন্দ্রগুলো ছিল লোকে লোকারণ্য। ঈদের দিনও বিনোদনপ্রেমী মানুষের ব্যাপক সমাগম ছিল এসব বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। এ ছাড়াও বিনোদন পেতে রাজধানীর আফতাবনগরের পূর্বাংশের খোলা জায়গায়, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার পেছনে ৩০০ ফিট সড়কের পাশে অসংখ্য মানুষ ভিড় করেন। ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় হাতিরঝিলের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিভিন্ন পয়েন্টে মোটরসাইকেল ও সন্দেহভাজন গাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।
ঈদের দিন থেকেই ভিড় জমতে থাকে রাজধানীর উপকণ্ঠের মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায়। গতকাল সেখানে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। সকাল থেকেই পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব নিয়ে ছুটে আসেন বিনোদনপ্রেমীরা। মেতে ওঠেন আনন্দ আড্ডা আর খুনসুটিতে। ঈদের তিন দিনে চিড়িয়াখানায় প্রায় সাড়ে চার লাখ দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। অতিরিক্ত মানুষের চাপে চিড়িয়াখানার প্রধান সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। মানুষের ভিড়ে ফুটপাথ দিয়েও হাঁটাচলার সুযোগ ছিল না।
শ্যামলী শিশু পার্ক -ইনকিলাব

আজ সকাল থেকেই দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেন বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে। দুপুর নাগাদ এ সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়িয়ে যায়। পার্কের একজন কর্মকর্তা বলেন, পাঁচটি ভাগে বিভক্ত সাফারি পার্কের একটি অংশ কোর সাফারি পার্ক- যাতে বাঘ, সিংহ, ভালুক, হরিণ, জেব্রা, জিরাফ, হাতি ইত্যাদি আলাদা আলাদা সীমানা প্রাচীরের ভিতর উন্মুক্তভাবে বিচরণ করে। এসব প্রাণী দেখতে নির্ধারিত ফি দিয়ে দর্শনার্থীরা পার্কের নির্ধারিত মিনিবাস ও গাড়িতে চড়ে বেড়ান। পরিবার- পরিজন নিয়ে অনেকেই আসছেন এ পার্কে। নানা প্রজাতির পাখি, বাঘ, সিংহ, ভালুক, হরিণ, বানর, সাপ, কুমির, প্রজাপতিসহ বিভিন্ন প্রাণী দেখে সবাই আনন্দ উপভোগ করেন।
এদিকে, রাজধানীর সাধারণ আর মধ্যবিত্তের বিনোদন কেন্দ্র বলতে এখন হাতিরঝিলই প্রধান হয়ে উঠেছে। সব মানুষের ¯্রােত তাই সেখানেই। ঈদের দিন দুপুরের পর থেকেই সেখানে ভিড় জমান হাজারও মানুষ। বিনোদনপ্রেমীদের জন্য নতুন সাজে প্রস্তুত করা হয়েছে হাতিরঝিল চক্রাকার বাস, ওয়াটার বাস। নামানো হয়েছে নতুন বোটও।
সন্ধ্যা হতে হাতিরঝিল সাজে রঙিন রূপে। চোখ ধাঁধানো রঙিন আলোয় ঝলমলে হয়ে ওঠে পুরো হাতিরঝিল। রঙবেরংয়ের দৃষ্টিনন্দন বাতি হাতিরঝিলকে এনে দেয় নজরকাড়া সৌন্দর্য। সরেজমিন ঈদের পরদিন দেখা যায়, ঈদ আনন্দ যেন উপচে পড়েছে রাজধানীর হাতিরঝিলে। বিনোদনপ্রেমী মানুষ উপভোগ করছেন হাতিরঝিলের সৌন্দর্য। আজও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাতিরঝিলে বাড়তে থাকে মানুষের সংখ্যা।
এদিকে, ঈদের পরের দিন রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে প্রবেশের জন্য বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থীর ভিড় ছিল। জাদুঘর খুলে দেওয়ার আগে থেকেই সেখানে ভিড় জমান দর্শনার্থীরা। এক পর্যায়ে ভিড় সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। রাজধানী যাদের স্থায়ী ঠিকানা কিংবা কোনো কারণে গ্রামে যেতে পারেননি তাদের জন্য জাতীয় জাদুঘর ছিল অন্যতম লক্ষ্য। সুবিধাবঞ্চিত শিশু, প্রতিবন্ধী ও শিক্ষার্থীদের বিনা টিকিটে জাতীয় জাদুঘর পরিদর্শন করার সুযোগ রেখেছে সরকার।
রাজধানীর পূর্বাচলের বালু নদী এখন মহানগরীর তরুণ-তরুণীদের বিনোদনের অন্যতম আকর্ষণ। ঈদের পরদিন তরুণ-তরুণীদের নাচের ঝঙ্কারে উত্তাল হয়ে উঠে নদী। এ দৃশ্য উপভোগ করেন নদীর পাড়ে বসে থাকা হাজারও উৎসুক মানুষ। রঙিন কাগজে সাজানো ইঞ্জিনচালিত ছোট-বড় নৌকা সুরের তালে তালে দুলেছে। আর উচ্চ শব্দে বেজেছে দেশি-বিদেশি গান। গানের তালে তালে নেচে গেয়ে উ্যল্লাস করেন তরুণ-তরুণীরা। যদিও বৃষ্টির কারণে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিনোদন

১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ