Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কোরবানীর ছাগল ছিনতাই

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১৬ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০২ এএম

এবার ছাগল ছিনতাই চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। ছাগল ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার ছাত্রলীগ সভাপতিসহ বেশ কয়েকজন বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। একটি বা দুটি নয় ২১২টি ছাগল ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলাটি করেছেন ছাগল ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম। মামলায় অভিযুক্তরা হলো- মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগ সভাপতি মুজাহিদ আজমী তান্না, ইয়াসির আরাফাত, জাহিদুল ইসলাম, মো. রায়হানসহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জন।

পুলিশের মোহাম্মদপুর জোনের এসি মো. শিবলী নোমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্তরা বেশ কিছুদিন ধরে লাইসেন্স ছাড়া অবৈধভাবে ওয়াকিটকি ব্যবহার করে নিজেদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বলে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন এবং এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। এই ঘটনায় টেলিযোগাযোগ আইনে চাঁদাবাজির অভিযোগেও একটি মামলা হয়েছে।ছাগল ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামের মামলায় ইয়াসির আরাফাত, জাহিদুল ইসলাম ও মো. রায়হানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই মামলায় পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ছাগল ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে- কোরবানি ঈদের জন্য বিক্রি করতে গত ১১ আগস্ট একদল ব্যবসায়ী যশোরের বারোবাজার পশুরহাট ও ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে ২১২টি ছোটবড় ছাগল ট্রাকযোগে ঢাকায় নিয়ে আসেন। ছাগলসহ ট্রাকটি ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের জহুরি মহল্লা এলাকায় এলে তাদের আটক করে চাঁদার দাবি করে স্থানীয় ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী।

বাদানুবাদের একসময় ছাগলগুলোকে ট্রাক থেকে নামিয়ে একটি ক্লাব ঘরে ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম ও তার চার সহযোগীকে আটকে রাখেন অভিযুক্তরা। এ সময় র‌্যাব-২ এর একটি টহল দল ওই এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছিলেন। তারা স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক ব্যবসায়ীদের উদ্ধার করেন। এরপর ঘটনাস্থল থেকে ইয়াসির আরাফাত, জাহিদুল ইসলাম ও মো. রায়হানকে গ্রেফতার করেন তারা। পরে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা ছিনতাইকারী হিসেবে গ্রেফতার তিনজনকে শনাক্ত করেন। র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে ছিনতাইকারীরা জানায়, ছিনতাই ঘটনায় মূলহোতা ছিলো মোহাম্মদপুর থানার ছাত্রলীগ সভাপতি মুজাহিদ আজমী তান্না। এছাড়াও তারা আরও ৭/৮জনের নাম জানায় তারা। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ