Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কলেজছাত্রীকে ডেকে এনে ধর্ষণ করল কনস্টেবল

খুলনায় শিশুসহ শিকার আরো ৫ : আটক ৩

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

কলেজছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে ধর্ষণ করল পুলিশ কনস্টেবল। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের নাম আবু বক্কর সিদ্দিক। সে রংপুর জেলায় কর্মরত। খুলনায় সহপাঠী ও ৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ঝালকাঠির নলছিটিতে এক তরুণী ও চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার পথে এক কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ মামলায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। গাইবান্ধা : গাইবান্ধায় এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কলেজছাত্রীর মা বাদী হয়ে ওই পুলিশ সদস্য ও তাকে সহায়তাকারী আমিনুল ইসলামকে আসামি করে গত বুধবার সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার অভিযোগটি থানায় এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হয় এবং বিকেলে কলেজছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানান সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি খান মো. শাহরিয়ার। আবু বক্কর সিদ্দিক গাইবান্ধা সদর উপজেলার মালিবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম বারবলদিয়া বেকাটারী গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে এবং আমিনুল একই গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে।
জানা যায়, কনস্টেবল আবু বক্কর সিদ্দিক ওই কলেজছাত্রীর প্রতিবেশী। সিদ্দিক ওই কলেজছাত্রী সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়তে মাঝে মাঝেই মোবাইল ফোনে কথাবার্তা বলতো। এরই মাঝে সিদ্দিক ঈদুল আযহার ছুটিতে বাড়ি এসে কলেজছাত্রীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে গত রোববার প্রতিবেশী কফিল উদ্দিনের ছেলে ফেরদৌস মিয়ার স্ত্রীর সহযোগিতায় তার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে।
একইভাবে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ওই কলেজছাত্রীকে ডেকে এনে তার বাড়ির পাশে বাঁশঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে সিদ্দিক। উভয় ঘটনায় আমিনুল ইসলাম সহযোগিতা করে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ওই কলেজছাত্রী লোক লজ্জায় বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ওইদিন রাতে তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওই কলেজছাত্রী মা অভিযোগ করে বলেন, আবু বক্কর সিদ্দিক পুলিশ সদস্য হওয়ায় সে ও তার লোকজন মামলা না করতে নানা রকমের হুমকি দিয়ে আসছিল। গত বুধবার থানায় অভিযোগ দেয়ার পর বিষয়টি মীমাংসার কথা বলে ধর্ষক আবু বক্কর সিদ্দিকের পরিবারের পক্ষ থেকে থানা পুলিশ ও বিভিন্ন মহলে দেন দরবার করে মামলা রেকর্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
তিনি আরও বলেন, আমার মেয়েকে ধর্ষণের বিচার চাওয়ার ব্যাপারে আমি অটল থাকায় গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশের ওসি শাহরিয়ার সকল বাধা উপেক্ষা করে গত বৃহস্পতিবার অভিযোগটি এজাহার হিসেবে লিপিবদ্ধ করেন। তিনি (ধর্ষিতার মা) বলেন, মামলা হওয়ার পর পরেই আমাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষক পরিবার মিথ্যা মামলা দেবে বলে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার বলেন, প্রাথমিক তদন্ত শেষে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। কলেজছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিককে গ্রেফতারের জন্য বিভাগীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
নোয়াখালী : নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে (১৪) এক কিশোরীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার দুপুরে ভিকটিমকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মোহম্মদপুর ১নং ওয়ার্ডের মোবারক আলী সওদাগরের ছেলে হোসেন ব্যাপারী ও ২নং ওয়ার্ডের ওলি উদ্দিনের ছেলে সোহেল ভিকটিমকের মুখ চেপে জোর পূর্বক তাকে তুলে চর আলাউদ্দিন বাজারের পশ্চিম পাশের একটি খামার বাড়ীতে নিয়ে যায়। খামার বাড়ীতে আরো দুই লোক ছিলো। পরে প্রথমে কিশোরীকে কাদা মাটিতে ফেলে হোসেন ব্যাপারী ও পরে সোহেল ধর্ষণ করে। এসময় তারা তাদের মোবাইলে সেই ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করে কাউকে জানালে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে ভিকটিমকে হুমকি দেয়।
তার পরিবারের লোকজন আরো জানান, ভিকটিমের বোনের মেয়ে বাড়ীতে গিয়ে ঘটনাটি জানালে তার মা লোকজন নিয়ে বিভিন্ন স্থানে খোজাখুঁজি করেন। এর একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে আলাউদ্দিন বাজারের পশ্চিম পাশের একটি খামার বাড়ীতে কাদা মাখা অচেতন অবস্থায় ভিকটিমকে উদ্ধার করেন তারা। পরে রাত তিনটার দিকে তার জ্ঞান ফিরে আসে। এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি বলে জানান চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন।
খুলনা : খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির এলএলবি (অনার্স) পড়ুয়া এক মুসলিম ছাত্রীকে (২০) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে খুলনার কর কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায়ের ছেলে শিঞ্জন রায়কে (২৫) আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিঞ্জন রায়ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে মহানগরীর বয়রার পূজা খোলা এলাকা থেকে অভিযুক্ত শিঞ্জনকে আটক করে সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশ। এদিকে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা গেছে। তার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জের দৈবজ্ঞহাটি এলাকায়। মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানার পেছনে ভাড়া বাসায় থেকে তিনি পড়াশোনা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী বর্তমানে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসিতে) ভর্তি রয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় ভুক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অপরাধে শিঞ্জন রায়কে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া খুলনা মহানগরীর মহিরবাড়ি খালপাড় এলাকায় বিয়ে বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে সাত বছরের এক শিশু। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে ধর্ষক। শিশুটির শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় শিশুটিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (খুমেক) চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শিশুটির পরিবার জানিয়েছে, সকালে শিশুটি অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলতে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়। এ সময় এক যুবক ফুসলিয়ে তাকে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ির সিঁড়ির নিচে নিয়ে ধর্ষণ করে। রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটি পরিবারের সদস্যদের ঘটনাটি জানায়। এলাকাবাসীর সহায়তায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
ঝালকাঠি : ঝালকাঠির নলছিটিতে এক তরুণীকে (২২) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কাপড়কাঠি গ্রামের একটি দিঘির পাশে নির্জন বাগানে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ অভিযুক্ত সাগর হাওলাদারকে (২৫) গ্রেফতার করেছে। সাগর উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের ভোজপুর গ্রামের হুমায়ুন কবির হাওলাদারের ছেলে।
পুলিশ ও নির্যাতিতার পরিবার জানায়, রাতে বাসার সামনে থেকে সাগর ও তার এক সহযোগী তরণীকে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। পরে একটি বাগানের মধ্যে তাকে ধর্ষণ করে সাগর। মেয়েটির চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুঁটে এসে সাগরকে আটক করে। এসময় তার সহযোগী পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ওই তরুণীকে উদ্ধার এবং সাগরকে আটক করে।
চাঁদপুর : চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার পথে এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বন্ধু রফিক ভুইয়ার সহযোগিতায় ফয়সাল ভুইয়া নামের এক বখাটে ওই কিশোরীকে জোরপ‚র্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় রফিক ভুইয়াকে গ্রেফতার করেছে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ। ধর্ষক ফয়সাল পলাতক। গত বুধবার দুপুরে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ রকিব উদ্দিন জানান, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। ফয়সালকে আটক ও মামলার যথাযথ কার্যক্রমের জোর তৎপরতা চলছে।



 

Show all comments
  • Abdul Zabid ১৭ আগস্ট, ২০১৯, ১০:৪৩ এএম says : 0
    Jati ekon kolonko mukto hotey chay, jati eder fashi chay.
    Total Reply(0) Reply
  • Hasan Amir ১৭ আগস্ট, ২০১৯, ১০:৪৩ এএম says : 0
    দেশে ‘ধর্ষণ আর সড়ক দুর্ঘটনা’ মরণব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। এর কী কোন প্রতিকার নেই?
    Total Reply(0) Reply
  • Shahid Afridi Noman ১৭ আগস্ট, ২০১৯, ১০:৪৪ এএম says : 0
    রক্ষক যখন বক্ষক হয় তখন সবই এই রকম হয়
    Total Reply(0) Reply
  • Kamal Mohammad ১৭ আগস্ট, ২০১৯, ১০:৪৪ এএম says : 0
    যেই দেশে ওসির নেতৃত্বে থানার ভিতরে নারী গণধর্ষন হয়, এই দেশে কি আশাকরি আমরা!
    Total Reply(0) Reply
  • Parvej ১৭ আগস্ট, ২০১৯, ১০:৪৫ এএম says : 0
    আমাদের পুলিশ প্রশাসনে কবে সত্য,নিষ্ঠা ও ন্যায় মূল্যবোধ জাগ্রত হবে!!!এই সমস্ত পুলিশদের এমন শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার যাহা পরবর্তীতে আর কেউ না করে।মানুষ পুলিশের কাছে সহযোগিতা দূরে থাক ,বিপদ থেকে উদ্ধার করবে না উল্টো মানুষকে ফাঁদে ফেলে দর্শনের মত ঘটনা করে?কি সাহস তাদের ?নাই কোন জবাবদিহিতা,নাই কোন ভয়,নেই কোন চাকুরি হারানোর ভয়?সরকারী চাকরি মানেই সরকার বা জমিদারি প্রথা মনে করে?আহা আমরা কোথায় যাব ,আমরা কোন দেশে আছি ?তাই প্রশাসনের কর্মকর্তা প্রতি আমার অনুরোধ সুষ্ঠু বিচার করে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা।সুশাসন না হলে দেশ সুন্দর ও দেশ সোনার বাংলা স্বপন পুরন।
    Total Reply(0) Reply
  • আমান উল্লাহ ১৯ আগস্ট, ২০১৯, ৬:৩২ পিএম says : 0
    সংবাদ/সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানা যাচ্ছে দেশে সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর মধ্যে সড়ক দূর্ঘটনা ও ধর্ষণ প্রবল আকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডেঙ্গু ভিন্ন বিষয় হলেও এ সব বিষয়ে রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান/বিভাগ দায়বদ্ধ বলে মনে করি।প্রতিকার/প্রতিরোধের সর্বাত্নক প্রচোষ্টা চালানো দরকার।
    Total Reply(0) Reply
  • আমান উল্লাহ ১৯ আগস্ট, ২০১৯, ৬:৩৩ পিএম says : 0
    সংবাদ/সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানা যাচ্ছে দেশে সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর মধ্যে সড়ক দূর্ঘটনা ও ধর্ষণ প্রবল আকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডেঙ্গু ভিন্ন বিষয় হলেও এ সব বিষয়ে রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান/বিভাগ দায়বদ্ধ বলে মনে করি।প্রতিকার/প্রতিরোধের সর্বাত্নক প্রচোষ্টা চালানো দরকার।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ