Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

হাটহাজারীর মরিচের সুনাম বিদেশেও

আসলাম পারভেজ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০২ এএম

সুস্বাদু রান্নার প্রধান উপাদান মসল্লা। মসল্লার প্রধান উপকরণ শুকনো মরিচ। হাটহাজারীর ঐতিহ্যবাহী লাল মরিচ একমাত্র সুস্বাদু মরিচ দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।

হাটহাজারীর মরিচ দীর্ঘদিন থেকে রান্নার কাজে ব্যবহার করে সাড়া জাগানোর পর এবার প্রবাসীরাও নিজের রান্নার কাজে ব্যবহার করার জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকাসহ এমন কি সউদী আরব এবং দুবাই পর্যন্ত হাটহাজারী মরিচের সুনাম অর্জন রয়েছে। প্রবাসীরা দেশের ছুটি শেষ করে প্রবাসে ফিরে যাওয়ার সময় তারা বিপুল পরিমাণে লাল মরিচের গুড়ো নিয়ে যায়। এটি পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলংকাসহ লোকজনেরও পছন্দের। হাটহাজারীর এই লাল মরিচ গুড়ো করে উন্নত মানের প্যাকেট জাত করে বিক্রি করে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়। পাইকারী ক্রেতারা হাটহাজারী বাজার থেকে ক্রয় করে নিয়ে যায়। পরে তারা মেশিনে মিলিং করে প্যাকেটজাত করে থাকে।

এখানকার মরিচ বিদেশেও সাড়া জাগিয়ে প্রচুর অর্থ আয় করছে। বিশেষ করে হাটহাজারীর বিভিন্ন ইউনিয়নে বিশেষ করে হালদা নদীর চরে শত শত একর জমিতে চাষিরা মরিচ চাষ করে। মৌসুমের প্রাকৃতিক অবস্থা ভাল থাকলে মরিচ চাষিরা প্রতি মৌসুমে ৭০ হাজার থেকে প্রায় ১ লাখ টাকা পর্যন্ত মরিচ বিক্রি করে থাকে। এক ফসলা মরিচ চাষের শুরুতে প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার মত ব্যয় হলেও লাভ হয় দ্বিগুণ। সপ্তাহে ২ দিন হাটহাজারী, নাজিরহাট, কাটিরহাট বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার বাজারগুলোতে মরিচ ব্যবসায়ীরা হাটহাজারীতে এসে পাইকারী মূল্যে মরিচ ক্রয় করে নিয়ে যায়।

উপজেলার মির্জাপুর ধলই গুমান মর্দন, নাঙ্গলমোড়া, উত্তর মাদার্শা, দক্ষিণ মাদার্শা, চিকনদন্ডী, শিকারপুর, পৌর এলাকার মুহাম্মদপুর এলাকায় মরিচ চাষ বেশি হয়ে থাকে। উপজেলার অন্যান্য বাজারগুলোর চেয়ে হাটহাজারী বাজারে অতি সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়। তাছাড়া ক্রেতারা এই বাজারে আসে তাই বিক্রিতারাও বেশি মরিচ নিয়ে আসেন। জেলার বিভিন্ন মরিচের চেয়ে হাটহাজারীর মরিচ ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেশি চাহিদার কারণে এই মরিচের মূল্য বেশি বলে জানান।

হাটহাজারী মরিচ প্রতি কেজি ৩০০-৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। পাইকারী ক্রেতারা শত শত কেজি মরিচ নিয়ে মধ্যেপ্রাচ্য ও ইউরোপ দেশে রফতানি করে দেশের মরিচ খাত হতে প্রচুর অর্থ উপার্জন করে। স্থানীয় কয়েকজন মরিচ চাষির সাথে কথা বলে জানা যায়, মরিচ চাষের মৌসুমে জমিতে ভাল বিজ হয়ে থাকে। পর্যাপ্ত সারসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে এই মরিচ চাষ করা হয়।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মরিচ

২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ