Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কীটতত্ত্ববিদ নেই কোনো সিটি কর্পোরেশনেই

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

মশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য গবেষণা চালানো এবং কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা অত্যাবশ্যকীয় কাজ হলেও, দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনের একটিতেও নেই কীটতত্ত্ববিদ (এনটোমোলোজিস্ট)। কাগজে-কলমে ঢাকার দুটি সিটি কর্পোরেশনে কীটতত্ত্ববিদের দুটি পদ থাকলেও, দীর্ঘদিন ধরে সেগুলো খালি পড়ে আছে। দেশের অন্য ১০টি সিটি কর্পোরেশনে এ সংশ্লিষ্ট কোনো পদই নেই। এ কারণেই মশা নিয়ন্ত্রণের কাজটি সিটি কর্পোরেশনগুলোর জন্য বেশ কঠিন হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।


স¤প্রতি দেশজুড়ে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় এডিস মশাসহ নানা প্রজাতির কীট নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে এই কাজের জন্য তাদের পর্যাপ্ত বিশেষজ্ঞ নেই বলে জানা গেছে।
জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কীটতত্ত্ববিদ, সহকারী কীটতত্ত¡বিদ এবং কীটতত্ত¡ সংক্রান্ত টেকনিশিয়ানের পদগুলো গত তিন মাস থেকে ২৫ বছর ধরে খালি পড়ে আছে। কীটের বৈশিষ্ট্য, অন্যান্য প্রজাতি ও পরিবেশের সঙ্গে তাদের মিথস্ক্রিয়া, প্রজননের হার, রোগ-জীবাণু বহন এবং বিস্তারের ক্ষমতা নিয়ে গবেষণা করেন কীটতত্ত্ববিদরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার জানান, দেশের রেকর্ড সংখ্যক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। কীটতত্ত্ববিদরা তাদের গবেষণার মাধ্যমে এডিস মশাকে নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সুপারিশ প্রদান করতে পারতেন।


রাজধানী ও দেশের অন্যত্র জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৩১টি কীটতত্ত্ববিদের পদের মধ্যে ১৩টি বর্তমানে খালি রয়েছে। তাদের কীটতত্ত্ব সংক্রান্ত টেকনিশিয়ানের ৫৯টি পদের মধ্যে ২৯টি পদে লোক থাকলেও, সহকারী কীটতত্ত¡বিদের তিনটি পদের একটি শূন্য রয়েছে। তাছাড়া, দেশের ৪০টি জেলায় জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ সংক্রান্ত কোনো পদই নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কীটতত্ত্ববিদ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ