Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

এনজিওর মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাচ্ছে অস্ত্র ও টাকা

মুক্তির অস্ত্র আটক করল উখিয়া উপজেলা প্রশাসন

বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার : | প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০০ এএম

উস্কানি দিয়ে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরতে না দেয়ার পাশাপাশি এনজিওদের বিরুদ্ধে পাওয়া গেল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ। গতকাল সোমবার উখিয়ার কোটবাজারে ভালুকিয়া সড়কের একটি কামারের দোকান থেকে বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে, দা, কিরিচসহ অনেক গুলো অপরিচিত অস্ত্র।

এছাড়াও ২৫ আগষ্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মহাসমাবেশেও এনজিওরা অঢেল টাকা ও অস্ত্র দিয়ে রোহিঙ্গাদের সাহস যুগিয়েছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে। সোমবার সকাল ১১ টায় এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন উখিয়া উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) ফখরুল ইসলাম। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিতরনের জন্য বেসরকারি এনজিও সংস্থা ‘মুক্তি’ এসব অস্ত্র তৈরি করতে দিয়েছিল বলে জানা গেছে। ওই দোকানের মালিক কামার অধীর দাশ সাংবাদিকদের জানান, এনজিও মুক্তির জন্য প্রায় একমাস আগে ২,৬০০ দেশীয় অস্ত্র তৈরির অর্ডার দেন ভালুকিয়ার বাসিন্দা সাইফুল। অর্ডার দেয়ার সময় ৩০ হাজার টাকা অগ্রীমও দেন সাইফুল।

উখিয়া উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) ফখরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এনজিও মুক্তির জন্য ভালুকিয়ার জনৈক সাইফুল এসব অস্ত্র তৈরির অর্ডার দেয় বলে জানা গেছে । রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিতরনের জন্য দেশীয় অস্ত্র তৈরির ঘটনায় চরমভাবে ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন স্থানীয় জনসাধারণ। তারা এনজিওগুলোর এসব অপতৎপরতা বন্ধ করা ও রোহিঙ্গাদের দ্রæত মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর দাবি জানান।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মুক্তির কার্যকরি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ বলেন, এ বিষয়ে আমার সাথে কোন আলাপ আলোচনা করা হয়নি। টেন্ডার করা হয়েছে কিনা? তাও জানিনা। তিনি বলেন, গত ২২ আগস্ট যে সভা হয়েছে সেখানেও এ সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাবনা উত্থাপিত হয়নি। এমনকি আমাকে মৌখিকভাবেও এ বিষয়ে অবগত করেননি কেউ।

জানা গেছে, টেকনাফের লেদা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের জন্য ৬ হাজার দেশিয় অস্ত্র সরবরাহ করতে চাচ্ছিলো ‘মুক্তি’।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে মুক্তি সংস্থাটির সভাপতি শিবুলাল ভারত ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক। এছাড়াও তার বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তার কমিউনিটির পক্ষ থেকে। তিনি কক্সবাজার পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গোলদীঘির পশ্চিমপার এলাকার হরিদাস দেবদাসের ছেলে শিবু লাল দেবদাস (৬১) ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাসিন্দা।

২০১৯ সালে প্রণীত ভারতের (৫২৫) পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাত (সদর) মহকুমার মধ্যগ্রাম থানা ও পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুনগর এলাকার (৭০০১২৯) নং ভোটার তিনি। ভোটার নম্বর ২২৪ ওয়াইসিডাবিøউ ১৫০৩৩১৭, বাড়ি নম্বর-এন০২৬৬। একইভাবে তার স্ত্রী সীমা দেবদাস (৫১) এবং ছেলে অমর্ত্য দেবদাসও সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা। স্ত্রীর ভোটার নম্বর-২২৫ ভিএইচএম ১৭৪৯৪৪৯, বাড়ি নম্বর-এন ০২৭৬ আর ছেলের ভোটার নম্বর-২২৩ ওয়াইসিডাবিøউ ১৯৬৪৯৭২, বাড়ি নম্বর-এন ০৩৬১।

শিবু লালের বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) নম্বর-১৯৫৮২২২২৪০৯৩৬৭৮৮৮। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ভোটার লিস্টে ৩৬৭৮৮৮ নম্বর ফরম ম‚লে তার নাম রয়েছে। কক্সবাজার পৌরসভার গোলদিঘীর পশ্চিমপাড় (১৩৭৭) এলাকার ১১৭ সিরিয়ালে তার ভোটার নম্বর-২২১৩৭৭৩৬৭৮৮।

 



 

Show all comments
  • Kla Marma Kla ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ১:০০ এএম says : 1
    সহজ সরল অসহায় রোহিঙ্গাদের ফাঁসানো হচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Rahat Hossain Topu ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ১:০০ এএম says : 0
    এখনই লাগাম টেনে ধরতে হবে না হলে,এর পরিণাম ভালো হবে না,প্রথম ধাপ হিসেবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সকল এনজিও-র কার্যক্রম স্থগিত করে কৃত্রিম সমস্যা সৃষ্টি করা হউক
    Total Reply(0) Reply
  • Mamunur Rashid ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ১:০১ এএম says : 0
    এনজিও গুলো কে নিষিদ্ধ করা হোক, এবং রোহিঙ্গাদের ব‍্যাপারে জিরো টলারেন্স দেখানো উচিৎ।
    Total Reply(0) Reply
  • Monir Monir ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ১:০১ এএম says : 1
    এ সমস্ত হিন্দুরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা রোহিঙ্গাদের কাঁধে বন্দুক রেখে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। আমি সরকারের নিকট মুক্তি নামের যে এনজিও সংস্থা তার সকল কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
    Total Reply(0) Reply
  • Masud Sayan ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ১:০১ এএম says : 0
    এ এনজিও নেতারা হিন্দু তারপরও তারা কেন রোহিঙ্গাদের এসব দেশীয় অস্ত্র বিতরন করছে তা খতিয়ে দেখা উচিত
    Total Reply(0) Reply
  • Hanif Akondo ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ১:০৩ এএম says : 0
    এখন সময় হইছে ওদের দেশে ফিরে যাবার, আমাদের দেশ এমনেই জনসংখ্যা বেশি আদর করে আরও জনসংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজন নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • Sohag ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ৫:১৭ এএম says : 0
    India kokhonoe amadr valo chayne r chabe o na.Rohingadr deshe joto tara tare somvob ferot pathano hok. Ora akhon amadr jonno besh fora hoye othse
    Total Reply(0) Reply
  • jahangir ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ৯:১৮ এএম says : 0
    রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী প্রমানের প্রচেষ্টা হিসাবে এই ব্যাবস্থা করা হচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply
  • H.M Arzue ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ১:২২ পিএম says : 0
    রোহিঙ্গাদের কাঁধে বন্দুক রেখে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। আমি সরকারের নিকট মুক্তি নামের যে এনজিও সংস্থা তার সকল কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রশাসন

১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ