Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

টাক পড়া নিয়ে রাশিয়ান তরুণীর লড়াই

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০১৯, ৫:১১ পিএম

বিশ্ব জুড়ে প্রায় ১৪ কোটির বেশি মানুষের অ্যালোপেসিয়া অর্থাৎ পূর্ণ অথবা আংশিক টাক রয়েছে। এর ফলে স্বাস্থ্যবান লোকজনের মাথা বা শরীরের চুল কমে যেতে শুরু করে - অনেক সময় সব চুল পড়ে যায়, আবার ভুরু বা চোখের পাপড়িও পড়ে যায়। রাশিয়ান তরুণী লিলিয়া কুকুশকিনা-নুগমানোভাকে এই কারণে স্কুলে নানারকম বিদ্রূপ করা হতো। এখন তিনি রাশিয়ায় একটি গ্রুপ তৈরি করেছেন, যারা এ রকম অভিজ্ঞতার শিকার ব্যক্তিদের সহায়তা করে।

নুগমানোভা বলেন, ‘যখন মানুষ আপনাকে দেখতে পান, তাদের প্রথম চিন্তা হয়: তার হয়তো ক্যান্সার অথবা দাদ হয়েছে। আমাকে বর্ণনা করতে হয়েছে যে, আমার চুল পড়ে যাবার সমস্যা রয়েছে, এবং এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আমি মারা যাচ্ছি না, আমি ঠিক আছে আর এটা ছোঁয়াচেও নয়।’

রাশিয়ায় সেসব ব্যক্তিদের নিয়ে একটি সহায়তা গ্রুপ পরিচালনা করছেন লিলিয়া, যারা চুল পড়ে গেছে। এখন ২৮ বছরের লিলিয়া বলছেন, কিশোরী বয়সে পৌঁছানোর আগে তিনি বুঝতেও পারেননি যে, তিনি অন্যদের চেয়ে আলাদা। তিনি বলেন, ‘যখন আমার বয়স ১৭ বছর, তখন আমার সবচেয়ে কঠিন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হলো। আমার স্কুলে ছেলেদের একটা দল ছিল। আমরা তাদের সঙ্গে বেশি মিশতাম না, তাই তারা সামাজিক মাধ্যমে একটি গ্রুপ তৈরি করে এবং তার নাম দেয়, ‘মিস নুগমানোভা একজন নেড়া কুকুর।’ তারা ভেবেছিল, আমি হয়তো খুব আহত হবো। সত্যি বলছে, সেটা খানিকটা হয়েছিও, কিন্তু আমি জানতাম, এটা আমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। ওটার কারণেই আমি একজন খারাপ মানুষ হয়ে যাবো না।’

নিজের ব্যাপারে লিলিয়ার মেনে নেয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছায় এ বছরের শুরুর দিকে, যখন তিনি তার সংগ্রাম নিয়ে একটি লেখা লেখেন এবং কোন পরচুলা ছাড়াই ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন। ওই ছবিটি দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে, যার সঙ্গে অনেক মানুষ তাদের টাক বা চুল পড়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে মন্তব্য করতে থাকেন।

লিলিয়া জানান টাক পড়া নিয়ে সহায়তা গ্রুপের কাজ তার পেশাজীবন বদলে দিয়েছে। ব্যবস্থাপনা পেশা ছেড়ে তিনি এখন সামাজিক কর্মী হিসাবে কাজ শুরু করেছেন। তিনি বলেন, ‘যখন আপনি টাক পড়ার বা চুলহীনতার শিকার অন্য মানুষদের সঙ্গে মিশবেন, আপনি উপলব্ধি করবেন যে, এটার সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার অনেক উপায় রয়েছে। সবচেয়ে জটিল ব্যাপারটি হলো, এটা আপনাকে একা একা করতে হবে না।’ সূত্র: বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টাক পড়া
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ