মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বৃহস্পতিবার এক রেডিও অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, চলতি বছরে তালেবানদের সাথে চুক্তির পরও আফগানিস্তানে কয়েক হাজার সেনা রাখার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
ফক্স নিউজ রেডিওকে ট্রাম্প বলেন, “আমরা সেনা সংখ্যা ৮৬০০তে নামিয়ে আনবো এবং এরপর সেখান থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো.. .”।
ওয়াশিংটনে জুলাই মাসে পাকিস্তানী প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাথে ট্রাম্প যে মন্তব্য করেছিলেন, তার পুণরাবৃত্তি করে তিনি আরও বলেন যে, “দ্রæত এই যুদ্ধটা জিততে পারতাম আমি, যেটার জন্য ১০ মিলিয়ন মানুষকে হত্যা করতে হতো.. যেটা আমি চাই না”।
যদিও সুনির্দিষ্ট সংখ্যাটা জানা যায় না, তবে ট্রাম্প প্রশাসন আফগানিস্তানে সেনাসংখ্যা বাড়িয়ে প্রায় ১৪,০০০ এর কাছাকাছি নিয়ে গেছেন। ওবামা প্রশাসন যখন ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে অফিস ছেড়ে যায়, তখন আফগানিস্তানে সেনা সংখ্যা ৮,৪০০ তে সীমিত রাখা হয়েছিল এবং তাদের ভূমিকা ছিল সীমিত। তবে সেখানে যে সব ঠিকাদার ও বেসামরিক ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের মিশনে সাহায্য করছে, তারা এই সংখ্যার অন্তর্ভুক্ত নন।
ট্রাম্পের মন্তব্যের পরপরই কথা বলেছেন চেয়ারম্যান অব জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন তালেবানদের সাথে চুক্তির ক্ষেত্রে আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় রাখা হবে।
ডানফোর্ড বলেন, “আমার মনে হয়, এটা তাড়াহুড়া হয়ে যাচ্ছে, পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার নিয়ে এখন কথা বলার সময় আসেনি। ‘সরে আসা’ শব্দটা আমি এখনই ব্যবহার করতে চাই না। আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, আফগানিস্তান কারো আশ্রয়ের জায়গা যেন না হয়”।
ডানফোর্ড বলেন, “এটা জোর দেয়া গুরুত্বপূর্ণ যে, প্রেসিডেন্টও এ ব্যাপারে অবগত আছেন যে, যে কোন চুক্তির ব্যাপারে আমরা এগিয়ে গেলে সেটা হবে শর্ত-সাপেক্ষে। আর এই শর্তগুলোর কারণেই আমি আত্মবিশ্বাসী যে এটা চেষ্টা করাটা দরকার”।
ট্রাম্প ও ডানফোর্ড এমন সময় এ মন্তব্য করলেন যখন জানা গেছে যে আফগানিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন বিশেষ দূত জালমাই খলিলজাদ তালেবানদের সামনে একটি প্রস্তাব দিয়েছেন এবং তালেবানরা সেটা বিবেচনা করে দেখছে।
বুধবার একজন সিনিয়র তালেবান নেতা বলেন যে, “সকল শুরা সদস্য খসড়া প্রস্তাব পেয়েছেন এবং তারা এটা সতর্কতার সাথে পড়ে দেখছেন”। মার্কিন বিশেষ প্রতিনিধির সাথে আলোচনায় তালেবানরা ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তাদের দাবি হলো আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সামরিক বাহিনী পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নিতে হবে। সূত্র : এএফপি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।