Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

তালপাকা গরমে মচমচে রসালো কাঁঠাল

আদমদীঘিতে এবার বাম্পার ফলন

মো. মনসুর আলী, আদমদীঘি (বগুড়া) থেকে | প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০০ এএম

পঞ্জিকার হিসাবে মধুমাস চলে গেছে। এখন চলছে শরৎকাল অর্থাৎ তালপাকা গরম। ভাদ্রের গরমে তাল ঠিকই পাকে। কিন্তু এ মাসে কাঁঠাল পাওয়ার কথা নয়। বাস্তবতা হচ্ছে মধুমাস চলে গেলেও জামাই আদরের একমাত্র ফল বগুড়ার আদমদীঘির রসালো ও মচমচে কাঁঠাল ঠিকই আছে।

আদমদীঘি উপজেলায় কাঁঠাল গাছের প্রচুর বাগান রয়েছে। এখানকার কাঁঠাল স্বাদে গন্ধে ও অতুলনীয়। এবার গোটা উপজেলায় কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিগত বছরের চেয়ে এবার গাছে গাছে অসংখ্য কাঁঠাল হলেও ক্রেতার অভাবে বিক্রি হয়েছে কম।

উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ও হাটবাজারে ভাদ্র মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত প্রচুর কাঁঠাল দেখা গেছে। বিশেষ করে গ্রামের বাড়িতে গাছে শুধু কাঁঠাল আর কাঁঠাল। এতে করে বাজার থেকে এই ফল কেনার তেমনব আগ্রহ না থাকায় দাম একেবারেই কম। দাম কম হওয়ায় হাট-বাজারে নিয়ে বিক্রি করে লোকসান গুনতে হয়।

মধুমাসের প্রথমদিকে বাজারে উঠা কাঁঠালের রোয়া নরম ও রোসালো হয়। ভাদ্র মাসে বাজারে উঠা কাঁঠালের রোয়া অনেকটা বিস্কুটের মত মচমচে হয়। আদমদীঘি থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার পশ্চিমে বাংলার ইতিহাসের স্মরনীয় রানী ভবানীর জম্মস্থান ছাতিয়ান গ্রাম নিমাইদীঘি, অন্তাহার, দুর্গাপুর, মঙ্গলপুর, খাগরকুড়ি ও বাগবাড়ী হারদাম বোয়ালিযার কাঁঠাল রসালো ও মচমচে হয়।

উপজেলার অন্তাহার দাখিল মাদরাসার সুপার কাজেম উদ্দীন বলেন, মাদরাসায় ১০টি কাঁঠাল গাছ রয়েছে। এবার সবগুলো গাছে প্রচুর কাঁঠাল ধরেছে। কিন্তু কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে না। মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীরাও কাঁঠাল খেতে চাইছে না। এর কারণ তাদের প্রায় সবার বাড়িতে গাছে প্রচুর কাঁঠাল ধরেছে।

অন্তাহার গ্রামের কৃষক গোলাম মোস্তফা বলেন, তার ২৫টির মত কাঁঠাল গাছ রয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার গাছে বেশি কাঁঠাল ধরেছে। প্রতি বছর পাইকাররা গ্রামে এসে কাঁঠাল কিনে নিয়ে যেতো। কিন্তু এ বছর পাইকারদের দেখা মিলছে না। গাছেই কাঁঠাল পেকে নষ্ট হচ্ছে।

সান্তাহার রেলগেট বাজারে ফলের অড়ৎদার মজিবর রহমান বলেন, এ বছর ফলন খুব বেশি হওয়ায় কাঁঠাল কেনাবেচায় ধ্বস নেমেছে। অন্যান্য বছর আদমদীঘির কাঁঠাল ছাড়াও নাটোরের নলডাঙ্গা, লালপুর রাজশাহীর আড়ানী থেকে কাঁঠাল এনে ভালো ব্যবসা করা গেছে। কিন্তু এবার আদমদীঘির কাঁঠালই বিক্রি করা যাচ্ছে না।

স্থানীয়দের অনেকেই বলছেন, এবার কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে ঠিকই। তবে মধুমাসে রমজান এবং প্রচন্ড গরম হওয়ায় কাঁঠাল ফল খাওয়া থেকে প্রায় সবাই বিরত ছিলেন। তারপরও ভাদ্র মাসের মধ্যভাগে এসে বাজারে যেসব কাঁঠাল পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোর রোয়া মচমচে হওয়ায় বর্তমান দামও কিছুটা বেশী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ