Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কমেছে চিংড়ি রপ্তানিতে আয়

প্রকাশের সময় : ১২ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে হিমায়িত খাদ্য ও মৎস্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৪৮ কোটি ১৯ লাখ ৬০ হাজার ডলার। যা গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৯ দশমিক ০৫ শতাংশ কম। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে হিমায়িত খাদ্য ও মৎস্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৫২ কোটি ৯৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইউরোপের বাজারে চিংড়ির দর কমে যাওয়া এবং রাশিয়াতে ডলারের বিপরীতে রুবলের দরপতনের কারণে চিংড়ি রপ্তানি আয় কমেছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে হিমায়িত খাদ্য ও মৎস্য রপ্তানি আয়ে। তাছাড়া চিংড়ির উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তার ওপর চিংড়িতে আক্রমণের প্রবণতাও অনেক বেশি। ফলে উৎপাদনও কমেছে। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে চিংড়ি রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫১ কোটি ৫০ লাখ ডলার। গত ১১ মাসে চিংড়ি রপ্তানি হয়েছে ৪২ কোটি ৩১ লাখ ৩০ হাজার ডলারের। যা এর আগের বছর ছিল ৪৭ কোটি ৪৫ লাখ ২০ হাজার ডলার। সেই হিসাবে চিংড়ি রপ্তানি ১০ দশমিক ৮৩ শতাংশ কমেছে। সাতক্ষীরা ও খুলনার চিংড়ি চাষীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হ্যাচারির চিংড়ি পোনা ঘেরে ছাড়ার কারণে ভাইরাস আক্রমণের প্রবণতা বেড়ে গেছে। সেইসঙ্গে উৎপাদন খরচও বেড়েছে। লিজ নেওয়া জমির খরচও বাড়ছে প্রতি বছর বছর। যে হারে ব্যয় বাড়ছে, সেই হারে লাভবান হতে পারছেন চিংড়ি চাষীরা। চিংড়ি চাষ করতে গেলে ঘেরে বছরে কয়েক বার সার প্রয়োগ করতে হচ্ছে। এখন নানা প্রকার খাদ্য দিতে হচ্ছে। তাতে উৎপাদন খরচ বাড়ছে। ঠিক মতো দাম না পাওয়ায় লাভের চেয়ে লোকসান হয় বেশি। চিংড়ি চাষে সুফল না পেয়ে অনেকেই অন্যান্য মাছ চাষে আগ্রহী হচ্ছে। বিদেশে রপ্তানি না হলেও দেশীয় বাজারে সেগুলোর অনেক চাহিদা রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কমেছে চিংড়ি রপ্তানিতে আয়
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ