Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিশাল অ্যাস্টরয়েড আঘাত হানতে যাচ্ছে পৃথিবীতে

ডেইলি রেকর্ড | প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

একটি বিশাল অ্যাস্টরয়েড (গ্রহাণু) পৃথিবীতে আঘাত হানতে যাচ্ছে। এই আঘাত হানার আশঙ্কা একশ ভাগ। এ অ্যাস্টরয়েডের আকার সেই সব গ্রহাণুর একটির মত যা ডায়নোসরদের নির্মূল করেছিল।

ছয় লাখ ৬০ হাজার বছর আগে ডায়নোসররা বিলুপ্ত হওয়ার সময় থেকে এই গ্রহ অসংখ্য পাথর ও ধূমকেতুর টুকরো দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। কিন্তু সেগুলো মানব সমাজকে নির্মূল করে ফেলার মত বেশি বড় ছিল না। বিজ্ঞানীরা এক্সপ্রেস. কোং. ইউকে-কে বলেন, অনুরূপ ধরনের এক বিশাল বস্তু পৃথিবীর কোনো একটি স্থানে আঘাত করবে। তার জন্য আমরা প্রস্তুত হচ্ছি।

নাসা বলেছে, প্রতি কয়েক মিলিয়ন বছরে এটা ঘটে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এর আঘাত হানার আশঙ্কা একশ শতাংশ। ওয়াকিবহালরা হুঁশিয়ার করেছেন যে এটা ঘটার ব্যাপারে আমাদের অবশ্যই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে। মহাকাশ দেশ (স্পেস নেশন) আসগার্ডিয়া পার্লামেন্টের চেয়ারম্যান লেমবিট ওপিক এক্সপ্রেস. কোং. ইউকে-কে বলেন যে বিশ্বকে অ্যাস্টরয়েডের আঘাত থেকে রক্ষা করা তাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। তিনি বলেন, এটা জীবন-মরণের বিষয়। এ আঘাত হানার আশঙ্কা একশ ভাগ, কিন্তু আপনি জানেন না তা কখন ঘটবে। ১৯৯৮-২০১০ সাল পর্যন্ত ওয়েলসের মন্টগোমারিশায়ারের এমপি এই সাবেক ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ মহাকাশজাত হুমকি বিষয়ে আরো সতর্কতা সৃষ্টির জন্য পার্লামেন্টে প্রচারণা চালান। ১৯৯৯ সালে তিনি অ্যাস্টরয়েড বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখার জন্য বার্ষিক পাঁচ লাখ পাউন্ড থেকে ১০ লাখ পাউন্ড বিনিয়োগের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। ২০০০ সালে ওপিক নিকটবর্তী বিশ্ব বস্তু (নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট) টাস্ক গ্রুপ চালুর জন্য সরকারকে সম্মত করেন।

গ্রুপটি ২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। এতে কাছের ও দূরের উভয় ধরনের অ্যাস্টরয়েড বা তথাকথিত নিকটবর্তী বিশ্ব বস্তুর (এন ই ও) জরিপের আহ্বান জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ওপিকের পিতামহ একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী ছিলেন। তিনি তার সময়ে গ্রহাণু সম্পর্কিত বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করে অনেক কাজ করেন। বর্তমানে ওপিক যাকে মহাকাশ থেকে পরিহার অযোগ্য বিপদ থেকে পৃথিবীকে রক্ষার লক্ষ্যে বিশ্বের প্রথম মহাকাশ দেশের সাথে কাজ করছেন।

ওপিক বলেন, এ রকম ঘটনা খুবই বিরল। কিন্তু যখন তা ঘটে তখন তা বিপর্যয় সৃষ্টিকর হয়। এটা সকল ধরনের প্রাণীর ৭০ থেকে ৯৫ শতাংশকে বিলুপ্ত করে। তিনি বলেন, অ্যাসগার্ডিয়ার অন্যতম প্রধান মিশন লক্ষ্য হচ্ছে মহাজাগতিক হুমকি থেকে আমাদের বাসস্থান গ্রহকে রক্ষার জন্য এক ধরনের মহাকাশ রক্ষীর সৃষ্টি করা।
অ্যাসগার্ডিয়া বা অ্যাসগার্ডিয়া মহাকাশ রাষ্ট্র হচ্ছে পৃথিবীর কক্ষপথে একটি উপগ্রহ নিক্ষেপের মাধ্যমে ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্বের প্রথম ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র দেশ বা মাইক্রোনেশন। মহাকাশে একটি ফাঁড়ি নির্মাণের মাধ্যমে মানুষের স্থায়ী উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা এবং পৃথিবীর বাইরে প্রথম শিশুর গর্ভধারণ করা এই মহাকাশ রাষ্ট্রের লক্ষ্য।

ওপিক এর আগে এক্সপ্রেস. কোং. ইউকে-কে বলেন যে অ্যাসগার্ডিয়া আগামী ২৫ বছরের মধ্যে মহাকাশে মানুষের বসবাস করানোর আশা করছে। কিন্তু এই উচ্চাশা অর্জনে অ্যাসগার্ডিয়ার বিজ্ঞানীদের প্রমাণ করতে হবে যে মহাকাশ-ভীত মানুষদের অ্যাস্টরয়েডের মত হুমকি থেকে নিরাপদ রাখা যাবে।

ওপিক বলেন, মহাকাশে শুধু অ্যাস্টেরয়েড একমাত্র হুমকি নয়। কিন্তু তারা অত্যন্ত বিপজ্জনক ও তাদের দেখা সহজ। তবে স্বস্তির কথা যে নাসার মত মহাকাশ সংস্থাগুলো নিকট ভবিষ্যতে বড় ধরনের কোনো হুমকি আশঙ্কা করছে না।
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা বলেছে, বিশেষজ্ঞদের ধারণা যে ২০১৩ সালে রাশিয়ার চেলিয়াবিনস্কে বিস্ফোরিত বস্তুটির আকারের ন্যায় বস্তু (প্রায় ৫৫ ফুট) বিস্ফোরণের ঘটনা ১০০ বছরে এক বা দুই বার ঘটে।

তবে এনইও ক্যাটালগের বর্তমান অসম্পূর্ণতার প্রেক্ষিতে চেলিয়াবিনস্ক ঘটনার মত একটি ঘটনা যে কোনো সময় সংঘটিত হতে পারে। ২০১৯ সালের শুরুতে নাসা বলেছিল যে আবিষ্কৃত এনইওর সংখ্যা ১৯ হাজারের বেশি দাঁড়িয়েছে এবং প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৩০টি করে মহাকাশের নতুন পাথর আবিষ্কৃত হচ্ছে।



 

Show all comments
  • হাবিব ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:৫৮ এএম says : 0
    হে আল্লাহ তুমি আমাদের প্রতি রহমত নাযিল করো।
    Total Reply(0) Reply
  • লোকমান ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:৫৯ এএম says : 1
    আল্লাহই ভালো জানেন
    Total Reply(0) Reply
  • তফসির আলম ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:৫৯ এএম says : 0
    দুনিয়াতে আমাদের পাপের পরিমাণ বেশি হয়ে যাচ্ছে
    Total Reply(0) Reply
  • সোয়েব আহমেদ ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৩:০০ এএম says : 0
    মহাকাশে শুধু অ্যাস্টেরয়েড একমাত্র হুমকি নয়। কিন্তু তারা অত্যন্ত বিপজ্জনক ও তাদের দেখা সহজ।
    Total Reply(0) Reply
  • মিনার মুর্শেদ ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৩:০০ এএম says : 0
    অপেক্ষায় থাকলাম
    Total Reply(0) Reply
  • Rahim Ahmed Khan ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৯:৩৯ এএম says : 0
    Allah everything know We are always depand Great Allah
    Total Reply(0) Reply
  • Rahim Ahmed Khan ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৯:৩৯ এএম says : 0
    Allah everything know We are always depand Great Allah
    Total Reply(0) Reply
  • alamgir siddque ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১০:২৮ এএম says : 0
    The Creator makes us talent and the scientists are the best of all creations.So they can show the new dimension for all bings,good luck!!
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ