পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আফগাস্তিানে তাদের সামরিক ভূমিকা আরো সম্প্রসারিত করার কথা ঘোষণা করেছে। এর ফলে প্রেসিডেন্ট ওবামা যে যুদ্ধ শেষ করার শপথ করেছিলেন তা আবার জোরদার হতে যাচ্ছে। খবর আল জাজিরা। ওবামার প্রেস সেক্রেটারি জোশ আর্নেস্ট শুক্রবার বলেন, যুদ্ধক্ষেত্রে স্থানীয় বাহিনীকে আরো কার্যকর করে তুলতে সাহায্য করতে মার্কিন বাহিনী অধিকতর সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।
আর্নেস্ট বলেন, আফগান সামরিক বাহিনীর প্রতি মার্কিন সমর্থন হবে পরামর্শ ও সাহায্যের আকারে, পাশাপাশি তাদের অভিযানে মাঝে-মধ্যে তারা অংশও নেবে।
আফগান সেনাবাহিনী তালিবান দমনে লড়াই করছে। তালিবান রাজধানী কাবুলসহ ভিন্নস্থানে অসংখ্য হামলা চালাচ্ছে।
তবে জোশ আর্নেস্ট আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট ওবামার মার্কিন সামরিক ভূমিকা পুনরায় শুরুর কথা অস্বীকার করেন। ওবাামা ২০১৪ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করেন। তবে ২০১৫ সালের শুরু থেকে আফগান সেনাবাহিনীর পরামর্শ দাতার দায়িত্ব পালনে ৯৮০০ মার্কিন সৈন্য সেখানে রয়ে যায়। শুধু প্রতিরক্ষা মূলক কারণে বা আফগান সৈন্যদের রক্ষায় তারা তালিবানের সাথে লড়াইতে লিপ্ত হতে পারবে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশটন কার্টার বলেন, আফগানিস্তানে মার্কিন কমান্ডার জেনারেল সীন ম্যাকফারল্যান্ডের কাছে এ নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
আল জাজিরার রোজিলান্ড জর্ডান ওয়াশিংটন ডিসি থেকে জানান, মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর কয়েকমাস ধরে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাইছে। তিনি বলেন, পেন্টাগনে তালিবান বিদ্রোহ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
রোজিলান্ড বলেন, এ পরিকল্পনায় তালিবানকে দুর্বল করার লক্ষ্যে কৌশলগত আঘাত হানা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, অন্যদিকে আছে দেশরক্ষায় আফগান সৈন্যদের সক্ষম করে তোলা। তিনি বলেন, গ্রীষ্মকালীন যুদ্ধ মওসুম এসে যাওয়ার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত হতে চায় যে আফগান সামরিক বাহিনী বিপর্যয়ের শিকার হবে না।
ওবামা ২০০৮ সালে নির্বাচিত হয়ে আমেরিকার দীর্ঘতম ও নিষ্ঠুর যুদ্ধ বন্ধের অঙ্গীকার করেন।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে হামলার ঘটনায় মূল হোতা ওসামা বিন লাদেনকে হস্তান্তরের দাবি তালিবান সরকার প্রত্যাখ্যান করার পর ১৫ বছর আগে আফগানিস্তানে প্রথম মার্কিন সৈন্য আগমন করে। তারপর থেকে লড়াই ও হামলার শিকার হয়ে আফগানিস্তানে ২ হাজারেরও বেশি মার্কিন সৈন্য নিহত হয়েছে।
আফগানিস্তানে মার্কিন সৈন্য মোতায়েনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ২০১১ সালে তাদের সংখ্যা এক লাখে পৌঁছে।
রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে শুধু ২০১৫ সালেই ৫ হাজারেরও বেশি আফগান সৈন্য নিহত হওয়ার ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রকে আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করতে বাধ্য করে।
আফগানিস্তান বিষয়ে ওবামার সর্বশেষ সিদ্ধান্ত থেকে মনে হচ্ছে তার মেয়াদকালের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে আফগান সংকটের কোনো সমাধান হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।