Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বাহামায় ডোরিয়ানে মৃত বেড়ে ৩০

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

বাহামা দ্বীপপুঞ্জে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ডোরিয়ান-এর তান্ডবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ এ পৌঁছেছে। এখনও হাজার হাজার বাসিন্দা নিখোঁজ রয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন দেশটির কর্মকর্তারা। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করে সহায়তা কার্যক্রম বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছে দেশটির সরকার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য আসছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত ৩০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। আটলান্টিক মহাসাগর থেকে উঠে আসা ৫ মাত্রার এ ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে নিখোঁজের সঠিক সংখ্যা এখনও নিশ্চিত না হওয়ায় মৃতের সংখ্যা ‘অবিশ্বাস্যরকমের বেশি’ হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তারা। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দ্বীপ আবাকোতে সৎকার ব্যবসায়ী ও ২০০ বডি ব্যাগ পাঠানো হয়েছে।
গত রবিবার দুপুরে ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার বেগে বাহামার অ্যাবাকো দ্বীপের এলবো অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে। সেখানে আঘাত হেনে এটি ধীরে ধীরে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলের দিকে অগ্রসর হয়। এখন এটা দুর্বল হচ্ছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, প্রলয়ঙ্করী এ ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে বাহামা দ্বীপপুঞ্জের ১৩ হাজার ঘরবাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রান্ড বাহামা ও আবাকস দ্বীপের ৪৫ শতাংশ ঘর-বাড়ি ধ্বংস হয়েছে বলে আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস সংস্থা।
বাহামার প্রধানমন্ত্রী হুবার্ট মিনিস বলেছেন, তার দেশের জনগণ বর্তমানে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রয়েছে। তারা হারিকেন ডোরিয়ানের তান্ডবে আক্রান্ত।

সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, আবাকস ও গ্রান্ড বাহামা দ্বীপে এখনও নিখোঁজ রয়েছে শত শত, সম্ভবত হাজার হাজার হবে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী দুয়ানে স্যানডস চূড়ান্ত হিসেবে এ সংখ্যা অনেক হবে বলে সতর্ক করেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বৃহৎ আবাকো দ্বীপ বর্তমানে কার্যত বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সেখানে খাবার, পানি ও বিদ্যুৎ নেই। লুঠতরাজরোধে মিলিশিয়া গঠন করা হয়েছে।

বাহামা’র সাবেক প্রধানমন্ত্রী পেরি ক্রিস্টির এক সহকারীর পোস্ট করা ভিডিওতে আবাকো দ্বীপপুঞ্জের মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির আলামত মিলেছে। উল্টে যাওয়া গাড়ি, বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়া বাড়ির ছাদ আর উপকূলীয় এলাকায় পানি ছাদের সমান উচ্চতায় উঠতে দেখা গেছে। অনলাইনে পোস্ট করা আরেকটি ভিডিওতে সাহায্যের জন্য মরিয়া আকুতি শোনা গেছে।

গ্রান্ড বাহামার একমাত্র বিমানবন্দরটাও বিধ্বংস্ত হয়েছে। গ্রান্ড বাহামা ও আবাকসে প্রাথমিকভাবে আন্তর্জাতিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন কোস্ট গার্ড জানায়, বৃহস্পতিবার ২০১ বাসিন্দাকে উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদেহ ও জীবিত উদ্ধারে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে অনুসন্ধান ও উদ্ধার দল। ওই সব এলাকায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে তারা। ৭৬ হাজার মানুষের জন্য খাবার ও সাহায্য সামগ্রী নিয়ে বিমান ও হেলিকপ্টারগুলো উড়ছে। জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচি সংস্থা জানিয়েছে, আট টন রেডি ফুড (প্রস্তুতকৃত খাবার), স্টোরেজ ইউনিট, জেনাটর ও অন্যান্য জরুরি সামগ্রী পানামা থেকে পাঠানো হয়েছে। বাহামায় তিন মাসব্যাপী জরুরি অভিযান পরিচালনার জন্য ৫ দশমিক ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে জাতিসংঘ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ