Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ছাত্রীকে টিচার্স রুমে ডেকে যৌন নির্যাতন

জয়পুরহাটে প্রথম শ্রেণির ছাত্রীসহ শিকার আরো ২ : আটক ৩

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

গাজীপুরে টিচার্স রুমে ডেকে নিয়ে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ময়মনসিংহের ভালুকায় গার্মেন্টসে চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়েছে। জয়পুরহাটেপ্রথম শ্রেণির ছাত্রীকে পাশবিক যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া বিভিন্ন মামলায় ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে গণধর্ষণের শিকার সেই গৃহবধ‚র পাশে দাঁড়িয়েছে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম। গাজীপুর : গাজীপুর মহানগরীর ছয়দানা এলাকায় ছয় বছর বয়সী এক শিশুছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আনোয়ার হোসেন (২২) নামের এক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে নগরীর গাছা থানার পুলিশ। শিশুটির মা থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার আনোয়ার হোসেন মহানগরীর ছয়দানা এলাকার আদর্শ শিশুকানন কিন্ডার গার্টেনের সহকারী শিক্ষক। তিনি জেলা শহরের শরীফপুর খানবাড়ি এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে।

মামলার বরাত দিয়ে গাছা থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন জানান, গত শনিবার সকালে শিশুটি স্কুলে গেলে অভিযুক্ত আনোয়ার তাকে টিচার্স রুমে ডেকে নিয়ে মুখ চেপে ধর্ষণ করেন। শিশুটি স্কুলের এক শিক্ষিকাকে বিষয়টি জানালে তিনি অন্য কাউকে বলতে বারণ করে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। বাসায় ফিরে শিশুটি প্রথমে কাউকে কিছু জানায়নি। পরে রক্তক্ষরণ হলে অভিভাবকরা তার ডেঙ্গু হয়েছে ভেবে চিকিৎসা দেন। এরপরও রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছিল না। পরে শিশুটি তার মাকে প্রকৃত ঘটনা খুলে বলে। শিশুটিকে চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শহীদ
জয়পুরহাট : জয়পুরহাট সদর উপজেলার চকশ্যাম গ্রামে প্রথম শ্রেণির (৮) এক ছাত্রীকে দুই কিশোর পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই দুই কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলো- গ্রামের মঞ্জিল হোসেনের ছেলে তারেক হোসেন (১৬) ও নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার মহিষবাথান গ্রামের মিঠুন হোসেনের ছেলে মারুফ হোসেন (১২)। মারুফ এই গ্রামে তার নানার বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করে।

জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান জানান, তারেক ও মারুফ মাছ ধরার কথা বলে ওই শিশুকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী ছোট যমুনা নদীতে নিয়ে যায়। পরে নির্জন নদীতীরে তারা মেয়েটির মুখ চেপে ধরে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। রক্তক্ষরণরত অবস্থায় শিশুটি বাড়ি গিয়ে তার মা-বাবাকে সবকিছু জানিয়ে দেয়। রাতে শিশুটির বাবা তাকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করার পর থানায় এসে অভিযোগ দিলে পুলিশ তারেক ও মারুফকে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

ভালুকা : ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় এক সার ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার পৌর সদর এলাকায় গত রোববার এক গৃহবধ‚কে গার্মেন্টসে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ‘ধর্ষণ’ করেন জালাল (৫০) নামে ওই ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। মামলা স‚ত্রে জানা গেছে, গত রোববার উপজেলার ওই গৃহবধ‚কে গার্মেন্টসে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মোবাইলে ফোন করে নিজ বাড়িতে ডেকে আনেন জালাল। পরে তাকে নিজের নির্মাণাধীণ একটি ভবনের চারতলায় নিয়ে ধর্ষণ করেন।

ঘটনার পর বাড়ি ফিরে যান ওই গৃহবধ‚। স্বামীকে পুরো ঘটনা খুলে বলার পর মামলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। গত বুধবার রাতে স্বামীকে নিয়ে ভালুকা মডেল থানায় সার ব্যবসায়ী জালালের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন তিনি। ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন, ‘আসামি প্রভাবশালী হওয়ায় আমাদের মামলা করতে দেরি হয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

বেনাপোল : যশোরের শার্শা উপজেলায় গণধর্ষণের শিকার সেই গৃহবধ‚র পাশে দাঁড়িয়েছে নারী ও শিশু অধিকার রক্ষায় গঠিত বিএনপির কমিটি। একই সঙ্গে এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) খাইরুল আলমকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন কমিটির নেতারা। সংগঠনের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুন রায়ের নেতৃত্বে একটি টিম গতকাল শুক্রবার গণধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধ‚র বাড়িতে যান।

এদিকে, পুলিশের এসআই খায়রুলের ভয়ভীতির কারনে উর্ধতন কর্মকর্তাদের সামনে তার নাম প্রকাশ করা হয়নি বলে আবারো জানিয়েছে ধর্ষিতা। তবে গ্রামের লোকজন পুলিশের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চাইছে না। তিনি সাংবাদিকদের জানান, এস আই খায়রুল তার নাম প্রকাশ না করার জন্য তাকে ঘটনার পর থেকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। তবে মামলাটি বর্তমানে পিবিআই যশোরকে তদন্ত ভার দেয়া হয়েছে।

এ ব্যপারে অভিযুক্ত খ্য়ারুল ইসলাম জানান, আমি নির্দোষ, আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। যদি তদন্তের স্বার্থে আমাকে ডিএনএ পরীক্ষা করাতে হয় তাতে আমি রাজি আছি। তবে তিনি একটানা ২ বছর কিভাবে গোড়পাড়া পুলিশ ফাড়িতে দায়িত্ব পালন করছেন, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।



 

Show all comments
  • MD Akhteruzzaman ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৪৩ এএম says : 0
    এই শিক্ষক কে জুতার মালা গলাই দিয়ে স্কুল কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হক
    Total Reply(0) Reply
  • Suhel Khan ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৪৪ এএম says : 0
    আমরা মনে করি শিক্ষক নামের জানোয়ার এরকম শিক্ষককে জুতাপেটা করে আইনের হাতে তুলে দেওয়া দরকার
    Total Reply(0) Reply
  • Noor Newaj Litu ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৪৪ এএম says : 0
    এ রকম বদমায়েশকে লাথি মারাটা খুব সমান্য কিছু, এই শয়তানটা শিক্ষক নামের কলঙ্ক।
    Total Reply(0) Reply
  • Lokman Khan ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
    নারীরা তোমরা তখন মনোবল না হারিয়ে কৌশল নিবা এবং দরশনকারী পিচাশের অন্ড কোসে আঘাত করে পালিয়ে আসবা... আঘাত পেলে সে সহজে উঠতে পারবে না এসব জানোয়ার আর পিচাশদেরকে জেলখানায় রেখে মারা উচিত
    Total Reply(0) Reply
  • Mintu Ahmed ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৪৮ এএম says : 0
    শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার সময় সতর্ক হউন। কোন জানোয়ার কে শিক্ষক নিয়োগ দিবেন না।
    Total Reply(0) Reply
  • জুলফিকার আলী ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৭:২৬ এএম says : 0
    সমাজের নিকৃষ্ট লোকেরা নেতৃত্ব দেয়ার ফল.....
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ