Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জিয়া অবৈধ হলে আওয়ামী লীগও অবৈধ

র‌্যালিপূর্ব বক্তব্যে রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

আওয়ামী লীগকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নতুন জন্ম দিয়েছিল মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, তিনি যদি অবৈধ হন তাহলে আওয়ামী লীগও অবৈধ, আজকে প্রধানমন্ত্রীও অবৈধ। গতকাল (সোমবার) বিকেলে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনে আয়োজিত র‌্যালির আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, মিডনাইট নির্বাচনের প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেছেন যে, জিয়াউর রহমান অবৈধ প্রেসিডেন্ট ছিলেন। কেনো অবৈধ? এটার কোনো ব্যাখ্যা দেননি। আওয়ামী লীগ বিলুপ্ত হয়ে বাকশাল হয়েছিল, সেই বাকশাল থেকেই আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল। তখন একটি আইন হয়েছিল পলিটিক্যাল পার্টি রেগুলেশন। সেখানে আওয়ামী লীগের একজন নেতা দরখাস্ত করে আবার বাকশাল থেকে আওয়ামী লীগে ফিরে এসেছিলেন। এটা তো জিয়াউর রহমানের সময়। জিয়াউর রহমান প্রেসিডেন্ট, তার আইন। তার আইনের আওয়ামী লীগ বাকশাল থেকে আবারো আওয়ামী লীগের পুনরুজ্জীবন ঘটেছিল। আওয়ামী লীগকে নতুন জন্ম দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি যদি অবৈধ হন, অবৈধ আওয়ামী লীগ, আজকে প্রধানমন্ত্রী, তিনিও অবৈধ। কারণ ওই আইন তো করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সংসদে কোনো কারণ ছাড়া শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী কটূক্তি করেছেন। তাদের কথায় শহীদ জিয়া নাকি অবৈধ। ১৯৭৮ সালের জুন মাসে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে এদেশের জনগণ ভোট দিয়ে জিয়াউর রহমানকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছিল, এই আওয়ামী লীগের মতো ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ২৯ ডিসেম্বর রাতে ডাকাতি করে নয়। শহীদ জিয়াউর রহমান অবৈধ প্রেসিডেন্ট ছিলেন না, তিনি বৈধ প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এদেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আর যারা অবৈধ বলেন, তারা আগের রাতে ভোট ডাকাতি করে সরকারে রয়েছে।
জিয়াউর রহমানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাকশাল করে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যা করেছে, ২৯ ডিসেম্বর তারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে। আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচারের হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করে এ দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। আওয়ামী লীগের রেকর্ড হচ্ছে গণতন্ত্র হত্যা এবং বিএনপির রেকর্ড হচ্ছে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা। তাই আওয়ামী লীগ জোর করে ও অবৈধভাবে আজকে ক্ষমতায় রয়েছে। তারা আজকে আবোল-তাবোল কথা বলে।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশ-জাতি আজকে এই অবৈধ সরকারের যাতাকলে নিষ্পেষিত। অর্থনীতি আজকে ধ্বংসপ্রাপ্ত, ব্যাংকগুলো লুট হয়ে গেছে, সামাজিক অশান্তি, নারী-শিশু নির্যাতন, আজকে আমরা বালিশ-পর্দার গল্প শুনি দুর্নীতি কোথায় গিয়েছে- এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। আজকে জনগণ এই অবস্থা থেকে মুক্তি চায়। এই মুক্তি একমাত্র বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনগুলো দিতে পারে। তাই মহিলা দলসহ আমাদের বিরাট দায়িত্ব গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে হলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে কারণ তিনি গণতন্ত্রের মা। জেলে রেখে গণতন্ত্র মুক্ত করা সম্ভব নয়। তিনি যার যার অবস্থান থেকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের জন্য সকলকে প্রস্তুত থাকার আহŸান জানান।
এসময় মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসও বক্তব্য রাখেন। শোভাযাত্রাটি কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল মোড় ঘুরে ফের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। সংগঠনের নেতা-কর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। #



 

Show all comments
  • Nannu chowhan ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৯:৩১ এএম says : 0
    Mr.Rizvi is right ,nodoubt at all...
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ