Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দুদক কমিশনার সেজে ফোন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

চাকরির তদবিরের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার সেজে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফোন করে অবশেষে ধরা পড়েছে এক প্রতারক। তার নাম মাহমুদুল হাসান সুমন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ গতকাল তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর বুধবার দুপুরে ডিবির কর্মকর্তারা ওই প্রতারককে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরে নিয়ে যান। পরে তাকে আবার ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু সাংবাদিকদের বলেন, একজন দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান পরিচয় দিয়ে মন্ত্রী মহোদয়কে (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) ফোন করেন। তিনি (কমিশনার পরিচয় দেয়া ব্যক্তি) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনকে ফোন করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে তদবির করার অনুরোধ জানান। কিন্তু মোজাম্মেল হক খান এক সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার কণ্ঠ মন্ত্রী মহোদয়ের চেনা। ওই ব্যক্তির কণ্ঠ মোজাম্মেল হকের মতো মনে হয়নি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। পরে তিনি জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবসহ অন্যদের বিষয়টি জানান। সচিবও কৌশলে ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হন যে সে দুদকের কমিশনার নন। পরে মোবাইল নম্বরটি আইন-শৃংখলা বাহিনীকে দিলে তারা ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।

বিশেষ সংবাদদাতা : রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান হামলা মামলায় দুই বিচারকের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামী ২ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন। যে দুজন বিচারক সাক্ষী দিয়েছেন তারা হলেন-নারায়ণগঞ্জের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এসএম মাসুদ জামান এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র সহকারী জজ মাজহারুল ইসলাম।

এ পর্যন্ত ১০৮ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন ট্রাাইব্যুনাল। গতকাল ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। গত বছরের ২৬ নভেম্বর এ মামলার আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। একই বছরের ২৩ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির সিএমএম আদালতের জিআর শাখায় মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত বছরের ২৬ জুলাই সিএমএম আদালত মামলাটি ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন। এরপর ৩০ জুলাই মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণ ও আসামিদের উপস্থিতির জন্য দিন ধার্য করেন। অভিযোগপত্রে আসামি ২১ জনের মধ্যে ১৩ জন মারা যাওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। নিহত ১৩ জনের মধ্যে ৮ জন আইন-শৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানের সময় এবং ৫ জন ঘটনাস্থলে নিহত হয়।
অভিযোগপত্রে থাকা ৮ আসামি হলো হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ, ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ। বর্তমানে এই আসামিরা আসামি কারাগারে রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরায় হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ সময় তাদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। পরে অভিযানে ৫ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ