Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঝুঁকির মুখে আবাসন খাত-রিহ্যাব

প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : নানা করারোপ ও সরকারের নীতি সহায়তার অভাবে ক্রমে দেশের আবাসন খাত মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পতিত হয়েছে।
আবাসন খাতের এ সঙ্কট থেকে উত্তরণে সিঙ্গেল ডিজিট সুদে হাউজিং লোনের জন্য যে কোনো পরিমাণের একটি তহবিল গঠন, রেজিস্ট্রেশন ব্যয় হ্রাস, আয়কর কমানোসহ বেশকিছু প্রস্তাব রিহ্যাবের পক্ষ থেকে উত্থাপিত হয়েছিল। বাজেটে এসব প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করলে সঙ্কট কেটে যাবে বলে বলে উল্লেখ করেন।
গতকাল ‘রিহ্যাবের মতামত: প্রস্তাবিত বাজেট ২০১৬-১৬’ রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে রিহ্যাবের একটি দাবিও মানা হয়নি বলে অভিযোগ করেন সংগঠনটির সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন। তিনি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় ১৩টি প্রস্তাব দিয়েছিলাম যার একটিও আমলে নেয়নি। এজন্য আগামীতে প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশগ্রহণ করব কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। সুদে হাউজিং লোনের জন্য যে কোনো পরিমাণের একটি তহবিল গঠন, রেজিস্ট্রেশন ব্যয় হ্রাস এবং আয়কর কমানোসহ বেশকিছু প্রস্তাব দেয়া হয়। যার একটিরও প্রতিফলন ঘটেনি।
সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাবের দাবিগুলো পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়ে রিহ্যাব সভাপতি বলেন, বাজেট প্রস্তাবনায় আমরা সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছিলাম সরকারের পক্ষ থেকে একটি তহবিল গঠনের উপর। এছাড়া, মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের জন্য আবাসন সমস্যা নিরসনে সিঙ্গেল ডিজিট সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা, আবাসন খাতে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে আমরা ‘হাউজিং লোন’ নামে একটি রিফিন্যান্সিং তহবিল গঠনের দাবিও করেছিলাম, যা পূরণ হয়নি।
আবাসন খাতে কালো টাকা সাদা করতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বড় বাধা উল্লেখ করে আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, বাজেটে আবাসন খাতে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু, একটি এজেন্সির (দুদক) এ ব্যাপারে প্রশ্ন করার সুযোগ থাকায় ইনভেস্টররা এ খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হচ্ছেন না।
আলমগীর সামসুল আলম বলেন, ঢাকার আশপাশে ১২৫০ বর্গফুট বা তার থেকে ছোট ফ্ল্যাট কেনার জন্য ৭ থেকে ৯ শতাংশ সুদে ঋণ দেয়া হলেও আবাসন খাত ঘুরে দাঁড়াবে। এই দাবিও মানা হয়নি। রেজিস্ট্রেশনকে জাতীয় রাজস্ব আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত উল্লেখ করে তিনি বলেন, রেজিস্ট্রেশনের হার ১৪ থেকে ১৬ শতাংশ হওয়ার কারণে জমি বেচাকেনা কমেছে প্রায় ৮০ শতাংশ। সেই লক্ষ্যে রেজিস্ট্রেশন খরচ ৭ শতাংশ করার প্রস্তাাব করেছিলাম। কিন্তু আমাদের দাবি বিবেচনা করা হয়নি। এই বাজেট ঘোষণায় আবাসন খাতে প্রস্তাবিত আয়করের পরিমাণ পরিবর্তনের ফলে মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের মৌলিক অধিকার বাসস্থানের ব্যয় বেড়ে যাবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করছে রিহ্যাব।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাব সিনিয়র সহ-সভাপতি নূরন্নবী চৌধুরী শাওন, সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী ভূইয়া, আহকাম উল্লাহ, প্রকৌশলী সরদার মোহাম্মদ আমিন, প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোহেল রানা প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঝুঁকির মুখে আবাসন খাত-রিহ্যাব
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ