Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শতবর্ষী পুকুরে শুধুই কচুরিপানা

এস. কে. এম. নুর হোসেন, পটিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের চাপড়া এলাকার শতবর্ষী একটি পুকুর কচুরিপানায় ভরে যাওয়ার কারণে শতাধিক লোক পুকুরটি ব্যবহার করতে পারছে না। পুকুর নিয়ে মামলা জটের ধরুন পুকুরে মাছ চাষসহ লোকজনকে ব্যবহার করতে দিচ্ছে না মালিকপক্ষ। ফলে পুকুরটিতে কচুরিপানায় ভরে যাওয়ায় ডেঙ্গু মশাসহ পোকা মাকড়ের বসতী স্থাপন হয়েছে। মূলত পুকুরের মালিকানার বিরোধের কারণে তা আদালতে একটি মামলা বিচারাধীন। এর জের ধরে কোলাগাঁও ইউনিয়নের চাপড়া গ্রামের লালমোহন কবিরাজ বাড়ির শতবছরের এই পুকুরটি এখন অকেজো। প্রায় ২শ’ শতক এই পুকুরটিতে এলাকার লোকজন গোসলসহ পারিবারিক কাজে ব্যবহার করতেন। আদালতে দুই পক্ষের মামলার ইস্যুতে পুকুরের পানি পর্যন্ত এখন এলাকার ব্যবহার করতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। ফলে কচুরিপানা পচে দুর্গন্ধ পুরো এলাকার ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের চাপড়া এলাকার লালমোহন কবিরাজ বাড়ির শতবছরের পুরনো একটি পুকুর এখন অকেজো হয়ে পড়েছে। এলাকার রনজিত চৌধুরীগং এবং মনতোষ চৌধুরী গংদের মধ্যে আদালতে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। মামলার অজুহাত দেখিয়ে তারা লোকজনকে পুকুরটি মৎস্য চাষ সহ ব্যবহার করতে দিচ্ছে না। দুর্গন্ধের কারণে শিশুসহ লোকজনের নানা রোগব্যাধিও সৃষ্টি হতে চলেছে। মৎস্য সংরক্ষণ আইনের আওতায় পটিয়া উপজেলা প্রশাসনের একটি কমিটিও রয়েছে। অকেজো পুকুর ও কচুরিপানামুক্ত করে জলাশয়কে মাছ চাষের উপযোগী করার জন্য এই কমিটি মূলত কাজ করে থাকে।

পটিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা লুৎফুর রহমান জানিয়েছেন, মৎস্য সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর আওতায় জলাশয় এর অকেজো পুকুর মাছ চাষের আওতায় আনার একটি কমিটিও তাদের রয়েছে। আমরা লিখিতভাবে অভিযোগ পেলে পুকুরটির ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ