Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ভারতের সাথে একীভুত হবে না নাগারা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

 এনএসসিএন-আইএম বলেছে যে, নাগারা ভারতের সাথে একীভ‚ত হবে না, তবে দুটো আলাদা পরিচয় নিয়ে তারা ভারতের সাথে সহাবস্থানে থাকবে। নাগারা ভারতের সংবিধান মানে না, তবে নাগা ও ভারতীয়রা যোগ্যতার ভিত্তিতে সার্বভৌম ক্ষমতা ভাগাভাগি করবে। এক বিবৃতিতে এনএসসিএন-আইএম বলেছে, “সুবিধাবাদী, বিরোধী এবং ঝামেলা সৃষ্টিকারীÑ যারা কখনও সংগ্রাম করেনি, তারা এখন নিজেদের অংশ দাবি করছে, যখন সমাধান প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে। যে চাষের জন্য তারা কষ্ট করেনি, সেই ফসল তারা দাবি করছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো Ñ বিশ্বস্ত যোদ্ধারা যখন প‚র্বের আর পশ্চিমে, উত্তরে আর দক্ষিণে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল, তখন তারা কোথায় ছিল? শত্রæর হাতে সংগ্রামরত দলগুলো যখন ব্যাপকভাবে নির্যাতিত হচ্ছিল, তখন তারা কোথায় ছিল? জাতীয় নেতারা যখন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে প্রচারণা চালাচ্ছিল তখন তারা কোথায় ছিল? এনএসসিএন যখন ভারত সরকারের সাথে অস্ত্রবিরতিতে যান, তখন তারা কোথায় ছিল? এনএসসিএন যখন নাগালিমের চার কোনায় প্রতিটি ইস্যুতে গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষের সাথে যোগাযোগ করেছে, তখন তারা কোথায় ছিল? শান্তি প্রক্রিয়ায় এখন কিসের ভিত্তিতে তারা অংশগ্রহণ দাবি করছে?” অস্ত্রবিরতির ব্যাপারে গেরিলা গ্রæপ এনএসসিএন-আইএম বলেছে, “দুই পক্ষের মধ্যে যেখানে কোন লড়াই নেই, সেখানে অস্ত্রবিরতি দাবি করা এবং আগ্রাসী পক্ষের সাথে আলোচনার দাবি করা, যেখানে আরেক পক্ষের কোন গণআন্দোলনই নেই, এগুলো সবই ইতিহাসের হাস্যকর উদাহরণ”। নির্মম বাস্তবতার স্বীকৃতি হিসেবে ভারতের তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী নরসীমা রাও বলেছিলেন, “তোমরাই (এনএসসিএন) জনগণের প্রতিনিধিত্ব করো; ইস্যু তোমরাই এবং তোমরা তোমাদের প্রমাণ করেছো”। আমাদের আতো কিলোনসের (প্রধান মন্ত্রী) মুইভাহ তাকে বলেছিলেন অন্যদের সাথেও কথা বলতে। তিনি উল্টা বলেছিলেন, “কেন আমি তাদের সাথে কথা বলবো? তাদের সাথে কোন ইস্যু নেই। তারা আমার হাতেই আছে”। আমরা বিশ্বাস করি ভারতীয় নেতৃত্ব তাদের কথা রাখবে”। সরকার এখন ছয়টি নাগা জাতীয় রাজনৈতিক গ্রæপের (এনএনপিজি) সমন্বয়ে গঠিত ওয়ার্কিং কমিটি এবং নাগা শান্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কিত নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলোর সাথে আলোচনা করছে। এনএসসিএন-আইএম আরও বলেছে যে, গ্রামের প্রধান, নাগরিক সংগঠন, রাজনৈতিক দল ও চার্চসহ নাগা জণগোষ্ঠির প্রতিনিধিত্ব করে এনএসসিএন, যেখান ভারত রাষ্ট্র ও রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করে। ভারত সরকার ও এনএসসিএন-আইএম ২০১৫ সালে ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি স্বাক্ষর করে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্টটি একদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত ভারতীয় ও নাগাদের মিলনের জায়গা, অন্যদিকে, বিভক্ত নাগাদের একত্রিত হওয়ারও অভিন্ন জায়গা এই চুক্তি। এসএএম।



 

Show all comments
  • Jahangir ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:১৫ এএম says : 0
    Now hole India will surfer. Hindu badi party in the chair. So you have time which Kashmir didn't get fight for your Rights. BJP break India,s cultures they are politician they will take their profit. Hindu Muslim make problems. They wants humanitarian relationship break so they take their profit.
    Total Reply(0) Reply
  • Fazle Rabbi Faruk ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
    সাবাস, এগিয়ে যাও।
    Total Reply(0) Reply
  • Jack Noresh ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
    নাগাল্যান্ড স্বাধীন চাই !! কাশ্মীর স্বাধীন চাই !!!
    Total Reply(1) Reply
    • anisul ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১১:৫৫ এএম says : 4
      তুই কে রে ভাই !!!!!!!!!
  • Shohidul Islam ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
    অধিকার কেউ দেয়না অধিকার আদায় করে নিতে হয়। সে অধিকার তোমাদের রয়েছে
    Total Reply(0) Reply
  • Sheikh Tahrim Tahsir Mahmood ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
    ভারতীয়দের এখনো ভিসা লাগে নাগা ল্যান্ড যেতে তারা আবার ফুটানি মারে
    Total Reply(0) Reply
  • মহররম আলী ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৪৭ এএম says : 0
    ভারতের মতো সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের সাথে একীভূত হওয়ার মতো আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত কোনো স্বাবাবিক মানুষ নিতে পারেনা।
    Total Reply(0) Reply
  • সাইফুল কবির ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৪৮ এএম says : 0
    সফলতা কামনা করছি। এগিয়ে যাও, আমরা আছি...
    Total Reply(0) Reply
  • ash ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৫:১২ এএম says : 0
    KASHMIR SHOLD BE INDEPENDENT COUNTRY, ALSO NAGALAND, PANJAB EVEN BANGLA !! THEY SHOULD CALLL FOR INDEPENDENT NATION
    Total Reply(0) Reply
  • anisul ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:৫৭ পিএম says : 0
    ৩৭০ ধারা রদ এবং এনআরসি নিয়ে কংগ্রেস-সহ সমস্ত বিরোধী দল যখন ক্রমাগত নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করে চলেছে, কেন্দ্রের এই দুই পদক্ষেপকেই ‘মানবিকতা বিরোধী’ অ্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে, সে সময় সমর্থন উড়ে এল ভারতের সর্ববৃহৎ মুসলিম সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ-এর কাছ থেকে। মোদীর পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দাবি, ভারতের সঙ্গে সার্বিক ঐক্যের মধ্যেই যেমন কাশ্মীরীদের উন্নতি লুকিয়ে রয়েছে, তেমনই দেশের সুরক্ষায় এনআরসির মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করাটাও জরুরি। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ-এর বার্ষিক সভা ছিল। সেই সভাতেই এমন মত প্রকাশ করে জমিয়তে। সভা শেষে এই দুই বিষয়ে সংগঠনের মতামত সাংবাদিকদের জানান সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ মাদানি। তিনি বলেন, ‘‘কাশ্মীর আমাদের ছিল, আমাদের আছে, আমাদের থাকবে, যেখানে ভারত থাকবে সেখানেই আমরা থাকব। কাশ্মীরের মানুষদের রক্ষাকবচ হিসাবে ব্যবহার করে পাকিস্তান এিই উপত্যকাকে ধ্বংস করে দিতে চাইছে। কিন্তু আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস যে, ভারতের সঙ্গে সার্বিক ঐক্যের (৩৭০ ধারা রদের মধ্য দিয়ে) মধ্যেই কাশ্মীরিদের উন্নতি লুকিয়ে রয়েছে।’’ কাশ্মীরে কোনওরকম বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন তাঁরা সমর্থন করেন না বলে জানিয়েছেন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ